২০ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ তারিখে কুয়েত সিটিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ২০১০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটে। এরপর থেকে করাচীর বিভিন্ন দলে অংশ নেন। ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক, করাচী, করাচী ব্লুজ, পোর্ট কাসিম অথরিটি, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট, সিন্ধু ও বালুচিস্তানের পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, বালুচিস্তান বিয়ার্সের পক্ষে খেলেছেন। ২০০৯-১০ মৌসুমের কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে দূর্দান্ত খেলে ঘরোয়া আসরে আলোড়ন তুলেন। ঐ মৌসুমে ১৭.১২ গড়ে ৮৫ উইকেট দখল করে শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। তাঁর এ অবদানের ফলে করাচী ব্লুজ অষ্টমবারের মতো ট্রফির শিরোপা লাভ করে।
২০১০ থেকে ২০১৩ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে পাঁচটিমাত্র টেস্ট, দুইটিমাত্র ওডিআই ও একটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১০-১১ মৌসুমে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যান। ২০ নভেম্বর, ২০১০ তারিখে আবুধাবিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। আসাদ শফিকের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৬/১২০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়ে অভিষেক পর্বকে স্মরণীয় করে রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ০/২৯ লাভ করেন। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৩০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, এবি ডি ভিলিয়ার্সের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়।
একই মৌসুমে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ৭ জানুয়ারি, ২০১১ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৪/৬৩ ও ০/২০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, আব্দুর রেহমানের অনবদ্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।
২০১২-১৩ মৌসুমে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৪৪ ও ১০* রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/২৬ ও ১/৩৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, রবিন পিটারসনের অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৪ উইকেটে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
