৩১ মার্চ, ১৮৭১ তারিখে আয়ারল্যান্ডের কারবেরি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
অন্যতম সেরা আইরিশ ক্রিকেটারের মর্যাদা পেয়েছিলেন। ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। ১৮৮৯ থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত প্রথম একাদশে খেলেছেন। তন্মধ্যে, ১৮৯২ সালে ডাবলিনে ই. সি. স্ট্রিটফিল্ড, এফ. এস. জ্যাকসন, সি. এম. ওয়েলস ও এইচ. আর. ব্রোমলি-ডেভেনপোর্টসমৃদ্ধ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ৪৯ ও ৫৬ রান তুলেছিলেন। ঐ বছরের শেষদিকে আয়ারল্যান্ড জেন্টলম্যান দলের সদস্যরূপে আমেরিকা গমন করেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ১৮৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৮৯৩ সালে অসুস্থতার কবলে পড়লে নিজ দেশ ছেড়ে ট্রান্সভালে চলে আসেন। পরের বছর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার ইংল্যান্ড সফরের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। এ সফরে ১৪.৩২ গড়ে ৫০৮ রান ও ১৭.২৭ গড়ে পঞ্চাশ উইকেট পেয়েছিলেন। লিভারপুল ও ডিস্ট্রিক্টের বিপক্ষে ১১২ এবং আয়ারল্যান্ড জেন্টলম্যানের বিপক্ষে ৭৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর থেকে ট্রান্সভালের পক্ষে খেলতে থাকেন।
১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৯৫-৯৬ মৌসুমে নিজ দেশে লর্ড হকের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ২ মার্চ, ১৮৯৬ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের সদস্যরূপে খেলেন। পরবর্তীতে খেলাটি টেস্টের মর্যাদা পায়। চার্লি লিউইলিন, জর্জ রো, জর্জ শেপস্টোন ও বিলি ফ্রাঙ্কের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৩ ও ৭ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৫৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৯৭ রানে পরাভূত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
৩১ মে, ১৯০৮ তারিখে ট্রান্সভালের মারাইজবার্গ এলাকায় মাত্র ৩৭ বছর ৬১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
