১১ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে নর্থল্যান্ডের হোয়াঙ্গারেই এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ খাঁটি মানসম্পন্ন আক্রমণাত্মক ধাঁচের সুইং বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড দলের সহঃঅধিনায়কের মর্যাদাসহ অধিনায়কের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন।

বিদ্যালয় জীবনে সহজাত প্রকৃতির বোলার ও রাগবি খেলায় দক্ষ ছিলেন। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। সকল ধরনের সুইং বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। জাতীয় দলে প্রবেশের পর থেকেই প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রেখে চলে আসছেন। এছাড়াও, বেশ কিশোর বয়স থেকেই নিউজিল্যান্ডের প্রধান বোলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরার জন্যে তৎপরতা প্রদর্শন করছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও ভ্যাঙ্কুভার নাইটসের পক্ষে খেলেছেন।

২০০৭-০৮ মৌসুমে ২৪-এর কম গড়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে ৩৩ উইকেট দখলের ফলে সকলের পাদপ্রদীপে চলে আসেন। এরফলে, ১৯ বছর বয়সে অন্যতম কনিষ্ঠ কিউই খেলোয়াড় হিসেবে দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন। ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ খেলার সুবাদে তাঁর টেস্ট দলের খেলা নিশ্চিত হয়।

২০১৩ সালেও টেস্ট ও ওডিআইয়ে ধারাবাহিক সফলতার সন্ধান পেয়েছিলেন। এরফলে, ইন্ডিয়ান টি২০ লীগে রাজস্থানের পোশাক পড়ে মাঠে নামার সুযোগ পান।

২০০৮ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০০৮ সালে ব্ল্যাক ক্যাপসের সদস্যরূপে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলার জন্যে দলে যুক্ত হন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে নিজ দেশে মাইকেল ভনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন।

একই সফরের ২২ মার্চ, ২০০৮ তারিখে নেপিয়ারে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। গ্র্যান্ট এলিয়টের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। ৫/৫৫ নিয়ে শীর্ষসারিতে ভাঙ্গন ধরান ও টেস্ট অভিষেক পর্বকে স্মরণীয় করে রাখেন। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। খেলায় তিনি ৫/৫৫ ও ০/৮৪ লাভ করেন। এরপর, ব্যাট হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, রায়ান সাইডবটমের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১২১ রানে পরাজিত হলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

কয়েক মাস পর ওডিআইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এবারও প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড দল। ১৫ জুন, ২০০৮ তারিখে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে অনুষ্ঠিত ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। প্রথম ছয় খেলা থেকে ১৬ উইকেট দখল করেছিলেন। ২০০৮ সালে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ১৫ মে, ২০০৮ তারিখে লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। দলীয় অধিনায়কের অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ১৮ উইকেট পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ট্রেন্ট বোল্টের সাথে জুটি গড়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট সমীহের পাত্রে পরিণত হন। এরপর, ইংল্যান্ড অভিমুখে টেস্ট দলে তাঁকে ঠাঁই দেয়া হয়।

২০১২ সালে টেস্টে দূর্দান্ত খেলেন। বেঙ্গালুরুতে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭/৬৪ পান। নতুন-পুরনো উভয় ধরনের বল থেকেই সুইং আদায় করে নেন। এছাড়াও, শেষদিকের ওভারগুলো নিখুঁত ইয়র্কারে বেশ বিস্ময়কর বোলারে নিজেকে পরিণত করেন।

২০১২-১৩ মৌসুমে রস টেলরের নেতৃত্বে থেকে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ২৫ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ১৫ ও ৮* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ৫/৬২ ও ৩/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, দলীয় অধিনায়কের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় সফরকারীরা ১৬৭ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।

২০১৩ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরে যান। পুরো সিরিজে অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। ২৪ মে, ২০১৩ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২/৭৬ ও ০/৫১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১৯ ও ৩৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। গ্রায়েম সোয়ানের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে সফরকারীরা ২৪৭ রানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়। এ সিরিজে ৭৬ রান সংগ্রহসহ ১২ উইকেট দখল করে জো রুটের সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৪-১৫ মৌসুমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যান। ২৬ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে শারজায় অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ৪১ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৫০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৫৪ ও ০/২০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, মার্ক ক্রেগের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে নিউজিল্যান্ড দল ইনিংস ও ৮০ রানে জয় পেলে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।

