| |

শিখর ধবন

৫ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৪-০৫ মৌসুম থেকে ২০১৯-২০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া পর্যায়ের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে উত্তরাঞ্চল ও দিল্লি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ডেকান চার্জার্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে খেলেছেন। আইসিসি’র প্রতিযোগিতাগুলোয় তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন অনেকাংশেই আক্রমণাত্মক ধাঁচের। ঘরোয়া ক্রিকেটে দলীয় সঙ্গীদের মতে তিনি পূর্ণাঙ্গ আত্মবিশ্বাস সহযোগে খেলায় অংশ নিয়ে থাকেন। প্রতীকধর্মী গোঁফের কারণে দলীয় সঙ্গীদের কাছে ‘গাব্বার’ ডাকনামে পরিচিতি লাভ করেন।

বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দলে খেলেন। পেশাদারী পর্যায়ের শুরুটা করেন ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমের বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৬ দলের পক্ষে খেলার মাধ্যমে। পরের বছর একই প্রতিযোগিতায় দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন। এ দুইটি দারুণ মৌসুম অতিবাহিত করার ফলে ১৫ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়া কাপে খেলার পথ সুগম হয়। তিন খেলা থেকে ৮৫ গড়ে রান পান। ফলশ্রুতিতে, অক্টোবর, ২০০১ সালে দ্রুত তাঁকে দিল্লি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ঠাঁই দেয়া হয়। এক পর্যায়ে দলের অধিনায়কত্ব করেন। কোচ বিহার ট্রফিতে অংশ নেন।

বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ২০০৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ব্যাপক রান তুলে খ্যাতির শিখরে আসেন। সাত ইনিংস থেকে তিন শতক সহযোগে ৮৪.১৬ গড়ে ৫০৫ রান তুলে শীর্ষ রান সংগ্রাহকে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। ঐ প্রতিযোগিতায় তাঁর দল রানার্স-আপ হয়েছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটেও এ ধারা অব্যাহত থাকে। তবে, ভারত দলে বিশ্ব মানসম্পন্ন খেলোয়াড়দের প্রাচুর্য্যতা থাকায় তাঁকে দীর্ঘদিন অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়েছিল। সহজাত আগ্রাসী বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দীর্ঘদিন দিল্লি দলের প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছেন। শীর্ষসারিতে গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দ্র শেহবাগের পাশে থেকে রান সংগ্রহে সদা তৎপরতা দেখান। বড় ধরনের ইনিংস খেলে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের কাছ থেকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

রঞ্জী ট্রফিতে তাঁকে ব্যাপকভাবে সফল হতে দেখা যায়নি। ৪০-এর ঘরে গড় থাকলেও দল নির্বাচকমণ্ডলীর চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে অগ্রসর হতেন। নভেম্বর, ২০০৪ সালে ১৮ বছর বয়সে দিল্লি দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। রঞ্জী ট্রফিতে ঐ মৌসুমে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ৬ খেলায় অংশ নিয়ে ৪৬১ রান তুলেন। অক্টোবর, ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে ইন্ডিয়া ‘বি’ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দীর্ঘদিন পর প্রথমবারের মতো নিরাশ করেন। এরপর, নর্থ জোনের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়ন সভাপতি একাদশের বিপক্ষে ও সফররত শ্রীলঙ্কান একাদশের বিপক্ষে বোর্ড সভাপতি একাদশের সদস্যরূপে তিনদিনের খেলায় অংশ নেন।

এছাড়াও, এপ্রিল, ২০০৬ সালের ইউরএশিয়া ক্রিকেট সিরিজে ভারত এ দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে দিল্লি দলের অধিনায়করূপে মনোনীত হন। ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সালে রঞ্জী ওয়ান ডে ট্রফিতে দলকে নেতৃত্ব দেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে দিল্লি দলের শিরোপা বিজয়ে অংশ নেন। এরপর থেকেই দারুণভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে থাকেন। তবে, ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে ভারত ‘এ’ দলের সদস্যরূপে অংশ নিয়ে ছন্দপতনের শিকার হন। ইংল্যান্ড লায়ন্স, ভারত ‘এ’ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলকে নিয়ে সীমিত-ওভারের ত্রি-দেশীয় সিরিজে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। ৪ ইনিংস থেকে ১৩০.৭০ স্ট্রাইক রেটে ৪১.৫০ গড়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন।

