Skip to content

স্টিভ ওয়াহ

1 min read

২ জুন, ১৯৬৫ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যান্টারবারিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৯ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট ও সমারসেটের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, আয়ারল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন।

এক সময় টেস্ট ব্যাটসম্যানের সেরার লড়াইয়ে স্টিভ ওয়াহ’র সাথে শচীন তেন্ডুলকরব্রায়ান লারাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যায়। তাঁরা ধারাবাহিকভাবে দলকে জয়ে এনে দিতে থাকলে দলের বাদ-বাকী খেলোয়াড়দেরকে বিশ্রামে থাকতে হয়। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে অল-রাউন্ডার ছিলেন। ওডিআইয়ে নিচেরসারিতে বোলিং করে সুনাম কুড়ান। প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থেকেও বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন।

১৯৮৫ থেকে ২০০৪ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট ১৬৮ টেস্ট ও ৩২৫টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে নিজ দেশে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টে সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১৩ ও ৫ রান তুলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৩৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। দলীয় অধিনায়ক অ্যালান বর্ডারের মনোরম শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ওয়েলিংটনের ব্যাসিন রিজার্ভে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়।

একই সফরের ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ১৩ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৭৪ ও ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক জেভি কোনিকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ২/৩৬। বল হাতে নিয়ে তিনি ৪/৫৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, দলীয় অধিনায়কের জোড়া শতক সত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

১৯৮৭ সালে অ্যালান বর্ডারের নেতৃত্বাধীন দলের সদস্য থেকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের শিরোপা বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তবে, ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে ছন্দহীনতার কারণে দল থেকে বাদ পড়েন ও যমজ ভ্রাতা মার্ক ওয়াহ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। তবে, সঠিক কৌশল প্রয়োগে শ্রেয়তর খেলোয়াড়ে পরিণত করেন।

১৯৮৭-৮৮ মৌসুমে নিজ দেশে জেফ ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৪ ডিসেম্বর, ১৯৮৭ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ১৮ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ২১ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৩৫ ও ১/২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ডেভিড বুনের অসাধারণ ব্যাটিং দৃঢ়তায় সফরকারীরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৮৯-৯০ মৌসুমে নিজ দেশে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে হোবার্টে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ১৬ ও ১৩৪* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় ইনিংসে ডিন জোন্সের (১১৮*) সাথে পঞ্চম উইকেটে ২৬০ রানের নিরবচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। তবে, অরবিন্দ ডি সিলভা’র প্রাণান্তঃকর ব্যাটিং স্বত্ত্বেও স্বাগতিকরা ১৭৩ রানে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে নিজ দেশে কেন রাদারফোর্ডের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে ব্রিসবেনে সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ১৪৭* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, শেন ওয়ার্নের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে ঐ খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল ইনিংস ও ৯৬ রানের ব্যবধানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সফরকারীরা সিরিজ খোঁয়ায়।

১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে নিজ দেশে অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত খেলায় সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। একবার ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন। তবে, গ্লেন ম্যাকগ্রা’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

অ্যালান বর্ডার ও মার্ক টেলর – অধিনায়কদ্বয়ের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে নিজের দক্ষতা বাড়াতে থাকেন। এর পরই কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়া দল বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে একাধিপত্য বিস্তারে অগ্রসর হয় ও চ্যাম্পিয়ন দলে পরিণত হয়। তাঁর ইস্পাত কঠোর মনোবৃত্তি দলীয় সঙ্গীসহ অধিনায়ক হিসেবে তিনি সম্মুখসারিতে অবস্থান করে খেলতে থাকেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনেই দলের অবশ্যম্ভাবী ফলাফলকে পরিবর্তিত করে অনুকূলে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে নিজস্ব প্রথম দ্বি-শতরানের ইনিংসটি ঈর্ষণীয় পর্যায়ের ছিল। ১৫ বছরের মধ্যে প্রতিপক্ষকে সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভেঙ্গে দেন। ১৯৯৭ সালের অ্যাশেজ সিরিজে দুইটি শতক হাঁকিয়ে দলকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন।

