|

ট্রেভর বেইলি

৩ ডিসেম্বর, ১৯২৩ এসেক্সের ওয়েস্টক্লিফ-অন-সী এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, সাংবাদিক ও লেখক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ডালউইচ কলেজে অধ্যয়ন শেষে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। ‘বার্নাকল’ কিংবা ‘দ্য বয়েল’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৭ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন।

১৯৪৯ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ৬১ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৪৯ সালে নিজ দেশে ওয়াল্টার হ্যাডলি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১১ জুন, ১৯৪৯ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অ্যালান হোয়ারটনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান। ৬/১১৮ ও ০/৫১ লাভ করেন। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।

লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে ৯৩ রান তুলেন। একইদিনে ডেনিস কম্পটন শতক হাঁকালেও অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকই তাঁর সংগৃহীত রানকে প্রাণবন্তঃরূপে আখ্যায়িত করেছিলেন। এছাড়াও, ২৩ জুলাই, ১৯৪৯ তারিখে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৬/১১৮। খেলায় তিনি ৬/৮৪ ও ১/৭১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, দলের একমাত্র ইনিংসে ৭২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৫০-৫১ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে ফ্রেডি ব্রাউনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড সফরে যান। ১৭ মার্চ, ১৯৫১ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৯৩ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে ৯৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পাশাপাশি, টেস্টে নিজস্ব প্রথম শতক হাঁকান। একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৫০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৫৫ সালে নিজ দেশে জ্যাক চিদামের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৯ জুন, ১৯৫৫ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ১৪ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৮ ও ২/২১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৫ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ২১ জুলাই, ১৯৫৫ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৯ ও ৮ রান সংগ্রহ করেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত ১ রানে থাকাকালে পরবর্তী ৭৯ মিনিট তিনি কোন রান সংগ্রহ করতে পারেননি। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/২৩ ও ৩/৯৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ২২৪ রানে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে পিটার মে’র নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। এ সিরিজে স্বাগতিক দল ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেও পরবর্তীতে ২-২ ব্যবধানে সিরিজে সমতা আনয়ণে সমর্থ হয়। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৬ তারিখে ওয়ান্ডারার্সে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৬ ও ১০ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে পিটার হেইনের শিকারে পরিণত হন। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৩৩ ও ৫/২০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ১৩১ রানে জয়লাভ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ২৫ জানুয়ারি, ১৯৫৭ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৬৫ রানে থাকাকালে পরবর্তী ৬০ মিনিটে ৫৫ বল মোকাবেলা করেও কোন রান সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত ১৩ ও দলীয় সংগ্রহ ৪৮/১ থাকাকালে আঘাতের কবলে পড়েন। এরপর, দলীয় সংগ্রহ ১৬৭/৫ থাকাকালে পুণরায় মাঠে নামেন। খেলায় তিনি ৮০ ও ১৮ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

এরপর, ১ মার্চ, ১৯৫৭ তারিখে জিকিবার্হায় অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রথম ইনিংসে ১৩ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১৩ ও ১ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৩/৫৪ ও ২/১২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। স্বাগতিকরা ৫৮ রানে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ড্রয়ে পরিণত হয়।

১৯৫৭ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের মুখোমুখি হন। লর্ডস টেস্টে শক্তিধর ব্যাটিং নিয়ে অগ্রসরমান দলটির বিপক্ষে খেলায় ৯৮ রান খরচায় ১১ উইকেট দখল করেন। এ পর্যায়ে দ্রুতগতির অপূর্ব বোলিংশৈলীর প্রদর্শন ঘটিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে ৭/৪৪ পান। এটি টেস্টে তাঁর দ্বিতীয় সেরা বোলিং ছিল। এর তিন বছর পূর্বে কিংস্টনে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৭/৩৪ পেয়েছিলেন।

