টাইরেল জনসন
১০ জানুয়ারি, ১৯১৭ তারিখে ত্রিনিদাদের টুনাপুনা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। বামহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৩০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
বেশ লম্বাটে ও শীর্ণকায় গড়নের অধিকারী ছিলেন। ক্ষীপ্রতা সহকারে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। এছাড়াও, প্রয়োজনে কার্যকর ইন-সুইং করতেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৩৫-৩৬ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।
১৯৩৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর রল্ফ গ্রান্টের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ১৯ আগস্ট, ১৯৩৯ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ভিক স্টলমেয়ারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। প্রথম বলেই উইকেট লাভের কৃতিত্বের অধিকারী হন ও তালিকায় ঠাঁই করে নেন। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ওয়াল্টার কিটনকে বিদেয় করেন। এরপর, লেন হাটনকে কট এন্ড বোল্ড করেন এবং বার্ট ওল্ডফিল্ড তাঁর শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। খেলায় তিনি ২/৫৩ ও ১/৭৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
এছাড়াও, এ সফরে ওরচেস্টারের প্রস্তুতিমূলক খেলায় প্রথম বলেই উইকেট লাভ করেছিলেন। সব মিলিয়ে এ সফরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৬ উইকেট দখল করেছিলেন। কিন্তু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অনেকের ন্যায় তিনিও আর কোন টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করা থেকে বঞ্চিত হন। ৫ এপ্রিল, ১৯৮৫ তারিখে ত্রিনিদাদের কুভা এলাকায় ৬৮ বছর ৮৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।