|

তাইজুল ইসলাম

২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা নাটোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

অনেক বামহাতি স্পিনারের ভীড়ে অন্যতম সেরা ছিলেন। বলকে বড় ধরনের বাঁক খাওয়াতে না পারলেও নিখুঁততা বজায় রাখতেন। এরই মাঝে বেশ কিছু সফলতার সাথে নিজেকে জড়ান। ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পর জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর নজরে পড়েন। রানের লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি দলে বৈচিত্র্যময় স্পিন বোলিংয়ে পারঙ্গমতা প্রদর্শন করে চলেছেন। দুইটি অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের সাথে জড়িত থাকার সুবাদে নিজেকে অসাধারণ ক্রিকেটারে পরিণত করেন। স্বল্পসংখ্যক ক্রিকেটারদের অন্যতম হিসেবে টেস্ট ও ওডিআই অভিষেকে দারুণভাবে সফল ছিলেন।

নিজ শহরে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। এরপর, রাজশাহী লীগে খেলেন ও পরবর্তীতে ঢাকা লীগের সাথে যুক্ত হন। ২০১০-১১ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে রাজশাহী বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, দূরন্ত রাজশাহী, গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম, প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব, রাজশাহী রয়্যালস ও সিলেট সিক্সার্সের পক্ষে খেলেছেন। ১০ এপ্রিল, ২০১১ তারিখে ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিভাগ বনাম বরিশাল বিভাগের মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।

পরবর্তী দুই মৌসুমে যথাক্রমে মাত্র এক ও দুইটি খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। ২০১৩-১৪ মৌসুমে বিভাগীয় দলটির নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। ১৯ ইনিংসের মধ্যে সাতটিতে পাঁচ-উইকেট লাভের কৃতিত্ব দেখান। এছাড়াও, বিপিএলে রাজশাহীর পক্ষে ১২ খেলায় অংশ নিয়ে ১১ উইকেট পেয়েছিলেন। ঐ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫৫ উইকেট দখল করেন। ফলশ্রুতিতে, মে, ২০১৪ সালে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমনার্থে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন। এর কয়েক মাস পর জাতীয় দলের সদস্যরূপে দ্বিতীয়বার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে গমন করেন।

২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৩-১৪ মৌসুমে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের পাশাপাশি জুলাই, ২০১৪ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতির কারণে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে একই বছরে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। সেপ্টেম্বর মাসের ৫ তারিখে সেন্ট ভিনসেন্টে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রথম টেস্টে শুভাগত হোমের সাথে একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। প্রথম ইনিংসে ৫/১৩৫ লাভ করেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ২ ও ০ রান তুলতে পেরেছিলেন। ঐ টেস্টে সফরকারীরা ১০ উইকেটে পরাজিত হলে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

খুব বেশীসংখ্যক খেলোয়াড় তাঁদের পুরো খেলোয়াড়ী জীবনে হ্যাট্রিক কিংবা ইনিংসে ৮-উইকেট লাভের সন্ধান পাননি। তাসত্ত্বেও, উভয়ক্ষেত্রেই এক মাসের ব্যবধানে এ কৃতিত্বের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন স্ব-মহিমায়। তন্মধ্যে, শেষের কৃতিত্বটি ওডিআই অভিষেকে গড়েছেন। ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ওডিআইয়ে হ্যাট্রিক লাভের গৌরব অর্জন করেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঐ খেলায় ৪/১১ লাভ করেন। এ সকল ঘটনাগুলো ২০১৪ সালের। ডিসেম্বর, ২০১৪ সালে একদিনের আন্তর্জাতিকে নিজের ব্যাপক পরিচিতি ঘটান।

২৫ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দূর্দান্ত খেলেন। মিরপুরে অনুষ্ঠিত নিজস্ব তৃতীয় ও সিরিজের প্রথম খেলায় ৮/৩৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটিই যে-কোন বোলারের সেরা অবদান হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। এ পরিসংখ্যানটি বৈশ্বিকভাবে ত্রয়োদশ স্থান লাভ করে। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ১/৪২ পেয়েছিলেন। ঐ টেস্টে তাঁর দল ৩ উইকেটে জয়লাভ করে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ও তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এ কৃতিত্বগুলো প্রদর্শনের পর কেন্দ্রীয় পর্যায়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এরপর থেকেই বাংলাদেশ দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। তবে, সবক্ষেত্রেই তিনি সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। বামহাতি স্পিনারদের প্রাচুর্যতায় প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলেও স্বীয় প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রেখে অগ্রসর হচ্ছেন।

বাংলাদেশের পক্ষে টেস্টেই অধিক সরব রয়েছেন। ওডিআইয়ে হ্যাট্রিক পেলেও তেমন বেশী ৫০-ওভারের খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাননি। মিতব্যয়ী বোলিংয়ে অগ্রসর হলেও একমুখীতার কারণে এ স্তরের ক্রিকেটে তেমন সুবিধে করতে পারছেন না। ব্যাট হাতে বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছেন।

২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৬ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে ব্লোমফন্তেইনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ০/১৪৫ পান। এছাড়াও, ১২ ও ২ রান সংগ্রহ করেন। কাগিসো রাবাদা’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৫৪ রানে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

নভেম্বর, ২০২৩ সালে নিজ দেশে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে নাজমুল হোসেন শান্ত’র অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দলের সদস্যরূপে অংশ নেন। ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে সিলেটে অনুষ্ঠিত দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রথম টেস্টে দূর্দান্ত বোলিং করেন। প্রথম ইনিংসে ৪/১০৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬/৭৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করে নিজ দেশে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলের প্রথম জয়ে অপূর্ব ভূমিকা রাখেন। ঐ টেস্টে তাঁর দল ১৫০ রানে জয়লাভ করেছিল। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০২৩-২৪ মৌসুমে নিজ দেশে শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে অংশ নেন। এ সিরিজে দলের অনেকের ন্যায় মোটেই সুবিধে করতে পারেননি তিনি। ২২ মার্চ, ২০২৪ তারিখে সিলেটে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ৪৭ ও ৬ রান সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি, বল হাতে নিয়ে ১/৩১ ও ২/৭৫ লাভ করেন। তবে, ঐ টেস্টে তাঁর দল ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়।

এরপর, ৩০ মার্চ, ২০২৪ তারিখে চট্টগ্রাম টেস্টে ২২ ও ১৪ রান সংগ্রহ করেন। তবে, ১১৯ রান খরচ করলেও কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। ঐ টেস্টেও স্বাগতিকরা ১৯২ রানে পরাস্ত হবার পাশাপাশি ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজ দেশে এইডেন মার্করামের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২১ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে মিরপুরে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে এমপি ব্রিজকি’র চতুর্থ উইকেট লাভ করে টেস্টে ২০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৫/১২২ ও ৩/৪৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১৬ ও ৭ রান সংগ্রহ করেন। কাইল ভেরিনের অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ৭ উইকেটে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

একই মৌসুমে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে কিংস্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। খেলায় তিনি ১/২৪ ও ৫/৫০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ১৬ ও ১৪ রান সংগ্রহ করে উভয় ক্ষেত্রে আলজারি যোসেফের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংয়ের কল্যাণে সফরকারীরা ১০১ রানে জয় পেয়ে সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ করতে সক্ষম হয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

২০২৫ সালে নাজমুল হোসেন শান্ত’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ২৫ জুন, ২০২৫ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩৩ ও ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৫/১৩১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। পথুম নিসাঙ্কা’র অসাধারণ শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৭৮ রানে পরাভূত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।  

২০২৫-২৬ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যান্ডি বালবির্নি’র নেতৃত্বাধীন আইরিশ দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ১১ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে সিলেটে অনুষ্ঠিত সফররত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ না পেলেও ২/৭৮ ও ৩/৮৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, মাহমুদুল হাসান জয়ের অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৪৭ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

এরপর, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্টে অংশগ্রহণের কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকা ঐ টেস্টে তিনি ৪/৭৬ ও ৪/১০৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ রান সংগ্রহ করেন। মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে খেলায় তাঁর দল ২১৭ রানে জয় পেয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। ঐ সিরিজে ১৩ উইকেট দখল করে তিনি ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

Similar Posts

  • | |

    রামনাথ কেনি

    ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩০ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫০-৫১ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা ও বোম্বে…

  • | |

    ওয়েস হল

    ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৭ তারিখে বার্বাডোসের গ্লেব ল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। প্রকৃত মানসম্পন্ন অসাধারণ বোলার হিসেবে অপরিসীম শক্তিমত্তা, একাগ্রতা ও দক্ষতার সুনিপুণ বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। এমনকি নিস্তেজ…

  • |

    রড ল্যাথাম

    ১২ জুন, ১৯৬১ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখান। ১৯৯০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির পক্ষে খেলেছেন। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সময়কালে সব মিলিয়ে চারটিমাত্র…

  • | | |

    আগা সাদত আলী

    ১১ জুন, ১৯২৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। ইমতিয়াজ আহমেদ, খান মোহাম্মদ ও পার্সি ক্রিকেটার রুসি দ্বিনশ’য়ের সাথে তাঁকে তুলনা করা হতো। পাকিস্তানের ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোয় প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    জিওফ গ্রিফিন

    ১২ জুন, ১৯৩৯ তারিখে নাটালের গ্রেটাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ডারবান হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী ছিলেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় আঘাত পেলে কনুঁই সঠিকভাবে বাঁকাতে পারতেন না। এক…

  • | |

    হান্সি ক্রোনিয়ে

    ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ তারিখে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের ব্লোমফন্তেইনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতার স্বাক্ষর রেখেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ফ্রি স্টেট ও…