অক্টোবর, ২০১০ সালে ইরানী কাপে মুম্বইয়ের বিপক্ষে বাদ-বাকী ভারতের সদস্যরূপে খেলার জন্যে মনোনীত হন। সুন্দর ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখায় চ্যালেঞ্জার্স ট্রফিতে ইন্ডিয়া ব্লুয়ের পক্ষে খেলার সুযোগ এনে দেয়। ঐ প্রতিযোগিতায় তিক্তমধুর অভিজ্ঞতার স্বাক্ষর রাখলেও জাতীয় পর্যায়ে খেলার জন্যে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে আসা-যাবার পালায় থাকার পাশাপাশি ধীরলয়ে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য হন।

২০১০-১১ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফিতে দিল্লির পক্ষাবলম্বন করেন। তবে, দিলীপ ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি ও দেওধর ট্রফিতে ছন্দহীনতায় ভুগেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও এ ধারা অব্যাহত রাখেন। ফলশ্রুতিতে, ইংল্যান্ড গমনার্থে ভারত দল থেকে বাদ পড়েন। কিন্তু, ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে চলছিলেন। ২০১২-১৩ মৌসুমের রঞ্জী ট্রফিতে চমৎকার খেলায় আবারও তাঁকে জাতীয় দলে ঠাঁই দেয়া হয়।

সুনয়না ও মহেন্দ্র পাল ধবন দম্পতির সন্তান। দিল্লিভিত্তিক পশ্চিম বিহারের সেন্ট মার্কস সিনিয়র সেকেন্ডারি পাবলিক স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। চার বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১২ সালে মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী ও শৌখিন মুষ্টিযোদ্ধা আয়েশা মুখার্জী নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তাঁদেরকে একে-অপরের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং। পূর্বেকার সংসারে দুই কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন আয়েশা মুখার্জী। ২০১৪ সালের শুরুতে এ দম্পতির পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে।

অফ-সাইডেই তিনি অধিক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কাট ও ড্রাইভের ফুলঝুড়ি ছোটান। সহজাত স্ট্রোক-প্লেয়ার হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছেন। বলে পিচে পড়ার সাথে সাথেই মোকাবেলা করার সক্ষমতা থাকায় যে-কোন দিকেই শট মারতে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে ক্রমাগত সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে অক্টোবর, ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্যে তাঁকে ওডিআই দলে রাখা হয়।

২০১০ থেকে ২০২২ সময়কালে ভারতের পক্ষে ৩৪ টেস্ট, ১৬৭ ওডিআই ও ৬৮টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ২০১০-১১ মৌসুমে নিজ দেশে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হন। তিন-ওডিআই নিয়ে গড়া সিরিজে দুই খেলা বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়। দ্বিতীয় খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। ২৪ বছর বয়সে ২০ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে বিশাখাপত্তনমে অনুষ্ঠিত খেলায় অভিষেক পর্বটি তাঁর তেমন সুবিধের হয়নি। দুই বল খেলে ক্লিন্ট ম্যাককে’র বলে শূন্য রানে বিদেয় নেন ও তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে সমর্থ হননি। তবে, দলে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে রাখা হতো।

২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার পরবর্তী সুযোগ আসে। তবে, চারটি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েও তেমন ভালো খেলেননি। ৫১, ৩, ৪ ও ১১ রান তুলেন। প্রথম পাঁচটি ওডিআইয়ে মাত্র ১৩.৫০ গড়ে রান পান। এছাড়াও আইপিএলে কয়েক মৌসুম সাধারণমানের খেলা প্রদর্শন করেন। নজরের বাইরে চলে যান। দুই বছর দলের বাইরে থাকেন। কিন্তু, ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রমাগত সুন্দর ক্রীড়াশৈলীর কারণে তাঁকে ভারতের দ্বিতীয়সারির খেলোয়াড়ের স্থান দেয়া হয়।

সৌভাগ্যবশতঃ থিতু হয়ে আসা বীরেন্দ্র শেহবাগ ও গৌতম গম্ভীরের মধ্যকার উদ্বোধনী জুটি ছন্দহীন হয়ে পড়লে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে ২৭ বছর বয়সে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে তাঁকে রাখা হয়। ২০১২-১৩ মৌসুমে নিজ দেশে মাইকেল ক্লার্কের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। দ্বিতীয় টেস্টের পর বীরেন্দ্র শেহবাগের বিতর্কিতভাবে দলের বাইরে রাখায় নয় বছরে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৮১ খেলা থেকে ৫৬৭৯ রান সংগ্রহের পর ১৪ মার্চ, ২০১৩ তারিখে মোহালিতে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। সুযোগকে কাজে লাগাতে তৎপর হন ও দূর্দান্ত সূচনা করেন। এ পর্যায়ে টেস্ট অভিষেকে মাত্র ৮৫ বলে দ্রুততম শতক হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন। অবশেষে ১৭৪ বল মোকাবেলা করে ১৮৭ রানে বিদেয় হন। তবে, চতুর্থ দিন ফিল্ডিংকালে হাতে আঘাত পেলে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে পারেননি। স্বাগতিক দল ৬ উইকেটে জয় পায় ও চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