২০১৫-১৬ মৌসুমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২৭ নভেম্বর, ২০১৫ তারিখে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের এটিই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট ছিল। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে এসি ভোজেসের প্রথম উইকেট লাভ করে টেস্টে ১৫০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ১/৫০ ও ০/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১৬ ও ১৩ রান সংগ্রহসহ তিনটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। জশ হজলউডের চমৎকার বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩ উইকেটে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে আজহার আলী’র নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ২৫ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে অনুষ্ঠিত সফররত পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৬/৮০ ও ২/৬০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৩৮ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৯-২০ মৌসুমে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের অন্যতম সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টে অংশ নেন। সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে ব্যাট হাতে নিয়ে ৮ ও ৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৪/৯৩ ও ৫/৬৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। মিচেল স্টার্কের অনবদ্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ২৯৬ রানে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই মৌসুমে নিজ দেশে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অনবদ্য ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ৪/৪৯ ও ৫/৬১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে একবার মাঠে নেমে ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

২০২১-২২ মৌসুমে নিজ দেশে ডিন এলগারের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৪ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩৩ ও ৫/৩৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, ম্যাট হেনরি’র অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৭৬ রানে জয়লাভ করলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০২২-২৩ মৌসুমে নিজ দেশে দিমুথ করুণারত্নে’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ৯ মার্চ, ২০২৩ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হয়েছিলেন। ৫/৬৪ ও ২/৫৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ২৫ ও ১ রান সংগ্রহ করেছেন। তবে, ড্যারিল মিচেলের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ২ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০২৩-২৪ মৌসুমে নিজ দেশে অজি দলের মুখোমুখি হন। দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ১ ও ৭ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, ০/৯২ ও ২/৪৬ লাভ করেন। এরপর, ৮ মার্চ, ২০২৪ তারিখে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ২৬ ও ০ রান তুলেন। বল হাতে নিয়ে ১/৬৮ ও ১/৩৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করেন। উভয় টেস্টেই তাঁর দল ২-০ ব্যবধানে পরাজয়বরণ করে।

২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজ দেশে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২৩ ও ২ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৪৬ ও ২/৩৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। মিচেল স্যান্টনারের অনবদ্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৪২৩ রানের বিরাট ব্যবধানে জয়লাভ করলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

Similar Posts

  • |

    মনসুর আখতার

    ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, সিন্ধু ও ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিনিধিত্ব…

  • | | | |

    অ্যালান বর্ডার

    ২৭ জুলাই, ১৯৫৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিমোর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূলতঃ মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। এছাড়াও, সেকেন্ড স্লিপ কিংবা শর্ট-মিড উইকেট অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। আদর করে তাঁকে ‘ক্যাপ্টেন গ্রাম্পি’ নামে পরিচিতি ঘটানো হলেও তিনি ‘এবি’ ডাকনামে…

  • | | |

    হিমু অধিকারী

    ৩১ জুলাই, ১৯১৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী এবং অত্যন্ত সম্মানীয় ভারতীয় ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। এছাড়াও, সেনাবাহিনীতে যুক্ত ছিলেন তিনি। ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যতিক্রমধর্মী ফিল্ডার হিসেবে তিনি ফিল্ডিংয়ের গুরুত্বতা সম্পর্কে সতীর্থদেরকে অবহিত করে গেছেন। সামরিক শৃঙ্খলাকে উপজীব্য করে ঐ সময়ের ভারতীয় ক্রিকেটে…

  • | |

    নরেন তামানে

    ৪ আগস্ট, ১৯৩১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫১-৫২ মৌসুম থেকে ১৯৬৮-৬৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বোম্বের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষকের কাছেই তিনি ভারতের…

  • | |

    জেরি আলেকজান্ডার

    ২ নভেম্বর, ১৯২৮ তারিখে জ্যামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। অতি আগ্রাসী ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও সঠিকমানের উইকেট-রক্ষক ছিলেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জনপ্রিয় অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৬০-৬১ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান…

  • |

    মোহাম্মদ রফিক

    ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০ তারিখে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে অপূর্ব দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। নিখুঁতভাব বজায় রেখে ছন্দোবদ্ধ ধীরগতিসম্পন্ন বামহাতি বোলার ছিলেন। ‘মো’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০০৮ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী…