২ সেপ্টেম্বর, ১৮৫৭ তারিখে নিউজিল্যান্ডের নিউ প্লাইমাউথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৮৮০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
মেলবোর্নে ভিক্টোরিয়ার অষ্টাদশের সদস্যরূপে অস্ট্রেলীয় একাদশের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। ফ্রাঙ্ক অ্যালানের তোপে পড়ে তাঁর দল। ২ ও ১৩ রান তুলেছিলেন। এমসিজিতে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পঞ্চদশের সদস্যরূপে ২৬ ও ২৯ রান তুলেছিলেন।
১৮৭৮-৭৯ মৌসুম থেকে ১৮৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের পুরোটা সময় জুড়েই বেশ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেন ও খেলোয়াড় হিসেবে বেশ ভালো গড়ে রান তুলেছিলেন।
১৮৭৮-৭৯ মৌসুমে লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন সফররত ইংরেজ দলের বিপক্ষে ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। উভয় ইনিংসেই তিনি ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন। ২ ও ১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এরপর, ভিক্টোরিয়া একাদশের সদস্যরূপে কলোনি পঞ্চদশের বিপক্ষে ৯৬ রান তুলেছিলেন।
এ সময়ে ইস্ট মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। ১৮৭৯-৮০ মৌসুমে ১৫৫.৩৩ গড়ে রান তুলেছিলেন। খুব সম্ভবতঃ এ কারণেই তাঁকে ১৮৮০ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
১৮৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর বিলি মারডকের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ তারিখে ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। টেস্টটি ইতিহাসের চতুর্থ ও ইংল্যান্ডে মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট ছিল। জর্জ বোনর, জোই পালমার, জিম স্লাইট, পার্সি ম্যাকডোনেল, উইলিয়াম মোল ও জর্জ আলেকজান্ডারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরফলে, নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে অংশগ্রহণের গৌরব অর্জন করেন। ১৮৮০-এর দশকে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই মাত্র এক টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দশ বছরে ২৭ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ও দূর্ভাগ্যজনকভাবে ১৩জন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে একটিমাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পান। প্রথম প্রকৃত টেস্ট খেলায় তিনি ১১ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, ইংল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো নিজ দেশে টেস্ট জয়ের সন্ধান পায়। সিরিজের একমাত্র টেস্টে স্বাগতিকরা ৫ উইকেটে জয়লাভ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
এরপর তিনি আর কোন টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি। নয় খেলায় অংশ নিয়ে ৯.৯২ গড়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ সফরে শেষ ছয় ইনিংস থেকে মাত্র ৭ রান তুলেছিলেন। তন্মধ্যে, চারটিতে শূন্য রানে বিদেয় নিয়েছিলেন। কেবলমাত্র হাডার্সফিল্ডে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেছিলেন। ৬১ রান তুলে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছিলেন। বৃষ্টির কারণে খেলাটি পরিত্যক্ত হয়।
টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে সর্বাপেক্ষা বিবর্ণময় প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলো থেকে ৮.৫২ গড়ে ১৭৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তন্মধ্যে, একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন।
৫ আগস্ট, ১৯২৭ তারিখে ভিক্টোরিয়ার গ্লেনফেরি এলাকায় ৬৯ বছর ৩৩৭ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
