|

ওয়েন ব্র্যাডবার্ন

২৪ নভেম্বর, ১৯৩৮ তারিখে ওয়াইকাতোর থেমস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে সফলতা পেলে তাঁকে ব্যাটিং উদ্বোধন করার সুযোগ দেয়া হয়। বিস্ময়করভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার জন্যে তাঁকে টেস্ট দলে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু, ঐ মৌসুমে তাঁর খেলার মান তেমন সুবিধের ছিল না ও প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কোন শতরানের সন্ধান পাননি।

১৯৬৪ সালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। সবকটিই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে নিজ দেশে ট্রেভর গডার্ডের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে ৩২ ও ১৪ রান তুলতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ১৩ মার্চ, ১৯৬৪ তারিখে অকল্যান্ডে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ২ ও ১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। শেষ ১৩ মিনিট বৃষ্টিবিঘ্নিত হলে নিশ্চিত পরাজয় এড়াতে সক্ষম হয়। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। পাশাপাশি, টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার নিষেধাজ্ঞার কবলের পূর্বে এটিই নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার সর্বশেষ খেলা ছিল।

তবে, ১৯৬৫ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাঁকে দলে রাখা হয়নি। পরবর্তী গ্রীষ্মে নিজস্ব প্রথম ও একমাত্র শতক হাঁকান। অকল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৭ রান তুলেছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তাঁর পুত্র গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট খেলেছে। এরফলে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সপ্তম পিতা-পুত্রের অন্যতম হিসেবে টেস্টে অংশ নিয়েছেন।

২৫ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে হ্যামিল্টনে ৬৯ বছর ৩০৬ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | |

    অতুল বাসন

    ২৩ মার্চ, ১৯৬৮ তারিখে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৯০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে বেশ সাড়া জাগান। কঠোর পরিশ্রমী মিডিয়াম-পেস বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। রজার বিনি ও মদন লালের…

  • |

    ভিনসেন্ট ট্যানক্রেড

    ৭ জুলাই, ১৮৭৫ তারিখে কেপ প্রভিন্সের পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হতেন। উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৮৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ১৮৯৮-৯৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ১৮৯৮-৯৯ মৌসুমে লর্ড…

  • |

    আইজাক বাইস

    ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৫ তারিখে কেপ কলোনির সমারসেট ইস্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২১-২২ মৌসুম থেকে ১৯২৪-২৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর…

  • | |

    ডিক পাওয়ার

    ১৯ এপ্রিল, ১৮৬৫ তারিখে লিচেস্টারের হাম্বারস্টোন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৮৬ থেকে ১৯০১ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। বেশ উচ্চ ভঙ্গীমায় মিডিয়াম-পেস…

  • | |

    ফিল সিমন্স

    ১৮ এপ্রিল, ১৯৬৩ তারিখে ত্রিনিদাদের অ্যারিমা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা প্রদর্শন করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। কৈশোরে সকল ধরনের খেলায় পারদর্শী ছিলেন। তবে, পরবর্তীতে ক্রিকেটের দিকেই অধিক ঝুঁকে পড়েন। গর্ডন গ্রীনিজকে…

  • |

    ওয়াসিম জাফর

    ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। ২০০০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০১৯-২০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই, বিদর্ভ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, আবাহনী লিমিটেড, রয়্যাল…