|

শুভাশীষ রায়

২৯ নভেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। ২০১০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট অঙ্গনে ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে চলেছেন। তবে, সমসাময়িক খেলোয়াড়দের তুলনায় জাতীয় দলে খেলার জন্যে বেশ সময় নিতে হয়েছে। মাশরাফি বিন মর্তুজা’র পদাঙ্ক অনুসরণে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ডানহাতি পেস বোলার হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন সত্ত্বেও জাতীয় দলে খেলার জন্যে তাঁকে কিছুটা সময় অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। ২০০৭-০৮ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে রংপুর বিভাগ ও সিলেট বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে চিটাগং ভাইকিংসের পক্ষে খেলেছেন।

১৮ বছর বয়সে ২০০৬-০৭ মৌসুমে ঢাকা লীগে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের পক্ষে পেশাদারী পর্যায়ে অভিষেক ঘটে। শুরুরদিকে বোলিং ভঙ্গীমায় সমস্যার কবলে পড়তেন। বল হাত থেকে মুক্ত করার শেষ মুহূর্তে পপিং ক্রিজের শেষ প্রান্তে পা ফেলার প্রবণতা ছিল। কোচ সারওয়ার ইমরান ও সাইফুল ইসলামের সহায়তায় এ সমস্যা থেকে মুক্তি পান।

২০০৮ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। সেখানে স্বীয় দক্ষতার ছাঁপ রাখেন। তবে, অনেকটা আগেভাগেই প্রতিযোগিতা থেকে বিদেয় নেয় তাঁর দল। এর পূর্বের বছর সিলেট বিভাগের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১০ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে ফতুল্লায় বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলা থেকে সাত উইকেট দখল করেছিলেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটেও সুন্দর খেলা উপহার দিতে থাকেন। ২০০৮-০৯ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২১ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, দুইবার ইনিংসে পাঁচ-উইকেট পেয়েছিলেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের লিস্ট-এ ক্রিকেটে ২১ উইকেট পান। এর পরের বছরও ঐ প্রতিযোগিতায় আরও ১৮ উইকেট যুক্ত করেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ পান।

২০১৬ থেকে ২০১৭ সময়কালে বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। অক্টোবর, ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের জন্যে দলে অন্তর্ভুক্ত হন। তবে, তাঁকে খেলানো হয়নি। ২০১৬-১৭ মৌসুমে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের সাথে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ তারিখে নেলসনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। এরপর, একই সফরের ১২ জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে তাসকিন আহমেদের সাথে তাঁর একযোগে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি তিন উইকেটের সন্ধান পান। স্বাগতিক দল ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

২০১৭-১৮ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৬ অক্টোবর, ২০১৭ তারিখে ব্লোমফন্তেইনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র ইনিংসে এইচএম আমলাকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ২/৫৩। কাগিসো রাবাদা’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিক দল ইনিংস ও ২৫৪ রানে জয় তুলে নেয় ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। খেলায় তিনি ৩/১১৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ২* ও ১২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

Similar Posts

  • | |

    রহমত শাহ

    ৬ জুলাই, পাকতিয়া প্রদেশের জুরমত এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে কার্যকর লেগ-ব্রেক ও গুগলি বোলিং করে থাকেন। আফগানিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশগ্রহণ করেছেন। আফগানিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২-১৩ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। পাকিস্তানী ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের…

  • |

    ব্রেট লি

    ৮ নভেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ওলংগং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ‘বিং’ ডাকনামে ভূষিত ব্রেট লি ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (১.৮৭ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। সন্দেহাতীতভাবে অন্যতম গতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। ১৯৯৪-৯৫…

  • | |

    ডগ রাইট

    ২১ আগস্ট, ১৯১৪ তারিখে কেন্টের সিডকাপ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ বোলিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ডানহাতে মিডিয়াম কিংবা লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে কেন্ট দ্বিতীয় একাদশের পক্ষে খেলেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন।…

  • | |

    ট্রেভর গডার্ড

    ১ আগস্ট, ১৯৩১ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে মিডিয়াম বোলিং পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘকায় ও শক্ত-মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। চমৎকার কৌশল অবলম্বনে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। বল হাতে নিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুইংয়ের উপর জোর দিতেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে আউট-সুইঙ্গার মারতেন।…

  • | | |

    কিথ অ্যান্ড্রু

    ১৫ ডিসেম্বর, ১৯২৯ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের ওল্ডহামের গ্রীনাক্রেস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়েও দক্ষ ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫২ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরব্যাপী প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। উইকেট-রক্ষণের দায়িত্ব পালনের…

  • |

    পথুম নিসাঙ্কা

    ১৮ মে, ১৯৯৮ তারিখে গলেতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কলম্বোভিত্তিক ইসিপাথানা কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ইনিংস উদ্বোধনে মাঠে নামেন। ২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে বাদুরেলিয়া স্পোর্টস ক্লাব ও নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও,…