৩ ডিসেম্বর, ১৮৫৪ তারিখে ইংল্যান্ডের লিটল মারলো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
মার্লবোরা কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ২৪ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসিত হন। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ১৮৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৮৮৯ থেকে ১৮৯২ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৮৮-৮৯ ও ১৮৯১-৯২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের প্রথম তিন টেস্ট খেলেন। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে নিজ দেশে অব্রে স্মিথের নেতৃত্বাধীন সফররত এমসিসি দলের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথের জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অন্য সকলের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১ ও ১৯ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ৮ উইকেটে পরাজিত হলে তাঁর দল দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
১৮৯১-৯২ মৌসুমে নিজ দেশে ওয়াল্টার রিডের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৯ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৯ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ২১ ও ১৬ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে জে. জে. ফেরিসের শিকারে পরিণত হন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/২৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ১৮৯ রানে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
ক্রিকেটের পাশাপাশি রাগবি খেলায়ও সিদ্ধহস্তের অধিকারী ছিলেন। ১৮৭৪ থেকে ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাগবিতে অংশ নিয়েছেন ও থ্রী-কোয়ার্টার অবস্থানে খেলতেন। ১৮৭৮ সালে কেপ সিভিল সার্ভিসে যোগদানের পর দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগ করেন। এরপর, সাউদার্ন রোডেশিয়ার প্রশাসক হন। ১৯১৪ সালে শারীরিক কারণে অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত ১৬ বছর এ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। খেলাধূলার সম্প্রসারণে বিশেষতঃ রাগবিতে সবিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডে চলে যান ও জীবনের শেষের বছরগুলোয় কানে কাটান।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। জাম্বো মিল্টন নামীয় সন্তান ইংল্যান্ডের পক্ষে রাগবি ও দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিলেও টেস্ট দলে খেলার সুযোগ পায়নি। ৬ মার্চ, ১৯৩০ তারিখে ফ্রান্সের কানে ৭৫ বছর ৯৩ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
