|

তাসকিন আহমেদ

৩ এপ্রিল, ১৯৯৫ তারিখে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। কিশোর অবস্থাতেই সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন মূলতঃ পেসের কারণে। এক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম বোলিং করার কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। পরবর্তীতে, রুবেল হোসেন ঘণ্টায় ১৪৯.৫ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করে রেকর্ড নিজের করে নেন।

১৬ বছর বয়সে ২০১১ সালে ঢাকা মেট্রোপলিসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলেছেন। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ঐ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন।

চিটাগং ভাইকিংসের পক্ষে খেলেন। ২০১৩ সালের প্রতিযোগিতায় ৪ খেলায় অংশ নিয়ে ৮ উইকেট দখল করেন। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় দূরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে ৪/৩১ লাভ করেন ও ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। ৮ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে সিলেটে অনুষ্ঠিত চিটাগং ভাইকিংস বনাম রংপুর রাইডার্সের মধ্যকার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের খেলায় এক ওভারে তিন উইকেট লাভ করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পূর্বেই ইন্টারনেট জগতে ঝড় তুলেন। ২০১২ সালে ইউটিউবে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে বোলিংরত ভিডিওচিত্র প্রকাশ পায়। দ্রুত গতিসম্পন্ন বলগুলো ব্যাটসম্যানকে পাশ কাটিয়ে উইকেট-রক্ষকের গ্লাভসে আঘাত হানে ও দর্শকদেরকে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে। দীর্ঘদেহী ফাস্ট বোলার হিসেবে শারীরিক গড়ন অনেকাংশেই মাশরাফি বিন মর্তুজা’র অনুরূপ। মসৃণ দৌঁড়ানোর ভঙ্গীমা নিয়ে বাহু বেশ উঁচুতে তুলে ধরে বোলিং কর্মে অগ্রসর হন। ঢাকাভিত্তিক ক্রিকেট একাডেমি থেকে উত্থান ঘটে। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা হবার সুবাদে আবাহনী মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পান। ২০১৩ সালের বিপিএল প্রতিযোগিতায় চার উইকেট নিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট অঙ্গনে আলোচনায় চলে আসেন। তবে, হাঁটুর আঘাতের কারণে প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছে। এ সময়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের ন্যায় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন ও ধীরলয়ে আরোগ্য লাভ করেন।

এরপর থেকে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ দলের পক্ষে পুণরায় বোলিং করার সুযোগ পান। বাংলাদেশ দলের কোচিং কর্মকর্তাদেরকে স্বীয় যোগ্যতা প্রদর্শনে বিমোহিত করেন। বেশ দীর্ঘ সময় তাদের নজরে থেকে সঠিক সময়ে দলে অন্তর্ভুক্ত হন।

২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। বিশ্ব টি২০ খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। মাশরাফি বিন মর্তুজা’র পরিবর্তে খেলার সুযোগ পান। ১ এপ্রিল, ২০১৪ তারিখে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর টি২০আইয়ে অভিষেক হয়। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট পান ও অস্ট্রেলিয়া দল ৭ উইকেটে জয় পায়।

দুই মাসের ব্যবধানে জুন, ২০১৪ সালে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে খেলার উদ্দেশ্যে তাঁকে দলে যুক্ত করা হয়। ১৭ জুন, ২০১৪ তারিখে প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। স্মরণীয় ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। অভিষেক খেলায় পাঁচ-উইকেট লাভ করেছিলেন। আট ওভারে ৫/২৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়াকালীন রবিন উথাপ্পা, চেতেশ্বর পুজারা ও আম্বতি রায়ডু’র ন্যায় শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়কে বিদেয় করেন।

ঘরোয়া আসরে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার স্বীকৃতিস্বরূপ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্যে পুণরায় বাংলাদেশ দলে খেলার আমন্ত্রণ পান। ঐ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়ে বাংলাদেশ দল কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে। তিন উইকেট লাভ করলেও ভারতের বিপক্ষে পরাজিত হয় তাঁর দল। মাশরাফি বিন মর্তুজা’র সাথে বুকে বুক মিলিয়ে আনন্দ উদযাপনের বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে বেশ সাড়া জাগায়। এরপূর্বে, ২০১৪ সালের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করেন।

পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওডিআই সিরিজ বিজয়ে দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিলেন। আঘাতের কারণে নিজ দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারেননি। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে দলে ফিরে আসেন। মিতব্যয়ী বোলিং করেন ও দল চূড়ান্ত খেলায় পৌঁছে। তবে, ভারতের বিপক্ষে পরাজিত হয়।

