৩ জুলাই, ১৯৫২ তারিখে পাঞ্জাবের মুলতানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও রেফারি ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

বর্ণাঢ্যময় বামহাতি স্ট্রোকপ্লের অধিকারী ছিলেন। এছাড়াও, কার্যকর লেগ-স্পিন বোলিং করতেন। মাঝে-মধ্যে বোলিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি। সহজাত অল-রাউন্ডার হিসেবে পাকিস্তানের পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, কভার অঞ্চলে অসাধারণ ফিল্ডিং করতেন।

তিন ভ্রাতার জ্যেষ্ঠ ছিলেন ও প্রত্যেকেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে, রমিজ রাজা পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণসহ অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন ও বর্তমানে টিভি ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা পালনে খ্যাতি অর্জন করেন। জাইম রাজা ন্যাশনাল ব্যাংকে খেলেছেন। পিতা রাজা সেলিম আখতার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সারগোদার অধিনায়কত্ব করেছেন।

১৯৬৭-৬৮ মৌসুম থেকে ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে লাহোর, পাকিস্তান ন্যাশনাল ব্যাংক, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাঞ্জাব, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় ও সারগোদা এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কম্বাইন্ড ইউনিভার্সিটিজের পক্ষে খেলেছেন।

১৫ বছর বয়সে লাহোরের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। এ সময়ে তিনি গভর্নমেন্ট কলেজে পড়াশুনো করতেন। এরপর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানেই ক্রিকেট খেলায় অংশ নেয়াসহ পড়াশোনায় চমৎকার সাফল্য পান। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে প্রথম হন। পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সমসাময়িক ইমরান খানের সাথে প্রায়শঃই অনুশীলনকালে প্যাড পরিধান করতেন না। ২৫০টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে ১১৪৩৪ রান ও ৫৫৮ উইকেট দখল করেছেন।

১৯৭৩ থেকে ১৯৮৫ সময়কালে সব মিলিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে ৫৭ টেস্ট ও ৫৪টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে ইন্তিখাব আলমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। এ সফরে স্থলাভিষিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১০ ও ৪১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। এ সফরেই ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন।

একই সফরের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৪১ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ১ ও ৪৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে জিএম টার্নারকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ১/৯। খেলায় তিনি ১/৯ ও ৩/৩২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়েছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ড সফরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হন। ঐ সফরে গড়ের দিক দিয়ে দলের সর্বোচ্চ স্থানে ছিলেন। লর্ডসে দুইটি প্রাণবন্তঃ ইনিংস খেলেন। উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, নিষ্প্রাণ উইকেটে ডেরেক আন্ডারউডের ন্যায় বোলারদের রুখে দিয়ে শট নির্বাচনে ‘প্রভূত্ব’ দেখিয়েছেন।

ঐ বছরের শীতকালে করাচীতে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম শতরানের সন্ধান পান। তিন অঙ্কের কোটায় স্পর্শ করার পরপরই শুভাকাঙ্খীরা সীমানা প্রাচীর টপকে অভিনন্দন জানাতে মাঠে চলে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১ টেস্টে অংশ নিয়েছেন। অ্যান্ডি রবার্টস, ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার, কলিন ক্রফ্টের ন্যায় ভীতিদায়ক ফাস্ট বোলারদের রুখে দিয়ে ৫৭.৪৩ গড়ে ৯১৯ রান তুলেছিলেন। ঐ সময়ে গড়ের দিক দিয়ে কেবলমাত্র গ্রেগ চ্যাপেল তাঁর তুলনায় এগিয়েছিলেন।

১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে মুশতাক মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ৪ মার্চ, ১৯৭৭ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ৬৫ ও ৮৪ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ১/১৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, কলিন ক্রফ্টের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর বদৌলতে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে জয় পায় ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

এছাড়াও, ভারতের বিপক্ষেও চমৎকার সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ভারত সফরে দুইবার নব্বুইয়ের কোটায় বিদেয় নিয়েছিলেন। এ সময়ে সম্মুখসারির বেশ কয়েকজন তারকা ব্যাটসম্যান প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকলেও তিনি ৫৬.২৫ গড়ে ৪৫০ রান তুলেছেন। জলন্ধরে ভারতের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। একই খেলায় ব্যক্তিগত সেরা ৪/৫০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।

১৯৮০-৮১ মৌসুমে নিজ দেশে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। এরপর, ২২ ডিসেম্বর, ১৯৮০ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত একই দলের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ২ ও ৭৭* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে নিজে দেশে বব উইলিসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২ মার্চ, ১৯৮৪ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বীয় ভ্রাতা রমিজ রাজা’র সাথে একত্রে অংশ নেন। এরফলে, চার মোহাম্মদ ভ্রাতাদের পর দ্বিতীয় ঘটনা হিসেবে একই টেস্টে অংশ নিয়েছেন। ৩ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ০/১ ও ২/২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, আব্দুল কাদিরের অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে পাকিস্তান দল নাটকীয়ভাবে তিন উইকেটে জয়লাভ করেছিল। এরফলে, নিজ দেশে তেরোবার প্রচেষ্টায় প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়। স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই মৌসুমে জহির আব্বাসের নেতৃত্বে পাকিস্তানী দলের সাথে ভারত গমন করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৩ তারিখে জলন্ধরে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। ১২৫ রান সংগ্রহসহ ৪/৫০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করেছিলেন। তাঁর অনবদ্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে জাভেদ মিয়াঁদাদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৮৫ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৪ ও ১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৯৯ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

অনেকগুলো বছর ডারহামের পক্ষে মাইনর কাউন্টিজ ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সেখানে অবস্থানকালেই অ্যানি নাম্নী প্রমিলা ক্রিকেটারের সাথে পরিচয় ঘটে ও পরবর্তীতে পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির আলী ও আহমেদ নামীয় সন্তান রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা বিষয়ে সনদধারী হন। সেখানে এক পর্যায়ে গুরুতর গাড়ী দূর্ঘটনার কবলে পড়লে তাঁর জীবন সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। তাসত্ত্বেও, পুণরায় খেলার জগতে ফিরে আসেন। ১৯৯০ সালে ইউএইউ চ্যাম্পিয়নশীপে ডারহামের শিরোপা বিজয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন। চূড়ান্ত খেলায় ৫০ রান তুলেছিলেন তিনি। এরপর, ক্যাটারহাম স্কুলে ভূগোল ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষকতা করেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কিছুকাল জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজে আইসিসি ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে ছিলেন। এ পর্যায়ে ১৫টি টেস্ট ও ৩৪টি ওডিআই পরিচালনা করেছিলেন তিনি। সর্বদাই নিজের খেলার ধরন ও ফুরফুরে মেজাজের কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মৃদু হাস্য ও আমুদে ব্যক্তি হলেও মাঝে-মধ্যেই পাকিস্তান বোর্ডের সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তেন।

হাই ওয়েকম্বে সারের পঞ্চাশোর্ধ্ব দলের পক্ষে ৫৪ বছর বয়সে খেলতে নামেন। কয়েক ওভার বোলিংয়ের পর সতীর্থ খেলোয়াড়দেরকে তাঁর মাথা ঘোরার বিষয়ে জানান। ফলশ্রুতিতে, তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাবার প্রাক্কালে বাউন্ডারি সীমানায় পড়ে যান। এরপর আর সুস্থ হননি। ২৩ আগস্ট, ২০০৬ তারিখে বাকিংহামশায়ারের মার্লো এলাকায় ৫৪ বছর ৫১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। ওয়াসিম আকরাম তাঁর স্মৃতিচারণে কিভাবে খেলা দেখতে যেতেন ও মারকুটে ব্যাটিংয়ের কারণে দর্শকদের কাছ থেকে জনপ্রিয়তা লাভের কথা জানান। জাভেদ মিয়াঁদাদ মন্তব্য করেন যে, তাঁর মৃত্যুতে দেশ একজন সেরা ক্রিকেটারকে, চমৎকার ক্রীড়াবিদকে ও সত্যিকারের দূতকে হারালো। ইমরান খান মন্তব্য করেন যে, সব মিলিয়ে তিনি ভিন্ন শ্রেণীভুক্ত ছিলেন ও ব্যাটিংয়ের পরিপক্কতা নিয়ে তিনি তাঁর বয়সের চেয়েও এগিয়েছিলেন।

Similar Posts

  • |

    একনাথ সোলকার

    ১৮ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম কিংবা স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘এক্কি’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। বোম্বের ক্রিকেটের ভিত্তি গড়ার ক্ষেত্রে তিনি কল্পনাতীত ভূমিকা রেখেছিলেন। কার্যকর বামহাতি ব্যাটসম্যান হলেও বামহাতে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ের…

  • |

    জ্যাক হবস

    ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৮২ তারিখে কেমব্রিজে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। ইংরেজ ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। প্রথম পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ১৯৫৩ সালে নাইট উপাধীতে ভূষিত হয়েছিলেন। প্রায় ত্রিশ বছর পেশাদারী পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন। হার্বার্ট সাটক্লিফ ও লেন হাটনের সাথে তাঁকেও বৈশ্বিকভাবে সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা দেয়া হয়। ‘দ্য মাস্টার’ নামে পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘ খেলোয়াড়ী জীবনে…

  • |

    রঙ্গা সোহনী

    ৫ মার্চ, ১৯১৮ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের নিম্বাহেরায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারত দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বরোদা, হিন্দু, মহারাষ্ট্র ও বোম্বে দলের…

  • |

    সিএস নায়ড়ু

    ১৮ এপ্রিল, ১৯১৪ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। প্রতিযোগীধর্মী বোলার ছিলেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে লেগ-স্পিনার হিসেবে তারকা খ্যাতি লাভ করেন। বিখ্যাত ক্রিকেটার সিকে নায়ড়ু’র বর্ণাঢ্যময় খ্যাতির পিছনে থেকে নিজেকে স্ব-মহিমায়…

  • |

    ল্যান্স কেয়ার্নস

    ১০ অক্টোবর, ১৯৪৯ তারিখে মার্লবোরার পিকটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে এগিয়ে আসতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম মারকুটে ব্যাটসম্যানের মর্যাদা পেয়েছেন। সুইং বোলারদের বিপক্ষে খেলতে অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। বড় ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও পর্যাপ্ত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।…

  • |

    জেপি ডুমিনি

    ১৪ এপ্রিল, ১৯৮৪ তারিখে কেপ প্রভিন্সের স্ট্রান্ডফন্তেইন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলেছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘জেপি’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ১.৭০ মিটার উচ্চতার অধিকারী। জন ডুমিনি ও জুনিটা বার্গম্যান দম্পতির সন্তান তিনি। কিশোর বয়সেই প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। মাঠের সর্বত্র শট…