২৫ আগস্ট, ১৯৫৭ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
দীর্ঘদেহী ফাস্ট মিডিয়াম বোলার ছিলেন। অধিকাংশ পিচেই প্রাণবন্তঃ পেস বোলিং করতেন। সহজাত আউট-সুইঙ্গারে অধিকাংশ ব্যাটসম্যানের কাছেই সমীহের পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। ঐ সময়ে সেরা বোলারদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে হওয়ায় সচরাচর উপেক্ষিত হয়েছিলেন। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৮৯-৯০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট, সিন্ধু ও ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৭৬ থেকে ১৯৮৯ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ২৬ টেস্ট ও ২৭টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে নিজ দেশে জন পার্কারের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৩০ অক্টোবর, ১৯৭৬ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। শহীদ ইসরারের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১/৬৮ ও ২/৩৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, জাভেদ মিয়াঁদাদের দ্বি-শতরানের বদৌলতে করাচীতে পাকিস্তান দল ৫৬৫ রান সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিক দল তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে।
৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ তারিখে শিয়ালকোটে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন। করাচীতে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংরেজ অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ার্লি’র হাত ভেঙ্গে সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে দিল্লিতে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে স্বর্ণালী মুহূর্ত অতিবাহিত করেন। ৮/৬৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে প্রতিপক্ষের ভিত নড়বড়ে করে দেন।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমে নিজ দেশে সুনীল গাভাস্কারের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের মুখোমুখি হন। ৩ জানুয়ারি, ১৯৮৩ তারিখে ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। ০/৬৬ ও ১/৪১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ৯ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ইমরান খানের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে ছয়-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