১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে নিজ দেশে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ২০ নভেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে পার্থে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনে অগ্রসর হয়েছিলেন। ব্যক্তিগত সফলতার সাথে নিজেকে জড়ান। প্রথম ইনিংসে ১৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৬০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ৯৬ রান সংগ্রহসহ তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তাঁর দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৭০ রানে জয়লাভ করলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে মার্ক টেলরের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সাথে পাকিস্তান গমন করেন। ১ অক্টোবর, ১৯৯৮ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ১৫৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৯৯ রানে জয় পেয়ে তিন টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

টেস্ট ক্রিকেটের পাশাপাশি একদিনের আন্তর্জাতিকেও বিরাট ভূমিকা রাখেন। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় সুপার-সিক্সের খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রিকি পন্টিংয়ের সাথে জুটি গড়ে দলকে সামনের দিকে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে তাঁর দল শিরোপা জয় করে ও বিশ্ব ক্রিকেটে প্রভূত্ব কায়েম করতে অগ্রসর হয়।

১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে অজি দলের নেতৃত্বে থেকে জিম্বাবুয়ে গমন করেন। প্রসঙ্গতঃ, এটিই উভয় দলের মধ্যকার উদ্বোধনী টেস্ট ছিল। ১৪ অক্টোবর, ১৯৯৯ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র-টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫১* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। পাশাপাশি, বল হাতে নিয়ে ০/১৭ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে পরাজয়বরণ করে। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।

একই মৌসুমে অজি দলের নেতৃত্বে থেকে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ৩১ মার্চ, ২০০০ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫তম ওভারের ষষ্ঠ বলে দলীয় সংগ্রহ ১৭৫/৩ থাকাকালে ১৮ রানে ডিআর টাফি’র অষ্টম ওভারে উঁচু হয়ে আসা বলে কব্জিতে আঘাত পান। তবে, ৩৬তম ওভার শেষে পুণরায় মাঠে নামলেও আর মাত্র চার বল খেলতে পেরেছিলেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ৩ ও ১৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ০/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। অ্যাডাম গিলক্রিস্টের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৬ উইকেটে জয় পেলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

২০০১-০২ মৌসুমে নিজ দেশে শন পোলকের নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে ব্যক্তিগত সাফল্যের ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ২৫ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৯৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৩০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ম্যাথু হেইডেনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয়লাভ করলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

একই মৌসুমে ভিবি সিরিজে তেমন সুবিধে করতে পারেননি ও দল থেকে বাদ পড়েন। তবে, সাদা-বলের ক্রিকেটে ঠিকই স্ব-মহিমায় ভাস্বর ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলকে একাধারে ১৬ জয়ের রেকর্ডে নেতৃত্ব দেন। তন্মধ্যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ধবল ধোলাই করে। পরবর্তীকালে ইডেন গার্ডেন্স টেস্টে ভারতের অবিশ্বাস্য জয়ের মাধ্যমে দলের এ রেকর্ড ভেঙ্গে পরে।

২০০৩-০৪ মৌসুমে নিজ দেশে সৌরভ গাঙ্গুলী’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ২ জানুয়ারি, ২০০৪ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। শেষ ইনিংসে ৮০ রান তুলে ভারতের জয়ের মনোবাসনা ভেঙ্গে ফেলেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে ৪০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। পাশাপাশি, বল হাতে নিয়ে ০/৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। শচীন তেন্ডুলকরের অসামান্য ব্যাটিংশৈলীতে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে শেষ হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। লিনেট ওয়াহ নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। এ. ওয়াহ নামীয় পুত্র সন্তানের জনক। ২০০৪ সালে অবসর গ্রহণের পরও সংবাদ শিরোনামে ছিলেন। ভ্রমণপ্রিয় স্টিভ ওয়াহ কলকাতায় স্বীয় কন্যাকে সহায়তা করতে দাতব্য কর্মে জড়িয়ে পড়েন। দ্য ন্যাশনাল ট্রাস্ট অব অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক হান্ড্রেড লিভিং অস্ট্রেলিয়ান ট্রেজারার্সের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১০ সালে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।