৮ নভেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ১৯৮৩ সালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্ট ও তিনটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলো আন্তর্জাতিকই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে সোমাচন্দ্র ডি সিলভা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সাথে নিউজিল্যান্ড সফর করেন। এ সিরিজকে ঘিরে অনেক খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর একমাত্র আন্তর্জাতিক সিরিজে অংশগ্রহণে পরিণত হয়। ২ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন।
একই সফরের ৪ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। মিত্র ওয়েতিমুনি, সুশীল ফার্নান্দো, গাই ডি অলউইজ, রুমেশ রত্নায়েকে, শ্রীধরন জগন্নাথন ও বিনোদন জনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। স্যার রিচার্ড হ্যাডলি, ক্রিস কেয়ার্নস, ইয়ান চ্যাটফিল্ড ও মার্টিন স্নেডেনের ন্যায় তারকা বোলারদের অংশগ্রহণে বেশ কঠিন মুহূর্ত অতিক্রম করেন। ৪ ও ৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ওয়ারেন লিজের অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৫ রানে জয় পেয়ে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
তাসত্ত্বেও, প্রত্যেক ইনিংসেই খেলার মানের উত্তরণ ঘটাতে থাকেন। ১১ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টের প্রথম ইনিংসে চারটি ক্যাচ তালুবন্দী করে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন। পরবর্তীতে এক দশক পর আরেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার হাসান তিলকরত্নে তাঁর এ রেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, ১৩ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে সোমাচন্দ্র ডি সিলভা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১১ মার্চ, ১৯৮৩ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৩ রান অতিক্রম করেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ১৩ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, পাঁচটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ৬ উইকেটে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। প্রসঙ্গতঃ এটিই নিউজিল্যান্ডের প্রথমবারের মতো উপর্যুপরী দ্বিতীয় টেস্ট জয় ছিল। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন। একই দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজে অংশ নেন। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলীর আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হলে দল থেকে বাদ পড়েন।
