২০ অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখে মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতি মিডিয়াম কিংবা লেগ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নীচেরসারির কার্যকর ব্যাটসম্যানের পাশাপাশি চমৎকার ফিল্ডার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৮৮-৮৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বোম্বের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সাধারণমানের খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। কেবলমাত্র ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ মৌসুমে নিজের স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেছেন। ঐ দুই মৌসুমে ৩৩ গড়ে ৩৩০ রান ও ২১ গড়ে ৩৪ উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন তিনি। বাদ-বাকী সময়ে ২৬ গড়ে ১৪৬৯ রান ও ৪০ গড়ে ৯৯ উইকেট দখল করেছিলেন।
১৯৮০-৮১ মৌসুমে খেলোয়াড়ী জীবনের তুঙ্গে ছিলেন। রঞ্জী ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় ২/৩১ ও ৬/৬৫ পান। এরপূর্বে সেমি-ফাইনালে ৩/৬৬ ও ১/৪১ এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে ৪/৫৭ ও ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।
১৯৮১ থেকে ১৯৮২ সময়কালে ভারতের পক্ষে দুইটিমাত্র টেস্ট ও চারটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। উভয় টেস্টই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ২০ ডিসেম্বর, ১৯৮১ তারিখে জলন্ধরে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন।
সঠিক সময়ে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। ১৯৮২ সালে সুনীল গাভাস্কারের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে বিস্ময়করভাবে তাঁকে ভারত দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়। সুইংয়ের উপযোগী বিবেচনায় এনে তাঁকে দলে নেয়া হলেও লেগ-ব্রেক বোলিং করেছেন। কিন্তু, ঐ সফরে তিনি না সফল হয়েছেন, না ব্যর্থ হয়েছেন। ২ টেস্টে অংশ নিলেও উল্লেখ করার মতো কোন সাফল্য পাননি।
২৪ জুন, ১৯৮২ তারিখে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। ০/৫০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ২ রানে অপরাজিত ছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
এ সিরিজে ১৩২ রান খরচায় একটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পেয়েছিলেন। ইনিংস ঘোষণার প্রাক্কালে দ্রুত রান সংগ্রহে ধাবমান থাকা অবস্থায় ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানকে বিদেয় করেন। এ পর্যায়ে ৮ জুলাই, ১৯৮২ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিত ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ডেভিড গাওয়ার তাঁর শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, সুনীল গাভাস্কার আঘাতের কবলে পড়লে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে ব্যাটিং উদ্বোধনের জন্যে মাঠে প্রেরণ করা হয়েছিল। ব্যাট হাতে ১১ ও ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এ টেস্টও ড্রয়ের দিকে গড়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
চারটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশ নিয়ে ১৬১ রান খরচ করে একটিমাত্র উইকেট দখল করেছিলেন। ঐ সফরে তিনি ৩৬ গড়ে ২৫২ রান ও ৪৬ গড়ে ১৪ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ৫/৫৪ লাভ করেছিলেন। এফসি পুনে সিটি ও ক্রিকেট অল স্টার লীগের সাথে জড়িত রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। তাঁর সন্তান সঙ্কেত মুম্বইয়ের পক্ষে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছে।
