|

সুভাষ গুপ্তে

১১ ডিসেম্বর, ১৯২৯ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মহারাষ্ট্রের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

১৯৪৮-৪৯ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। আঞ্চলিক ও প্রতিনিধিত্বমূলক দলের বাইরে ভারতের অনেকগুলো ঘরোয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা, বোম্বে ও রাজস্থান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমের বোম্বে ফেস্টিভাল টুর্নামেন্টে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। মানেক ইঞ্জিনিয়ার একাদশের সদস্যরূপে মাধব মন্ত্রী একাদশের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় দুই উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি।

১৯৫২ থেকে ১৯৬১ সময়কালে ভারতের পক্ষে সর্বমোট ৩৬ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে নিজ দেশে নাইজেল হাওয়ার্ডের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৫১ তারিখে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। রমেশ দিবেচাবিজয় মাঞ্জরেকরের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ০/৪৩ ও ০/১৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৫২-৫৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফর করেন। ১৯৫৩ সালের এ সফরে ‘ফার্গি’ ডাকনামে ভূষিত হন। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান লেগি উইলফ্রেড ফার্গুসনের নামানুসরণে এ ডাকনাম লাভ করেন। প্রতিপক্ষীয় ব্যাটসম্যানদের সমীহের পাত্রে পরিণত হন। ঐ সফরে ব্যাটিং উপযোগী পিচে আটটি প্রথম-শ্রেণীর খেলা থেকে ২৩.৬৩ গড়ে ৫০ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, টেস্টে পান ২৭ উইকেট।

১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিজ দেশে হ্যারি কেভের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৬ জানুয়ারি, ১৯৫৬ তারিখে মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ব্যাট হাতে তাঁকে মাঠে নামতে হয়নি। বল হাতে নিয়ে ৫/৭২ ও ৪/৭৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ১০৯ রানে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এক ইনিংসের সবকটি উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে বোম্বের সদস্যরূপে পাকিস্তান কম্বাইন্ড সার্ভিসেস এন্ড বাহাওয়ালপুর একাদশের বিপক্ষে ১০/৭৮ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এ পরিসংখ্যানটি যে-কোন ভারতীয় বোলারের প্রথম ১০ উইকেট লাভের কৃতিত্বস্বরূপ। পরবর্তীতে, ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে প্রেমাংশু চট্টোপাধ্যায় ১০/২০ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে তাঁর এ রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন ও অদ্যাবধি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে যে-কোন ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা সাফল্যরূপে বিবেচিত হয়ে আসছে।

টেস্টের এক ইনিংসে অল্পের জন্যে ১০ উইকেট লাভে ব্যর্থ হন। ১৯৫৮ সালে কানপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৯/১০২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। ফলশ্রুতিতে, প্রথম ইনিংসে সফরকারী দল ২২২ রানে গুটিয়ে যায়। যদি নরেন তামনে, ল্যান্স গিবসের উইকেট না পেতেন তাহলে তিনি হয়তোবা ইনিংসের সবকটি উইকেট নিজ নামের পার্শ্বে লিপিবদ্ধ করতে পারতেন।

১৯৫৯ সালে ভারত দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে প্রায় শত উইকেট লাভের দ্বারপ্রান্তে ছিলেন। ২৩টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২৬.৫৮ গড়ে ৯৫ উইকেট লাভ করেছিলেন।

১৯৬১-৬২ মৌসুমে নিজ দেশে টেড ডেক্সটারের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৬১ তারিখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ১/৭৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়েছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও পাঁচ-টেস্টে নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় এগুতে থাকে।

১৯৬১ সালে দূর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি ঘটে। দিল্লি টেস্ট চলাকালীন মাঠের বাইরের ঘটনা বিতর্কের সৃষ্টি করে। একই কক্ষে অবস্থানকারী এজি কৃপাল সিং হোটেলে অভ্যর্থনাকারীনিকে হয়রানী ও সঙ্গ দেয়ার বিষয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েন। প্রশাসকমণ্ডলী থেকে কৃপাল সিংকে রক্ষা করার বিষয়ে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এর জবাবে তিনি মন্তব্য করেন যে, ‘তিনি ক্ষমতাবান। আমি কিভাবে তাঁকে বিরত রাখবো।’ দূর্ভাগ্যবশতঃ এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল ও আর তাঁকে ভারতের পক্ষে খেলার সুযোগ দেয়া হয়নি। তিনি বলেন যে, কোন কিছুই হয়নি। কৃপাল সিং কোন নারীকে ধর্ষণ করেনি বা হয়রানী করেনি। কেবলমাত্র বাইরে তাঁর সাথে পানীয় পানের জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। মজার বিষয় হলো, কৃপাল সিংকে ভারতের পক্ষে আরও কয়েকটি খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল।

