| |

ভার্নন ফিল্যান্ডার

২৪ জুন, ১৯৮৫ তারিখে বেলভিল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংয়ে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

‘প্রো’ কিংবা ‘দ্য সার্জন’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। দ্রুততম বোলার না হলেও উপযোগী পরিবেশে সর্বাপেক্ষা বিপজ্জ্বনক বোলারে পরিণত হতেন। বলে নিখুঁতভাব বজায় রাখতেন ও সিম আনয়ণ করতে পারতেন। লাল-বল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম বিশ্বস্ত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে ২০১৯-২০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে কেপ কোবরাজ, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট, মিডলসেক্স, নটিংহ্যামশায়ার ও সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ডেভন, জ্যামাইকা তল্লাজ, সাউথ ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে খেলেছেন। ৩১ মার্চ, ২০০৪ তারিখে কেপটাউনে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স বনাম কোয়াজুলু-নাটালের মধ্যকার খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। ২০০৬-০৭ মৌসুমে কেপ কোবরাজের পক্ষে দারুণ খেলেন। ব্যাট হাতে ৭২ গড়ে রান পান ও বল হাতে ৩০ গড়ে উইকেট লাভ করেন। দূর্দান্ত খেলার সুবাদে তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বমোট ৬৪ টেস্ট, ৩০টি ওডিআই ও সাতটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ২৪ জুন, ২০০৭ তারিখে বেলফাস্টে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে স্মরণীয় অভিষেক ঘটে। চার উইকেট লাভ করে দলের বিজয়ে ভূমিকা রাখেন। এরফলে, ২০০৭ সালের বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পান।

২০১১-১২ মৌসুমে নিজ দেশে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ৯ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ইমরান তাহিরের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে টেস্টে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। খেলায় তিনি ৩/৬৩ ও ৫/১৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

 
একই সফরের ১৭ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্সে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১/৪৭ ও ৫/৭০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পাশাপাশি, ব্যাট হাতে নিয়ে ০ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। প্যাট কামিন্সের অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর সুবাদে সফরকারীরা ২ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ে পরিণত হয়। ঐ সিরিজে ২৭ রান সংগ্রহসহ ১৪ উইকেট দখল করে তিনি ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

নিজের তৃতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উপর্যুপরী দুইবার পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। এরফলে, প্রথম তিন টেস্ট থেকে পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে উভয় ইনিংসে পাঁচ-উইকেট লাভের কৃতিত্বের অধিকারী হন।

একই মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের অন্যতম সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ৭ মার্চ, ২০১২ তারিখে ডুনেডিনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৪/৭২ ও ১/২৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর বদান্যতায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

এরপর, ১৫ মার্চ, ২০১২ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনসহ ব্যক্তিগত সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সিএস মার্টিনকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৫/১৫। খেলায় তিনি ৪/৭০ ও ৬/৪৪ লাভ করেন। তাঁর অসাধারণ বোলিং কীর্তিতে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই সফরের ২৩ মার্চ, ২০১২ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ২৩ রান অতিক্রম করেন। একবার ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি ২৯ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ডিএজে ব্রেসওয়েলের পঞ্চম উইকেট লাভ করে টেস্টে ৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৬/৮১ ও ০২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে।

২০১২ সালে জাতীয় পর্যায়ে চুক্তিবদ্ধ হন। এ পর্যায়ে এসে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করতে থাকেন। অভিষেকের পর থেকে ১৩৯ দিনে নিজের সপ্তম টেস্টে ৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ছয়বার পাঁচ-উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে এ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। পরের বছর আরও কয়েকটি খেলায় দারুণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে নিজস্ব ১৯শ খেলায় শত উইকেট লাভের মাইলফলকে পৌঁছেন। এরফলে, যৌথভাবে সপ্তম বোলার হিসেবে এ সাফল্য পান।

২০১২-১৩ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবারের টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের অন্যতম সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ৯ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ০/১০৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১১ ও ১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের অসাধারণ দ্বি-শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই মৌসুমে নিজ দেশে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২ জানুয়ারি, ২০১৩ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৫/৭ ও ২/৭৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৭ রানে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১২-১৩ মৌসুমে নিজ দেশে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৬১ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৭৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৩০ ও ০/৩২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। কাইল অ্যাবটের দূর্দান্ত বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৮ রানে জয় পেলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে।

২০১৩-১৪ মৌসুমে নিজ দেশে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ১৫ ও ২৬* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, ১/৬৯ ও ০/২৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। মিচেল জনসনের অনবদ্য বোলিং কৃতিত্বে স্বাগতিকরা ২৮১ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ বছর হাশিম আমলা’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ের গমন করেন। ৯ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৫১ ও ০/২৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। অভিষেক ঘটা ডেন পাইতের বোলিং কল্যাণে সফরকারীরা ৯ উইকেটে জয় পায়।