বামহাতে ফাটল ধরা পড়ে। ফলশ্রুতিতে, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের চতুর্থ টেস্ট খেলতে পারেননি ও ছয় সপ্তাহের জন্যে বিশ্রামে থাকতে হয়। খুব দ্রুত তাঁকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়।

ওডিআইয়েও ব্যাপক সফলতা পেতে থাকেন। দর্শনীয় স্ট্রোক বিশেষতঃ অফ সাইডে কব্জির মোচরে বলকে ঠেলে দেন। প্রচণ্ড চাপের মুখে পড়েও সংযত ভূমিকার কারণে ভারতের অন্যতম ব্যাটিংস্তম্ভে পরিণত হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শততম ওডিআইয়ে অংশ নেন ও নিজস্ব ত্রয়োদশ শতরানের ইনিংস খেলেন। এরফলে, ভারতের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে শততম ওডিআইয়ে শতক হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন।

২০১৩ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। ওডিআইয়ে তাঁর খেলার ছন্দ বেশ ঈর্ষণীয় পর্যায়ে উপনীত হয়। জুন, ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন। মাত্র পাঁচ খেলা থেকে দুই শতক সহযোগে ৯০.৭৫ গড়ে ৩৬৩ রান সংগ্রহ করেন। তন্মধ্যে, শতক দুটি প্রথম দুই খেলা থেকে পান। ভারতের শিরোপা বিজয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। রোহিত শর্মা’র সাথে ইনিংস উদ্বোধনে নামতেন। অনেকটা ঝুঁকি নেয়া হলেও ব্যাপক সফলতা পায় তাঁর দল। এ জুটিটি সৌরভ গাঙ্গুলী ও শচীন তেন্ডুলকরের পর ভারতের দ্বিতীয় সেরা উদ্বোধনী জুটি মর্যাদা পায়।

অক্টোবর, ২০১৩ সালে ভারতে সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও রানের ফুলঝুড়ি ছোটান। ছয় খেলা থেকে এক শতক ও দুইটি অর্ধ-শতক সহযোগে ২৮৪ রান তুলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও নিজ দেশে সুন্দর খেলেন। এক পঞ্জিকাবর্ষে ভারতের সর্বাধিক রান সংগ্রহের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। এরপর থেকে রান খরায় ভুগতে শুরু করেন।

২০১৩-১৪ মৌসুমে এমএস ধোনি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ৬৬ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৯৮ ও ২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ০/৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, প্রতিপক্ষীয় অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের অসাধারণ ত্রি-শতক স্বত্ত্বেও খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফরেও রান পাননি। ছয় ইনিংসে সর্বোচ্চ করেন মাত্র ৩৭ রান। অফের দিকের বলগুলো মোকাবেলায় ব্যর্থ হন, খুব তাড়াতাড়ি বলের কাছে চলে আসেন ও বল মোকাবেলায় তৎপরতা দেখান। ব্রিসবেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রান বাদে তেমন সফলতা পাননি। ২০১৪-১৫ মৌসুমের বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও উল্লেখযোগ্য রান পাননি। কৌশলগতভাবে দূর্বলতার কারণে লোকেশ রাহুলকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তবে, সীমিত-ওভারের খেলায় ঠিকই স্বর্ণালী সময়ে অবস্থান করছিলেন।

২০১৭ সালে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। পুরো সিরিজে অপূর্ব ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ১২ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ১১৯ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, হার্দিক পাণ্ড্য’র অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে খেলায় সফরকারীরা ইনিংস ও ১৭১ রানে জয় পেলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। এ সিরিজে ৩৫৮ রান সংগ্রহ করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।

