টনি হাওয়ার্ড
২৭ আগস্ট, ১৯৪৬ তারিখে বার্বাডোসের লোয়ার কলিমোর রক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৭০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
বেশ মজবুত আকৃতি ও ছোটখাটো গড়নের অধিকারী। স্পার্টান ক্রিকেট ক্লাবের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলায় সূত্রপাত ঘটান। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সরব ছিলেন।
১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। অংশগ্রহণকৃত টেস্টটিতে খুব একটা সুবিধে করতে পারেননি। তবে, বোলিংয়ের পূর্বেই তাঁকে খেলায় উইকেট পেতে যথেষ্ট বেগ পাবার কথা বলা হয়েছিল। ১৯৭১-৭২ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রাহাম ডাউলিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৬ এপ্রিল, ১৯৭২ তারিখে জর্জটাউনের বোর্দায় সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। আলভিন কালীচরণ ও জিওফ গ্রীনিজের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। গায়ানীয় তারকা ক্রিকেটার ল্যান্স গিবসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ঐ দিন তাঁর পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। নিষ্প্রাণ পিচে ৬২ ওভার বোলিং করে ২/১৪০ লাভ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে ফলাফলবিহীন অবস্থায় সিরিজটি অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। ১৯৯৭ সাল থেকে বার্বাডোস দলের ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এছাড়াও, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে রয়েছেন। মার্চ, ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যবস্থাপক হিসেবে মনোনীত হন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত।