৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে তেমন সফলতার সন্ধান পাননি। নয় মৌসুম খেলে দুইটিমাত্র শতরানের সন্ধান পেয়েছিলেন।
১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছেন। ঐ বছর জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৩ জুন, ১৯৬০ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১১ ও ৩৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ৭৩ রানে পরাভূত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ন্যায় একমাত্র টেস্ট সিরিজে আরও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। মাত্র ৯.৮০ গড়ে রান পেয়েছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ৩৫ রান। এছাড়াও, ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে কিং পেয়ার লাভ করে রেকর্ড বহিতে নিজেকে ঠাঁই করে নেন। উভয় ক্ষেত্রেই ব্রায়ান স্ট্যাদাম তাঁকে শূন্য রানে বিদেয় করেছিলেন।
একই সফরের ২১ জুলাই, ১৯৬০ তারিখে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
৫ মার্চ, ২০২২ তারিখে গটেংয়ের জোহানেসবার্গে ৮৪ বছর ১৮১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