২০১৮ সালে নিজ দেশে আসগর আফগানের নেতৃত্বাধীন আফগান দলের মুখোমুখি হন। ১৪ জুন, ২০১৮ তারিখে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সফররত আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। আফগানিস্তানের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্টে দারুণ খেলেন। ভারতের একমাত্র ও বৈশ্বিকভাবে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের প্রথম দিনের মধ্যাহ্নভোজনের পূর্বেই শতক হাঁকানোর কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। ঐ খেলায় তাঁর দল ইনিংস ও ২৬২ রানে জয় পায়। মনোরম ১০৭ রানের শতক হাঁকিয়ে খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

ঐ বছর বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখে লন্ডনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৩ ও ১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্বাগতিকরা ১১৮ রানে জয় পায় ও ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

সকল বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা দূর্দান্তভাবে শুরু করেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজাত ৭২ রান ও এমসিজিতে মর্নে মরকেল ও ডেল স্টেইনের ন্যায় পেসারদের রুখে দিয়ে ১৩৭ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন। এরফলে, বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয় তুলে নেয় ভারত দল। তবে, সেমি-ফাইনালে তাঁর দল বিদেয় নেয়। তবে, অস্ট্রেলীয় পিচে পেস ও বাউন্সে কিছুটা অপ্রস্তুত করলেও প্রকৃত বাউন্স মোকাবেলান্তে ভারতের সর্বাধিক রান সংগ্রাহক ছিলেন। ঐ প্রতিযোগিতা শেষে ৫১.৫০ গড়ে ৪১২ রান তুলেছিলেন। রোহিত শর্মা’র সাথে প্রথম উইকেটে তিনবার শতাধিক রানের জুটি গড়েন। উত্থান-পতনে খেলোয়াড়ী জীবন চলমান থাকলেও আরও একবার আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিজেকে মেলে ধরার প্রয়াস চালান। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন।

৪ জুন, ২০১১ তারিখে ২৫ বছর বয়সে পোর্ট অব স্পেনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ইনিংস উদ্বোধনে নেমে ১১ বল মোকাবেলায় মাত্র ৫ রান তুলতে সক্ষম হন। তাসত্ত্বেও টি২০ ক্রিকেটে দীর্ঘকাল খেলার ক্ষেত্র তৈরী করেন। ২০১৮ সালে টি২০আইয়ে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক হন। এক পঞ্জিকাবর্ষে ৬৮৯ রান তুলেন। ২০১৮ সালে ক্রিকবাজ কর্তৃক বর্ষসেরা ওডিআই ও টি২০ দলে তাঁকে রাখা হয়।

তাঁর ক্রিকেট খেলোয়াড়ী জীবনে যথার্থই সঠিক সময়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের প্রচলন ঘটে। ২০০৮ সালে ২২ বছর বয়সে তারকা খ্যাতি লাভ করতে না পারলেও আইপিএলে ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তি হবার বিষয়টি যথেষ্ট ছিল। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সাথে যুক্ত হন এবং বীরেন্দ্র শেহবাগ, গৌতম গম্ভীর, এবি ডি ভিলিয়ার্স, তিলকরত্নে দিলশান ও পল কলিংউডের সাথে ২০০৮ সালে খেলেন। তিন নম্বর অবস্থানে খেলেন। ১৪ খেলায় অংশ নিয়ে চারটি অর্ধ-শতক সহকারে ৩৪০ রান সংগ্রহ করে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকে পরিণত হন।

মতবিরোধের জের ধরে পরের মৌসুমে আশীষ নেহরা’র বিনিময়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে চলে যান। তবে, এ স্থানান্তরের কারণে তাঁকে খেসারত গুণতে হয়। দুই মৌসুমে মাত্র ১৫ খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ হয় তাঁর। ২০০৯ সালে ৫ খেলা থেকে ১০ গড়ে ও পরের আসরে ১০ খেলা থেকে মাত্র ১৯১ রান তুলেন। দুই মৌসুমে ব্যর্থ হলে আইপিএলের চতুর্থ আসরে $৩০০,০০০ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ডেকান চার্জার্সের সাথে যুক্ত হন। এ সিদ্ধান্ত তাঁর জন্যে সুখকর হয়। খেলায় ছন্দ ফিরে পান। শুরুতে ডেকান চার্জার্সের ও পরবর্তীতে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের প্রধান চালিকাশক্তিতে পরিণত হন। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্বে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হন। তবে, ২০১৪ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে ড্যারেন স্যামিকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়। খুব শীঘ্রই ভারত দলে খেলার জন্যে মনোনীত হন। ভারতের শীর্ষ তারকাসহ আইপিএলে দূর্দান্ত খেলেন। ২০১৫ সালে সানরাইজার্সের পাশাপাশি তিনিও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তবে, ২০১৬ সালের শিরোপা জয়ের মাধ্যমে ছন্দে ফিরে আসেন। ২০১৭ সালেও একই দলে থাকেন। ২০১৮ সালের নিলামে আরটিএম কার্ডের মাধ্যমে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে ৫.২ কোটি রূপির বিনিময়ে খেলেন।

