২১ নভেম্বর, ১৮৮৩ তারিখে নাটালের ইয়র্ক এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে স্লো বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
১৯০৮-০৯ মৌসুম থেকে ১৯২২-২৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯০৮-০৯ মৌসুমে নাটালের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। ১৯০৯-১০ মৌসুমে সফররত এমসিসি দলের বিপক্ষে নিজস্ব তৃতীয় প্রথম-শ্রেণীর খেলার এক ইনিংসে পাঁচ-উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন।
১৯১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯০৯-১০ মৌসুমে নিজ দেশে ফ্রেডরিক ফেনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ১১ মার্চ, ১৯১০ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। পম্পি নর্টনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় উইকেটবিহীন অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। প্রথম ইনিংসে ০/৬৪ লাভ করেন। এছাড়াও, ঐ টেস্টে এগারো নম্বর অবস্থানে ব্যাট হাতে নিয়ে ১৫ ও ৭ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। ৯ উইকেটে পরাজিত হলেও স্বাগতিকরা ৩-২ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
তবে, পরের মৌসুমেই তিনি স্বরূপধারন করেন। কারি কাপে নাটালের সদস্যরূপে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের বিপক্ষে খেলায় ১৩ উইকেট দখল করেছিলেন। ঐ গ্রীষ্মে ১৩.৮৭ গড়ে ৪১ উইকেট লাভ করেন। কিন্তু, পরবর্তী মৌসুমে মাত্র দুইটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এক দশকের অধিক সময় পর ১৯২২-২৩ মৌসুমে এমসিসি’র বিপক্ষে অপর আরেকটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন।
সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১২.০৬ গড়ে রান পেয়েছিলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৮ রান তুলেন। এছাড়াও, ২১.০৫ গড়ে ৫৭ উইকেট দখল করেন। খেলায় দুইবার দশ উইকেট ও ইনিংসে সাতবার পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান। ব্যক্তিগত সেরা ৮/৪০ লাভ করেন।
১৮ নভেম্বর, ১৯৫৮ তারিখে নাটালের ডারবানে ৭৪ বছর ৩৬২ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