১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে পিটার মে’র নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের অন্যতম সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ব্রিসবেন টেস্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ টেস্টের এক অধিবেশন থেকে সর্বনিম্ন রান সংগ্রহের ন্যায় অমর্যাদাকর রেকর্ডের সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। চতুর্থ দিন মধ্যাহ্নবিরতির পূর্বে তিনি মাত্র আট রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধ-শতক হাঁকাতে ৩৫৭ মিনিট সময় ব্যয় করেন।

একই সফরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮৫৯ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি রে লিন্ডওয়ালের বলে উভয় ইনিংসে শূন্য রানে বিদেয় নেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৪৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ৯ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

১৯৯৪ সালের রাণীর জন্মদিনের সম্মাননায় ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ সিবিই উপাধিতে ভূষিত হন। ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ব্যবসায়ে মনোনিবেশ ঘটান ও সাউদেন্ড ইউনাইটেডের পরিচালক হন। গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ২৫ বছর দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে ক্রিকেট ও ফুটবল বিষয়ে লিখতেন। এরপর, ধারাভাষ্যকর্মের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত বিবিসি’র টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে ক্রিস্টোফার-মার্টিন জেনকিন্স, ব্রায়ান জনস্টন, ডন মোসি ও হেনরি ব্লোফেল্ডের সাথে ধারাভাষ্য দলে যোগ দেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। গ্রেটা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ দম্পতির কিম ও জাস্টিন নামীয় দুই পুত্র এবং শ্যারন নাম্নী এক কন্যা ছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ তারিখে এসেক্সের ওয়েস্টক্লিফ-অন-সী এলাকায় ৮৭ বছর ৬৯ দিন বয়সে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। পূর্বদিন গৃহে আগুনে পুড়ে যান।

Similar Posts

  • | |

    সেলিম মালিক

    ১৬ এপ্রিল, ১৯৬৩ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারিতে আক্রমণধর্মী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে স্লো-মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অংশ নিতেন। পাকিস্তানের অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। সহজাত প্রকৃতির প্রতিভাবান ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। বর্ণাঢ্যময় চরিত্রের অধিকারী থেকে ব্যাটকে বেশ উঁচুতে তুলে ধরতেন। অফ-সাইডে স্কয়ার অঞ্চলে খেলতেই অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।…

  • | | |

    কিথ অ্যান্ড্রু

    ১৫ ডিসেম্বর, ১৯২৯ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের ওল্ডহামের গ্রীনাক্রেস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়েও দক্ষ ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরব্যাপী প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালনের…

  • | |

    গ্যারি সোবার্স

    ২৮ জুলাই, ১৯৩৬ তারিখে বার্বাডোসের চেলসী রোড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স কিংবা বামহাতে রিস্ট-স্পিন বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী তিনি। ১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৭৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন…

  • | | | |

    রমিজ রাজা

    ১৪ আগস্ট, ১৯৬২ তারিখে পাঞ্জাবের লায়লপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে লেগ ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তাঁর জন্ম। দর্শনীয় ডানহাতি ধ্রুপদী ব্যাটিংশৈলীর অধিকারী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। দূর্দান্ত স্ট্রোকপ্লের কারণে সমর্থকদের কাছে বিপুল সমাদৃত ছিলেন।…

  • | |

    কেনরয় পিটার্স

    ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে সেন্ট ভিনসেন্টে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ২০১০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। পাড়ার ক্রিকেটে অংশ নিতেন। ২০০০ সালে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে উইন্ডওয়ার্ড…

  • | |

    ফ্রান্সিস ম্যাককিনন

    ৯ এপ্রিল, ১৮৪৮ তারিখে লন্ডনের প্যাডিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন তিনি। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। হ্যারোভিয়ান হিসেবে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। এক পর্যায়ে কেমব্রিজের অধীনে সেন্ট জোন্স কলেজে দারুণ খেলে ব্লু আদায় করে নিতে সক্ষম হন। ১৮৭০ সালে অক্সফোর্ডের…