|

জেমস ক্রান্সটন

৯ জানুয়ারি, ১৮৫৯ তারিখে ওয়ারউইকশায়ারের বোর্ডস্লে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, বামহাতে বোলিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

টানটন কলেজে পড়াশুনো করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সতেরো বছর বয়সে দলটির সাথে প্রথম যুক্ত হন। ১৮৭৬ থেকে ১৮৯৯ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। শৌখিন ক্রিকেটার ছিলেন ও মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। এছাড়াও, অপূর্ব ফিল্ডিং করতেন। সোজাভাবে ব্যাট ধরতেন ও শক্ত প্রতিরক্ষাব্যূহ গড়ে তুলে ড্রাইভ মারতেন।

সব মিলিয়ে ১০৩টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। খেলাগুলো থেকে ১৯.৭১ গড়ে পাঁচটি শতক সহযোগে ৩৪৫০ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ৪৯টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ঐ সময়ে তাঁকে গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে পরিগণিত করা হতো। ‘বামহাতি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে খুব কম খেলোয়াড়ই তাঁর তুলনায় ক্রিকেটের ইতিহাসে ভূমিকা রেখেছেন’ বলে ব্যক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, ১৮৮৩ সালে দল ত্যাগ করে ১৮৮৫ সালে ওরচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেন। ১৮৮৬ থেকে ১৮৮৭ সাল পর্যন্ত ওয়ারউইকশায়ারের পক্ষাবলম্বন করেছেন। উভয় দলই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার মর্যাদাবিহীন ছিল।

১৮৮৯ সালে পুণরায় গ্লুচেস্টারশায়ারে ফিরে আসেন। ক্রমাগত ওজন বৃদ্ধির কারণে ফিল্ডিংয়ে দূর্বলতা ধরা পড়ে। তবে, ডব্লিউজি’র নেতৃত্বাধীন দলটিতে তা ধর্তব্যের মধ্যে ছিল না। কিন্তু, ব্যাটিংশৈলীর বেশ উত্তরণ ঘটে ও ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা বামহাতি ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পান। ১৮৯০ সালে গ্রেসের সাথে গড় ও রান সংগ্রহে অল্প পার্থক্য ছিল। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৫২ রান তুলেন।

১৮৯০ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর নিজ দেশে শেষ মুহূর্তে বিলি মারডকের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১১ আগস্ট, ১৮৯০ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ফ্রেড মার্টিন ও জন শার্পের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। নিম্নমূখী রানের খেলায় উভয় ইনিংস থেকে ১৬ ও ১৫ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করে দলের দুই উইকেটের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। পাশাপাশি, ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ জয় করে। জ্যাক বারেট সহজ রান-আউট করতে ব্যর্থ হলে ওভারথ্রোয়ের কারণে ইংল্যান্ড দল দুই উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। চার্লি টার্নারজে.জে. ফেরিসের বোলিং মোকাবেলায় তাঁর দক্ষতার কথা উইজডেনে তুলে ধরা হয়। ৯৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দলের সংগ্রহ ৩৪/৪ হলে ওয়াল্টার রিডের সাথে জুটি গড়েন। দলের জয় থেকে ১২ রান দূরে থাকা অবস্থায় বিদেয় নেন ও এরপর ইংল্যান্ড দল আরও চার উইকেট হারায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

দূর্ভাগ্যবশতঃ ১৮৯১ সালে খেলাকালীন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাঁকে অবসর গ্রহণ করেন। তবে, আট বছর পর ১৮৯৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পুণরায় খেলার জগতে ফিরে এসেছিলেন। এ পর্যায়ে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে আরও চারটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে, ১৮৮৯ ও ১৮৯০ সালে অর্জিত সাফল্যের ধারেকাছে ছিলেন না।

১৮৮০ সাল থেকে ব্রিস্টলের রেডল্যান্ড এলাকায় বসবাস করতে থাকেন। ১৮৮১ সালের আদমশুমারীতে তাঁর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ১০ ডিসেম্বর, ১৯০৪ তারিখে গ্লুচেস্টারশায়ারের ব্রিস্টলে মাত্র ৪৫ বছর ৩৩৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    সিকান্দার বখ্ত

    ২৫ আগস্ট, ১৯৫৭ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘদেহী ফাস্ট মিডিয়াম বোলার ছিলেন। অধিকাংশ পিচেই প্রাণবন্তঃ পেস বোলিং করতেন। সহজাত আউট-সুইঙ্গারে অধিকাংশ ব্যাটসম্যানের কাছেই সমীহের পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। ঐ সময়ে সেরা বোলারদের…

  • | | | |

    গ্রাহাম গুচ

    ২৩ জুলাই, ১৯৫৩ তারিখে এসেক্সের হুইপস ক্রস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত পেশাদার ক্রিকেটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাশাপাশি, স্লিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘জ্যাপ’ কিংবা ‘গুচি’ ডাকনামে ভূষিত গ্রাহাম গুচ ৬ ফুট…

  • |

    কেনেথ হাচিংস

    ৭ ডিসেম্বর, ১৮৮২ তারিখে কেন্টের টানব্রিজ ওয়েলসের কাছাকাছি সাউথবোরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। টনব্রিজ স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী চার ভ্রাতার সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন। সার্জন পিতার সন্তান হিসেবে তাঁরা সকলেই টনব্রিজ স্কুলের পক্ষে ক্রিকেট খেলেছেন। তন্মধ্যে,…

  • |

    জসুভাই প্যাটেল

    ২৬ নভেম্বর, ১৯২৪ তারিখে গুজরাতের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। অফ-স্পিন বোলিং করতেন। তবে, মিহির বসু তাঁকে সিম সহযোগে বোলিং করার কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯৪৩-৪৪ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত…

  • |

    কার্টলি অ্যামব্রোস

    ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে অ্যান্টিগুয়ার সুইটস ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটের পাশাপাশি বাস্কেটবল খেলায় দক্ষ ছিলেন। যুবক অবস্থায় বাস্কেটবল খেলতেন ও এ ক্রীড়ায় খেলোয়াড়ী জীবনে প্রবেশ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। সমুদ্র সৈকতে…

  • | | | |

    কৃষ শ্রীকান্ত

    ২১ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে তামিলনাড়ুর মাদ্রাজে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর অফ-ব্রেক বোলিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। ভারত ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদ্যুৎ প্রকৌশলী হিসেবে শিক্ষালাভ করেন। চেন্নাইভিত্তিক গুইন্ডির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। সহজাত প্রকৃতির তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ও অতিদ্রুততার সাথে ভারসাম্য বজায়…