১১ আগস্ট, ১৯১০ তারিখে ওতাগোর ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। দলে মূলতঃ ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৩০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯২৭-২৮ মৌসুম থেকে ১৯৪০-৪১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ওয়েলিংটনের বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যান ছিলেন।
১৯৩৭ সালে কার্লি পেজের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। এ সফরে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ২৬ জুন, ১৯৩৭ তারিখে লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। মার্ভ ওয়ালেস, এরিক টিন্ডিল, জ্যাক কাউয়ি, মার্টিন ডনেলি ও ওয়াল্টার হ্যাডলি’র সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৬৪ ও ০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।
একই সফরের ১৪ আগস্ট, ১৯৩৭ তারিখে লন্ডনের কেনসিংটন ওভালে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ২৩ ও ৩৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। তিন টেস্টে অংশ নিয়ে ২৬ গড়ে রান পান। পরবর্তীতে, এগুলোই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। এ সফরে সবগুলো খেলায় অংশ নিয়ে ৩৪.৮৩ গড়ে ১৪৬৩ রান তুলেন। ফোকস্টোনে ইংল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪০ রান তুলেন। বোলার হিসেবেও সফল হন। ২৬.৬৮ গড়ে ৫৭ উইকেট দখল করেন। মার্চ, ১৯৩৭ সালে ওয়েলিংটনে জি. ও. অ্যালেনের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড একাদশের সদস্যরূপে ৬০ রান তুলেছিলেন।
লেফটেন্যান্ট পদবীধারী ছিলেন ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন গুরুতর আহত অবস্থায় যুদ্ধবন্দী হন। অতঃপর, ১৫ জুলাই, ১৯৪২ তারিখে মিশরের এল আলামিনের রুইসাত রিজে ৩১ বছর ৩৩৭ দিন বয়সে জীবনাবসান ঘটে।
