১৫ অক্টোবর, ১৯৮৫ তারিখে পাঞ্জাবের হাজরো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ২০০০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলিং প্রতিভা ছিলেন। প্রচণ্ড দম নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। আটকের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলাকালীন ইয়াসির আলী প্রথমবারের মতো চিহ্নিত হন। এরপর, পাকিস্তানের ন্যাশনাল একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেন। এ পর্যায়ে একাডেমি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকায় সফলতম সফর সম্পন্ন করেন।
২০০৩ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে ফেডারেল এরিয়াজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, রাওয়ালপিন্ডি রামসের পক্ষে খেলেছেন। ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৩ তারিখে মুলতানে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশের মধ্যকার টেস্টে অংশ নেয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে।
২০০৩ সালে পাকিস্তানের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমে নিজ দেশে খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ১৯ বছর বয়সে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। এর পূর্বে তিনি কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাননি। ৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৩ তারিখে মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ফারহান আদিল ও সালমান বাটের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। পাশাপাশি, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটেও অভিষেক ঘটে। খেলার শুরুতে স্নায়বিক দূর্বলতায় ভুগলেও পরবর্তীতে খেলায় তিনি পরিপক্ক হয়ে উঠেন। দুই উইকেট পান। ১/৪৩ ও ১/১২ লাভ করেন। তবে, ইনজামাম-উল-হকের ১৩৮ রানের অপরাজিত শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা নাটকীয়ভাবে এক উইকেটে জয় পায় ও ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
বেশ ভালোমানের বোলিং কৌশল অবলম্বন করতেন ও নিখুঁততার ছাঁপ পরিলক্ষিত হয়। তবে, পাকিস্তান দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে ক্রমাগত উপেক্ষার পাত্রে পরিণত হন। ক্লাব ক্রিকেটের দিকে মনোনিবেশ ঘটান। ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রফেসনাল লীগ ক্রিকেটে অ্যাইন্সডেল ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে লিভারপুল কম্পিটিশন খেলেন। এরপর, নর্থ স্টাফস এন্ড সাউথ চেশায়ার ক্রিকেট লীগে এলওয়ার্থ সিসির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