২০১৬ সালের আইসিসি বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অবৈধ বোলিং ভঙ্গীমার কারণে আরাফাত সানি’র সাথে তিনিও নিষিদ্ধতার কবলে পড়েন। পরবর্তীতে ব্রিসবেনভিত্তিক ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টার থেকে শুধরে নেন। আফগানিস্তান ও পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই ছন্দ ফিরে পান।

২০১৬-১৭ মৌসুমে মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্বে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুভাশিষ রায়ের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। কেন উইলিয়ামসনকে বিদেয় করে নিজস্ব প্রথম টেস্ট উইকেটের সন্ধান পান। ঐ খেলায় ১৭৯ রান খরচায় এক উইকেট পান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ৫ ও ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ টেস্টে তাঁর দল ৭ উইকেটে পরাজিত হয় ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে পচেফস্ট্রুমে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ০/৮৮ ও ০/২৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১ ও ৪ রান সংগ্রহ করেন। ডিন এলগারের অনবদ্য ব্যাটিং কৃতিত্বে সফরকারীরা ৩৩৩ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

২০২৩ সালে নিজ দেশে হাশমতউল্লাহ শাহীদি’র নেতৃত্বাধীন আফগান দলের মুখোমুখি হন। ১৪ জুন, ২০২৩ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২ রান সংগ্রহ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৪৮ ও ৪/৩৭ বোলিং বিশ্লেষণ করে দলের ৫৪৬ রানের বিশাল বিজয়ে অংশ নেন।

২০২৪-২৫ মৌসুমে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। পুরো সিরিজে দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে কিংস্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১/২০ ও ২/৪৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৮ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, তাইজুল ইসলামের অসাধারণ বোলিংয়ের কল্যাণে সফরকারীরা ১০১ রানে জয় পেয়ে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ করতে সক্ষম হয়। এ সিরিজে ২৩ রান ও ১১ উইকেট দখল করে জেডেন সিলসের সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।

Similar Posts

  • | | |

    টম মুডি

    ২ অক্টোবর, ১৯৬৫ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি (১.৯৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী টম মুডি ‘মুনশাইন’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। স্বল্প দূরত্ব দৌড়ে এসে সাধারণমানের মিডিয়াম পেস বোলিং করেন। বলে সহজাত সুইং আনয়ণ…

  • | | | |

    গ্লেন টার্নার

    ২৬ মে, ১৯৪৭ তারিখে ওতাগোর ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সঠিকমানের ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে সীমিত পর্যায়ে আক্রমণাত্মক শট খেললে প্রায়শঃই সমালোচিত হতেন। পরবর্তীতে দলের প্রয়োজনে…

  • |

    মোহাম্মদ সিরাজ

    ১৩ মার্চ, ১৯৯৪ তারিখে হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলিং কর্মে অগ্রসর হন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। স্মরণীয়ভাবে তাঁর উত্থান ঘটে। পা বরাবর ইয়র্কার করে তুমুল খ্যাতি অর্জন করেন। স্ব-শিখনে খেলোয়াড়ী জীবনে অগ্রসর হয়েছেন। জনৈক অটো রিক্সাচালকের সন্তান। চরম দারিদ্র্যতার মধ্যে শৈশবকাল অতিবাহিত…

  • | |

    মোহাম্মদ হাফিজ

    ১৭ অক্টোবর, ১৯৮০ তারিখে পাঞ্জাবের সারগোদায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং কর্মে অগ্রসর হন। পাকিস্তান দলের পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নেয়াসহ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সচরাচর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কৌশলগতভাবে প্রয়োজনমাফিক রক্ষণাত্মক ঢংয়েও অগ্রসর হয়ে থাকেন। পাকিস্তান দলের অন্যতম অনুসঙ্গ তিনি। বেশ কয়েকবার বোলিং…

  • | |

    সাঈদ আনোয়ার

    ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৮ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে হিসেবে খেলতেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সময় নিয়ন্ত্রণ ও বল বাছাইয়ের মাধ্যমে নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। আগ্রাসী ভূমিকার চেয়ে দৃষ্টিনন্দন স্ট্রোকপ্লের মাধ্যমে বিদ্যুৎগতিতে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটিয়েছিলেন। তেমন পায়ের…

  • |

    ল্যান্স কেয়ার্নস

    ১০ অক্টোবর, ১৯৪৯ তারিখে মার্লবোরার পিকটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে এগিয়ে আসতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম মারকুটে ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছেন। সুইং বোলারদের বিপক্ষে খেলতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বড় ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও পর্যাপ্ত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।…