২৫ মার্চ, ১৯৭২ তারিখে ভিক্টোরিয়ার মর্নিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ২০০০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১.৮২ মিটার উচ্চতার অধিকারী। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০১৬-১৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে ক্লাব পর্যায়ের ক্রিকেটে ফ্রাঙ্কস্টন পেনিনসুলা ও প্রাহরানের পক্ষে ২৮৪ খেলায় অংশ নিয়েছেন। সাত মৌসুম ফ্রাঙ্কস্টন পেনিনসুলা’র পক্ষে খেলার পর ২০০০-০১ মৌসুমে প্রাহরানের সাথে যুক্ত হন। এরপর থেকে পরবর্তী সতেরো বছর ট্রু ব্লুজের পক্ষে খেলে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। প্রিমিয়ারশীপে ২২.২৩ গড়ে ৫৩৩ উইকেট দখল করেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে টুরাক পার্কে প্রাহরানের সদস্যরূপে হকসের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৬/৬ লাভ করেন।
২০০১-০২ মৌসুম থেকে ২০১০-১১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বিগ ব্যাশ লীগে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সসহ ডেনমার্ক দলের পক্ষে খেলেছেন। ২০০১ সালে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন। ৩৮ উইকেট পেয়েছিলেন। ফলশ্রুতিতে, ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। ২০০৯-১০ মৌসুমের শেফিল্ড শীল্ডের শিরোপা বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। সেন্ট কিল্ডায় অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ২/২৯ ও ৪/৭০ লাভ করেছিলেন।
২০১০ সালে এসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট লাভের পক্ষে খেলেন। ২০০২ ও ২০০৩ সালে কোপেনহেগেনে ক্লাব ক্রিকেটে প্রশিক্ষণ গ্রহণকালীন ইংল্যান্ডে ডেনমার্কের সদস্যরূপে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে একদিনের খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। এরফলে ওয়ারিওয়নের ছোট্ট শহর জেগে ওঠে। ২০০৮-০৯ মৌসুমে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অজি দলের অন্যতম সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৩৬ বছর বয়সে ১৯ মার্চ, ২০০৯ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে কঠিন সময় অতিবাহিত করেন। ১৪৯ রান খরচ করলেও তিনি কোন উইকেট লাভে সক্ষম হননি। এছাড়াও, খেলায় তিনি ২ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। পল হ্যারিসের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২০ রানে জয়লাভ করলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
আরও পূর্বে প্রস্তুতিমূলক খেলার দুই দিন পূর্বে ও ব্যাঙ্গালোরে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে প্রত্যাশিত টেস্টের এক সপ্তাহ পূর্বে ডান কাঁধে আঘাত পান। ১৩ সপ্তাহ পর কাঁধের আঘাত থেকে সুস্থ হয়ে উঠেন। জুলাই ও আগস্টে অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড গমনের দিকে নজর দেন। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে সর্বমোট ২৭টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ৩৪.৮৬ গড়ে ৮৬ উইকেট দখল করেন। ক্রিকেটের বাইরে এএনজেড ব্যাংকিং গ্রুপে ফাইন্যান্স ও ইনফরমেশন টেকনোলজিতে পেশাদারী পর্যায়ে যুক্ত রয়েছেন।
