২১ নভেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে রাজশাহীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে কার্যকর ব্যাটিং করে থাকেন। ২০১০-এর দশকে বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
গতিসম্পন্ন বামহাতি অর্থোডক্স বোলিং করেন। ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে পছন্দের বোলারদের তালিকায় সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছেন। স্বল্পকালীন সময় বাংলাদেশ দলে অবস্থান করে সীমিত পরিসরে সফলতার সন্ধান পেয়েছেন। তবে, বোলিংয়ে মিতব্যয়ীতার স্বাক্ষর রেখেছেন ও প্রতিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টিতে সবিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। বলকে তেমন বাঁক খাওয়াতে না পারলেও নিখুঁত নিশানা বরাবর বল ফেলে ব্যাটসম্যানদের সমীহের পাত্রে পরিণত হন। ১৯৯৯ সাল থেকে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন।
২০০৪-০৫ মৌসুম থেকে ২০২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে উত্তরাঞ্চল, রাজশাহী বিভাগ ও রংপুর বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ফরচুন বরিশাল, সিলেট রয়্যালস ও চিটাগং কিংসের পক্ষে খেলেছেন। ২০০৪-০৫ মৌসুমে রাজশাহী বিভাগীয় দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। প্রথম ১৫ খেলা থেকে ৬৯ উইকেট দখল করেন ও ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭২ রান তুলে সকলের নজরে চলে আসেন।
২০১৫ সালে জাতীয় ক্রিকেট লীগে রংপুর বিভাগের প্রথম শিরোপা বিজয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। এক বছর পর ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে ২১ রান নিয়ে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে খেলা অবস্থায় তাসকিন আহমেদের বাউন্সারে ঘাড়ে আঘাত পান। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ৭/৪৫ লাভের মাধ্যমে আয়োজক সিলেট দলকে ৫৬ রানের ব্যবধানে পরাজিত করতে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। ২০১৭ সালের বিপিএল আসরে চিটাগং কিংসের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন।
দুইবার আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। ২০০৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন। শ্রীলঙ্কা সফরে ছয় খেলায় অংশ নিয়ে ১৪.৪৪ গড়ে নয় উইকেট লাভ করেন। ২০০৮ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন।
২০১০ থেকে ২০১১ সময়কালে বাংলাদেশের পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট, ১৭টি ওডিআই ও একটিমাত্র টি২৯আইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১০ সালে নিজ দেশে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হন। ২ মার্চ, ২০১০ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। প্রথম চার খেলা থেকে মাত্র এক উইকেট পান। একই বছর সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। প্রথম খেলায় নির্ধারিত ১০ ওভারে ৩/১৪ পান। অংশগ্রহণকৃত চার খেলা থেকে ১৮ গড়ে মাত্র পাঁচ উইকেট দখল করেছিলেন। তবে, ওভার প্রতি মাত্র ৩.২১ গড়ে রান খরচ করেছিলেন। ঐ সিরিজে অবশ্য তাঁর দল ৪-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।
মিতব্যয়ী বোলিং করলেও তাঁর মাঝে মনোযোগের অভাব পরিলক্ষিত হয়। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় একটিমাত্র খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১/৩৩ লাভ করেছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপ শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে অংশ নিয়েছিলেন। ২০১১-১২ মৌসুমে নিজ দেশে ড্যারেন স্যামি’র নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৯ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি চার উইকেট পেলেও দলের পরাজয় রুখতে পারেননি। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ১৫ ও ০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। বাংলাদেশ দল ২২৯ রানে পরাজয়বরণ করেছিল। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তেমন সফলতা না পেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলেন।