২০১৯ সালের আইপিএল নিলামের পূর্বে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সদস্য ছিলেন। দিল্লিতে চলে যান ও তাঁর বিনিময়ে বিজয় শঙ্কর, অভিষেক শর্মা ও শাহবাজ নাদিমকে ঐ দলে নিয়ে আসা হয়। এরফলে, ১১ বছর পর দিল্লিভিত্তিক বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল ডেয়ারডেভিলসের পক্ষে না খেললেও দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে খেলার সুযোগ পান।

২০১৩ সালে আইসিসি বিশ্ব ওডিআই একাদশে ঠাঁই পান। একই বছরে সিয়েট বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ও ২০১৮ সালে সিয়েট বর্ষসেরা আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যানের পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদায় ভূষিত হন।

২০১৭ সালে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ২৬ জুলাই, ২০১৭ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ১৯০ রানের মনোরম শতক হাঁকান। এ পর্যায়ে দ্বিতীয় উইকেটে চেতেশ্বর পুজারা’র সাথে ২৫৩ রানের জুটি গড়েন। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ রান সংগ্রহসহ খেলায় দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিংয়ের কল্যাণে সফরকারীরা ৩০৪ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পরপর দুইবার গোল্ডেন ব্যাট পান। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে ঐ প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন। রান সংখ্যার দিক দিয়ে আইসিসি প্রতিযোগিতায় দ্রুততম সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২০১৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সর্বাধিকসংখ্যক ওডিআই শতক হাঁকান। ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দ্রুততম ১০০০, ২০০০ ও ৩০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২০১৮ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে টি২০আইয়ে সর্বাধিক রান তুলেন।

Similar Posts

  • |

    ববি অ্যাবেল

    ৩০ নভেম্বর, ১৮৫৭ তারিখে সারের রদারহিদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ওভাল মাঠে অনেকগুলো বছর ‘গাভনর’ নামধারী ববি অ্যাবেল দর্শকদের কাছে অতি পরিচিত ছিলেন। শক্তিধর সারে দলের অন্যতম বিশ্বস্ত ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ৫…

  • |

    জিমি সিনক্লেয়ার

    ১৬ অক্টোবর, ১৮৭৬ তারিখে কেপ প্রভিন্সের সুয়েলেন্ডাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ছিলেন। উঁচু থেকে বলে বৈচিত্র্যমূখী পেস বোলিং করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে অন্যতম পথিকৃতের ভূমিকায়…

  • | |

    বিল অ্যাথে

    ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৭ তারিখে ইয়র্কশায়ারের মিডলসবোরায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন। ১৯৮০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আট বছর সময়কাল অতিবাহিত করেছেন। তবে, থেমে থেমে বা আসা-যাবার পালায় ছিলেন ও সাধারণমানের খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত…

  • |

    নাসির জামশেদ

    ৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বামহাতি ধ্রুপদীশৈলীর অধিকারী আগ্রাসী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের অবস্থান সুদৃঢ়করণে দীর্ঘদিনের আশাবাদ পূরণে প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। সাঈদ আনোয়ার ও ম্যাথু হেইডেনকে পছন্দের তালিকার শীর্ষে রেখেছেন। ব্যাটিংয়ের ধরন অনেকাংশেই তাঁদের…

  • | | |

    অনিল কুম্বলে

    ১৭ অক্টোবর, ১৯৭০ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। ভারত দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। টেস্ট ও ওডিআইয়ে দলের সর্বাপেক্ষা কার্যকরী বোলার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপিত করেছেন। দলীয় সঙ্গীদের আসা-যাবার পালায় থাকলেও প্রতিটি খেলাতেই অংশ নিয়েছেন। ভারতকে একাকী…

  • | |

    লর্ড হক

    ১৬ আগস্ট, ১৮৬০ তারিখে লিঙ্কনশায়ারের উইলিংহাম রেক্টরি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ১৮৯০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৮৮১ সালের শরৎকালে কেমব্রিজের অধীন মাগদালেন কলেজে ভর্তি হন। বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট একাদশ দলে অন্তর্ভুক্ত হন।…