|

টম ক্যান্ডল

২৪ আগস্ট, ১৮৫১ তারিখে ইংল্যান্ডের বেডফোর্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স থেকে শুরু করে বামহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। পাশাপাশি বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ১৮৭০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

ইংল্যান্ড থেকে আসা সেরা অস্ট্রেলীয় বোলার ছিলেন। উইকেটের উভয় দিক দিয়েই নিখুঁত নিশানা বরাবর বল ফেলতেন। ফ্রাঙ্ক অ্যালানের সাথে বোলিং জুটি গড়ে সুনাম কুড়িয়েছিলেন। ১৮৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৮৮৮-৮৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে তাসমানিয়া ও ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৭৯-৮০ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে খেলার পর ১৮৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে তাসমানিয়ার পক্ষে খেলেছেন।

১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। উভয় টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী দুই টেস্টে অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন। ১৮৭৬-৭৭ মৌসুমে নিজ দেশে ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলার গৌরব অর্জন করেন। জেমস লিলিহোয়াইটের নেতৃত্বাধীন দলকে পরাজিত করতে চার্লস ব্যানারম্যানের পর অন্যতম ভূমিকা রাখেন। এটিই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের প্রথম বিজয় ছিল। ১০৯ রান খরচায় ৮ উইকেট দখল করেন। খেলায় তিনি ১/৫৪ ও ৭/৫৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৩ ও ১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ৪৫ রানে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

তবে, ৩১ মার্চ, ১৮৭৭ তারিখ থেকে শুরু হওয়া মেলবোর্নে পরের খেলায় ইংরেজরা জয় পেলেও তিনি ১০৬ রান খরচায় ছয় উইকেট পেয়েছিলেন। খেলায় তিনি ৪/৮২ ও ২/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৭ ও ১২ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ঐ খেলায় সফরকারীরা ৪ উইকেটে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

১৮৭৮ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে অন্যতম নিশ্চিত খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। তবে, সফরের প্রথমদিকে দল থেকে বাদ পড়েন। এ বিষয়ে জেমস সাউদার্টন দ্য স্পোর্টসম্যানে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, তিন বছর পূর্বে ডব্লিউ. জি. গ্রেসের সাথে সফরের পর থেকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের বিরাট উত্তরণ ঘটে। ইংল্যান্ডে কেন্ডল যদি কোন প্রতিনিধিত্বমূলক দলে না খেলেন তাহলে তাঁকে ছাড়া দলের পূর্ণাঙ্গতা পাবে না। তাঁর ন্যায় বোলারদের বল মোকাবেলাকল্পে দল গঠন করা হয়েছিল।

১৮৮২-৮৩ মৌসুমে ইভো ব্লাইয়ের নেতৃত্বাধীন দল অস্ট্রেলিয়া সফর করে। এ পর্যায়ে তিনি তাঁর সেরা সময় ফেলে এসেছেন। প্রথম ব্যাডমিন্টন বুক পড়ে তিনি এ. জি. স্টিলের বেশ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। দুইটি ঘটনায় উইজডেনে কেন্ডলের খেলোয়াড়ী জীবন অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে। ১৮৭৪ সালে মেলবোর্নে ভিক্টোরিয়া পঞ্চদশের সদস্যরূপে ডব্লিউ. জি. গ্রেসকে আট রানে কট বিহাইন্ডে বিদেয় করেন। এছাড়াও, মার্চ, ১৮৯২ সালে হোবার্টে লর্ড শেফিল্ডের দলের বিপক্ষে তিনি তাঁকে ২৭ রানে বোল্ড করেন।

১৭ আগস্ট, ১৯২৪ তারিখে তাসমানিয়ার হোবার্টে ৭২ বছর ৩৫৯ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। তেতাল্লিশ বছর ধরে হোবার্টে বসবাস করেন। এ সময়ে মার্কারি নিউজপেপারে কাজ করতেন।

Similar Posts

  • | | |

    মুশতাক মোহাম্মদ

    ২২ নভেম্বর, ১৯৪৩ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গুজরাটের জুনাগড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও রেফারি। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তানের সেরা অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৭৯-৮০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন।…

  • |

    দিলীপসিংজী

    ১৩ জুন, ১৯০৫ তারিখে সৌরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। সৌরাষ্ট্রের রাজপরিবারে তাঁর জন্ম। কেএস রঞ্জিতসিংজী’র ভ্রাতৃষ্পুত্র ছিলেন। ইংল্যান্ডে তিনি সেরা খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। এক পর্যায়ে তাঁকে কেএস রঞ্জিতসিংজী’র পদাঙ্ক অনুসরণ করতে দেখা যায়। ১৯২০-এর দশকে…

  • |

    কামরুল ইসলাম

    ১০ ডিসেম্বর, ১৯৯১ তারিখে বরিশালে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ২০১০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যাটিং উপযোগী পিচেই খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুরদিকের সময়কাল অতিবাহিত করেছিলেন। ২০০৮-০৯ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে…

  • | | |

    জেফ ক্রো

    ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৮ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি। মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। মার্টিন ক্রো’র চার বছরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা তিনি। কনিষ্ঠের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রবেশের এক বছর পর তিনি খেলার সুযোগ পান। সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে প্রাদেশিক ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরেন। এরপরই…

  • |

    লেসলি গে

    ২৪ মার্চ, ১৮৭১ তারিখে সাসেক্সের ব্রাইটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার ও সমারসেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। ১৮৯১ থেকে ১৯০৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।…

  • | | | |

    গৌতম গম্ভীর

    ১৪ অক্টোবর, ১৯৮১ তারিখে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার, কোচ ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১.৬৮ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। দীপক গম্ভীর ও সীমা গম্ভীর দম্পতির…