১১ নভেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পেশাওয়ার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন।
১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৯-১০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক, পেশাওয়ার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও রাওয়ালপিন্ডির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৯৯ থেকে ২০০০ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে ছয়টিমাত্র টেস্ট ও ১৫টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম খেলায় অংশ নিতে ওয়াসিম আকরামের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে ভারত সফরে যান। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৬ ও ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, সাঈদ আনোয়ারের অসামান্য ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৪৬ রানে জয় পায়।
একই মৌসুমে নিজ দেশে হাসান তিলকরত্নে’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ৪ মার্চ, ১৯৯৯ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের তৃতীয় খেলায় অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ১৩৩ ও ১২১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর জোড়া শতকের কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও শ্রেয়তর রান-রেটে শ্রীলঙ্কান দল চূড়ান্ত খেলায় ভারতের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।
১৬ মে, ১৯৯৯ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন। লর্ডসে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তাঁর দল রানার্স-আপ হয়।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে পাকিস্তান দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন।
২০০০ সালে মঈন খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করেন। ৫ মে, ২০০০ তারিখে জর্জটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