লেগ-স্পিনার ও ভ্রাতা বালু গুপ্তে ১৯৬১ সালের শুরুরদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে। বালু গুপ্তে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। এ সফরেই ত্রিনিদাদীয় রমণী ক্যারলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন ও ত্রিনিদাদের আলোচনার বিষয়ে পরিণত হন। পরবর্তীতে তাঁরা চিঠিতে মত বিনিময় করতে থাকেন। ১৯৬২ সালে তাঁরা পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। কন্যাদানে তাঁর নিকটতম বন্ধু ও দলীয় সঙ্গী মাধব আপ্তে অংশ নেন। এক পর্যায়ে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় আবাস গড়েন। এছাড়াও, ত্রিনিদাদ ও সাউথ ত্রিনিদাদের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারে রিশটনের পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে খেলেছেন।

ইরাপল্লী প্রসন্ন, বিনু মানকড়, এস বেঙ্কটরাঘবনবিষেন বেদী’র ন্যায় তিনি ক্রিকেটপ্রেমীদের মন আঁকড়ে ধরতে না পারলেও সকলের চেয়েই তাঁর স্ট্রাইক রেট শ্রেয়তর ছিল। ৭৫.৭০ স্ট্রাইক রেট ছিল তাঁর। সব মিলিয়ে ৩৬ টেস্টে অংশ নিয়ে ২৯.৫৫ গড়ে ১৪৯ উইকেট দখল করেছিলেন। ব্যক্তিগত সেরা বোলিং করেন ৯/১০২।

রাজনীতির মারপ্যাঁচে দূর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি না ঘটলে তিনি হয়তোবা তাঁর সময়কালের সেরা লেগ-স্পিনারে পরিণত হতে পারতেন। কিংবদন্তীতূল্য লেগ-স্পিনার ছিলেন। বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অল-রাউন্ডার স্যার গ্যারি সোবার্স লেগ-স্পিনার হিসেবে তাঁকে ৭০৮ উইকেট লাভকারী শেন ওয়ার্নের চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন। ১৯৫০-এর দশক থেকে ১৯৬০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত ভারতের অন্যতম সাড়া জাগানো স্পিনার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

গ্যারি সোবার্স তাঁর ‘ইন এ লীগ অব দিয়ার অউন: ১০০ ক্রিকেট লিজেন্ডস সিলেক্ট দিয়ার ওয়ার্ল্ড ইলাভেন’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, ‘স্বীয় দৃষ্টিকোণে শেন ওয়ার্ন বলকে বেশ বাঁক খাওয়াতে পটু। আমি তাঁর আক্রমণাত্মক ক্রীড়াশৈলীকে পছন্দ করি। তাঁর ব্যাটসম্যানকে আক্রমণ করাকে ভালোবাসি। আমি তাঁকে ১০০% দিব। তবে, শ্রেয়তর হিসেবে সুভাষ গুপ্তেকেই আমি রাখব।’ বিস্ময়করভাবে ১৯৫০-এর দশকের সূচনালগ্নে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে তিনি ভারতের বিপক্ষে খেলেননি।

৩১ মে, ২০০২ তারিখে ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে ৭২ বছর ১৭১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    সিস পার্কিন

    ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৬ তারিখে কো ডারহামের ঈগলসক্লিফ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পিতা রেলওয়েতে চাকুরী করতেন। নর্টন থেকে টিসাইডে তাঁর পরিবারের সাথে চলে যান। এ পর্যায়ে পার্কিন সিনিয়র স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব পালন করতেন। বারো…

  • | | |

    ওয়াল্টার রবিন্স

    ৩ জুন, ১৯০৬ তারিখে স্টাফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। যুদ্ধের পূর্বে স্টাফোর্ডশায়ারের পক্ষে অংশগ্রহণকারী পিতা ও পরবর্তীতে ল্যাঙ্কাশায়ারের সাবেক পেশাদার ক্রিকেটার আলবার্ট নাইটের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেন।…

  • |

    প্রবীর সেন

    ৩১ মে, ১৯২৬ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী পঙ্কজ রায়ের জন্মের ঠিক দুই বছর পূর্বে তাঁর জন্ম। প্রথম উইকেট-রক্ষক হিসেবে ভারতের পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ভারতের প্রথম সেরা উইকেট-রক্ষকের মর্যাদা পান।…

  • | | |

    জ্যাক রাসেল, ১৮৮৭

    ৭ অক্টোবর, ১৮৮৭ তারিখে এসেক্সের লেটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, কোচ ও আম্পায়ার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি। ১৯২০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। অনেকগুলো বছর এসেক্সের উইকেট-রক্ষক টম রাসেলের সন্তান ছিলেন। লেটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডের কাছাকাছি এলাকায় তাঁর জন্ম। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯০৮…

  • |

    অ্যাথল রোয়ান

    ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১ তারিখে ট্রান্সভালের কেনসিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা অফ-স্পিনারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। যুদ্ধকালীন তিনি পায়ে আঘাত পান। এরফলে, সামনের…

  • | |

    হেনরি ওলোঙ্গা

    ৩ জুলাই, ১৯৭৬ তারিখে জাম্বিয়ার লুসাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কেনীয় পিতা ও জাম্বীয় মাতার সন্তান। কিশোর অবস্থাতেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জড়িয়ে পড়েন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড, ম্যাশোনাল্যান্ড ‘এ’ ও…