ভিক স্টলমেয়ার
২৪ জানুয়ারি, ১৯১৬ তারিখে ত্রিনিদাদের সান্তা ক্রুজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুম থেকে ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ৩৩টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ব্যাট হাতে ৪২ গড়ে রান সংগ্রহ ও ৪০ গড়ে উইকেট লাভ করেছেন।
১৯৩৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে রল্ফ গ্রান্টের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরের শুরুতে অসুস্থতার কবলে পড়েন। ১৯ আগস্ট, ১৯৩৯ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। টাইরেল জনসনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পূর্বেকার শেষ খেলায় অংশ নেন। সহোদর ও ঐ টেস্টে দলীয় অধিনায়ক জেফ স্টলমেয়ার তাঁকে টেস্ট ক্যাপ প্রদান করেন।
চার নম্বর অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নামেন। জর্জ হ্যাডলি’র রান-আউটে অংশ নেন। একমাত্র টেস্ট ইনিংসে ১৫০ মিনিট ব্যয় করে ৯৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এ পর্যায়ে ব্যাম ব্যাম উইকসের সাথে ১০০ মিনিট থেকে ১৬৩ রানের জুটি দাঁড় করিয়েছিলেন। গডার্ডের বল থেকে উড স্ট্যাম্পিং করে তাঁকে বিদেয় করেন। তাঁর ইনিংসটিতে ১১টি চারের মার ছিল। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে লেন হাটন ও ওয়ালি হ্যামন্ডের শতকের কল্যাণে আর ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। এ রান সংগ্রহের কারণে ৩০৫ পয়েন্ট লাভ করেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯ তারিখে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে ৮৩ বছর ২৪০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জেফ স্টলমেয়ার তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা ছিলেন।