২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ২ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে আরএএস লকমলের দ্বিতীয় উইকেট লাভ করে টেস্টে ১৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। বল হাতে নিয়ে ৪/২৭ ও ৩/৪৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ২০ ও ১৫* রান সংগ্রহ করেন। তবে, কাগিসো রাবাদা’র বোলিং দাপটে স্বাগতিকরা ২৮২ রানে জয়লাভ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

একই মৌসুমে ফাফ ডু প্লিসি’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২৫ মার্চ, ২০১৭ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ২ রানে পৌঁছানোকালে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৭৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

২০১৭-১৮ মৌসুমে নিজ দেশে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ২/৩১ ও ৩/৬১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৩৫ ও ১০ রান সংগ্রহ করে উভয় ক্ষেত্রেই মোহাম্মদ শমি’র শিকারে পরিণত হন। তবে, ভুবনেশ্বর কুমারের অসাধারণ অল-রাউন্ড কৃতিত্বে স্বাগতিকরা ৬৩ রানে পরাজিত হলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। এ সিরিজে ৯৪ রান সংগ্রহসহ ১৫ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

একই মৌসুমে নিজ দেশে টিম পেইনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ৩০ মার্চ, ২০১৮ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। কয়েকবার ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৬/৪২। এ পর্যায়ে এমআর মার্শের দ্বিতীয় উইকেট লাভ করে টেস্টে ২০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৩/৩০ ও ৬/২১ পান। এছাড়াও, ১২ ও ৩৩* রান সংগ্রহ করেন। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ৪৯২ রানে জয় পেলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

২০১৯-২০ মৌসুমে নিজ দেশে জো রুটের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২/৫০ ও ০/১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৪ ও ১০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। প্রতিপক্ষীয় মার্ক উডের অসাধারণ অল-রাউন্ড সাফল্যে স্বাগতিকরা ১৯১ রানে পরাভূত হলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

২০২০ সালের শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। ১৪ জুলাই, ২০২০ তারিখে লুঙ্গি এনগিডি’র বিএলএম অবস্থানে মাখায়া এনটিনি, জেপি ডুমিনি ও হার্শেল গিবসের সাথে একত্রে স্বাক্ষর করেন।

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা টি২০ বিশ্বকাপকে ঘিরে ম্যাথু হেইডেনের অধীনে পাকিস্তানের বোলিং কোচ হিসেবে তাঁকে মনোনীত করেন।

Similar Posts

  • | |

    এরিক ডেম্পস্টার

    ২৫ জানুয়ারি, ১৯২৫ তারিখে ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সরব ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • |

    চার্লি টার্নার

    ১৬ নভেম্বর, ১৮৬২ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের বাথহার্স্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে ভূমিকা রেখে নিজেকে স্মরণীয় করে রেখেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। চার্লস বায়াস টার্ন ও মেরি অ্যান দম্পতির সন্তান ছিলেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। বাথহার্স্ট…

  • | |

    খালেদ মাসুদ

    ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬ তারিখে উত্তরাঞ্চলীয় শহর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিংকর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করেন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট দলের দ্বিতীয় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। টেস্টভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দলের স্বীকৃতি লাভের প্রথম দশকে দলের সেরা উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা পান। কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করার মানসিকতা…

  • |

    জন স্নো

    ১৩ অক্টোবর, ১৯৪১ তারিখে ওরচেস্টারশায়ারের পিপলস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে আট বছর ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। অস্ট্রেলীয় হলে হয়তোবা সুস্থ থাকা অবস্থায় প্রত্যেক টেস্টেই নিশ্চিতভাবে খেলতে পারতেন। একরোখা মনোভাব ও জটিল প্রকৃতির কারণে ইংরেজ দল নির্বাচকমণ্ডলী তাঁর উপর নাখোশ ছিলেন। ফলশ্রুতিতে মাত্র ৪৯ টেস্টে অংশ নেয়ার…

  • |

    মৈয়াঙ্ক আগরওয়াল

    ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। প্রণব কুমার পাণ্ডে ও সুচিত্রা সিং দম্পতির সন্তান তিনি। একই এলাকা থেকে রাহুল দ্রাবিড়ের ন্যায় তারকা খেলোয়াড়ের উত্থান ঘটলেও তাঁর…

  • |

    কাইল জেমিসন

    ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত তিনি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। ‘কিলা’ ডাকনামে ভূষিত কাইল জেমিসন ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির দীর্ঘ উচ্চতার অধিকারী। বেশ লম্বাটে গড়ন নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হন ও পেস বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের…