সুজীবা ডি সিলভা
৭ অক্টোবর, ১৯৭৯ তারিখে বেরুওয়ালায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ২০০০-এর দশকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
বামহাতে সুইং বোলিং করে থাকেন। ২০০০ সালে অনূর্ধ্ব-২৩ প্রিমিয়ার ট্রফি প্রতিযোগিতায় সকলের সমক্ষে তাঁর প্রতিভা উন্মোচিত হয়। এক মৌসুমে সর্বাধিক উইকেট লাভের নতুন লীগ রেকর্ড গড়েন। কালুতারা বিদ্যালয়ের পক্ষে তিন বছর খেলেছিলেন।
১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০১২-১৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব, গল ক্রিকেট ক্লাব, লঙ্কান ক্রিকেট ক্লাব, রুহুনা এবং সেবাস্টিয়ানিটিস ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
বলে দেরীতে সুইং আনয়ণে তৎপরতা দেখান। ইংল্যান্ড সফরের পর দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি গোচরীভূত হন। এ পর্যায়ে দল নির্বাচকমণ্ডলী জ্যেষ্ঠ বোলারদেরকে বিশ্রামে প্রেরণ করা হলে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই-টেস্টের সিরিজ খেলার উদ্দেশ্যে তাঁকে শ্রীলঙ্কা দলে অন্তর্ভুক্ত করে।
২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০০২ সালে নিজ দেশে খালেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ২১ জুলাই, ২০০২ তারিখে কলম্বোর পিএসএসে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১/৩১ ও ২/৩৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ৫* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, মুত্তিয়া মুরালিধরনের অসাধারণ বোলিং দাপটে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৯৬ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
তবে, পরের টেস্টের জন্যে আবারও প্রায় পাঁচ বছর প্রতীক্ষার প্রহর গুণতে হয়। এবারও প্রতিপক্ষীয় দল ছিল বাংলাদেশ দল। ২০০৭ সালে নিজ দেশে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের মুখোমুখি হন। ১১ জুলাই, ২০০৭ তারিখে ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত সফররত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ২/২৯ ও ২/৩৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, মুত্তিয়া মুরালিধরনের অসাধারণ বোলিংয়ে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ১৯৩ রানে জয় পেলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। এরপর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার উদ্দেশ্যে শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক দলে ঠাঁই পান।