Skip to content

শেন বন্ড

1 min read

৭ জুন, ১৯৭৫ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের দূরন্ত গতিপণা, ক্ষীপ্রতা ও নান্দনিক পেসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অবিশ্বাস্য প্রতিভাবান বোলার হিসেবে খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকে গতির ঝড় তুলে সকলের নজর কাড়েন। অনেকাংশেই জেমস বন্ডের শত্রুদের বিনাশ করার ন্যায় ব্যাটসম্যানদের বিদেয় করতেন। কিন্তু, সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তাঁকে অনেকগুলো আঘাতের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এরফলে, তাঁর খেলোয়াড়ী জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। যদি আঘাত থেকে নিজেকে এড়িয়ে নিতে পারতেন, তাহলে হয়তোবা ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলারদের কাতারে চলে যেতে পারতেন। তাসত্ত্বেও, বেশকিছু উইকেটের সন্ধান পেয়েছেন ও ব্যাটসম্যানদের সমীহের পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। স্ট্যাম্প ও ব্যাটসম্যানের পা লক্ষ্য করে ইয়র্কার মারতেন। প্রকৃতমানের পেস নিয়ে বলকে উভয় দিক দিয়েই সুইং করাতে পারতেন ও সেরা ব্যাটসম্যানদেরকে হুক খেলতে প্রলুদ্ধ করতেন। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ঘণ্টায় ১৫৬.৪ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করেছিলেন। এরফলে, ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিংয়ের বাঁধা প্রথমবারের মতো ডিঙ্গান।

১৯৯৬ সালে ২১ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডীয় ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে থাকেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটার ও পুলিশ কর্মকর্তার যৌথ দায়িত্ব পালনে স্বাভাবিক খেলা ব্যাহত হয়। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০০৯-১০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারি এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার ও ওয়ারউইকশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, দিল্লি জায়ান্টস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষে খেলেছেন। জানুয়ারি, ১৯৯৭ সালে ২১ বছর ৭ মাস বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ক্যান্টারবারির পক্ষে তিন মৌসুম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেয়ার পর নিউজিল্যান্ড পুলিশে যোগ দেন। এরফলে, তাঁকে ক্রিকেট খেলা থেকে দূরে সড়ে যেতে হয়। তবে, এক বছর পরই পুণরায় ক্যান্টারবারি দলে যোগ দেন।

নভেম্বর, ২০০১ সালে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ও মে, ২০১০ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এ সময়ে নিউজিল্যান্ড দল সর্বমোট ৩০৭টি খেলায় অংশ নিলেও ক্রমাগত আঘাতের কারণে মাত্র ১২০টি খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাসত্ত্বেও, মাত্র ১৮ টেস্টে ২২.০৯ গড়ে ৮৭ উইকেট, ৮২টি ওডিআই থেকে ২০.৮০ গড়ে ১৪৭ উইকেট ও ২০টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়ে ২১.৭২ গড়ে ২৫ উইকেট লাভের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন। সব মিলিয়ে ২৫৯ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। পেস কমিয়ে ফেললে কমপক্ষে আরও ৫০ খেলা বেশী খেলতে পারেন। তবে তিনি হয়তোবা এত বেশী উইকেট পেতেন না ও গড়ও অধিক হয়ে পড়তো!

একটি বিষয়ে সকলেই একমত হবেন যে তাঁর ক্রীড়াশৈলী বেশ দৃষ্টিনন্দন ছিল। ইয়র্কার, ইন-সুইঙ্গার ও ঘণ্টাপ্রতি ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে পেস বোলিং করার বিষয়টি তাঁর সময়কালে সর্বাধিক আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত তারকা রিচার্ড হ্যাডলি’র পর সর্বাপেক্ষা সম্ভাবনাময় বোলার হিসেবে মর্যাদা পান।

২০০১ থেকে ২০১০ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ১৮ টেস্ট, ৮২টি ওডিআই ও ২০টি টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০০১-০২ মৌসুমে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ২২ নভেম্বর, ২০০১ তারিখে হোবার্টে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রবেশ করেন। খেলায় তিনি ১/১৩৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তবে, দলের একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। বৃষ্টিবিঘ্নিত খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ফলাফলবিহীন অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

হোবার্টে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটিতে ১/১৩৫ লাভ করেন ও প্রতিপক্ষ ৫৫৮ রান সংগ্রহ করে। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরে ১১ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে মেলবোর্নে দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে ত্রি-দেশীয় ভিবি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর ওডিআই অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ৩/৫৩ পান ও ২০০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করে তাঁর দল। এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

প্রথম খেলা থেকে তিন-উইকেট পান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজস্ব পঞ্চম ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেটের সন্ধান পান। ঐ সিরিজের নয় খেলায় অংশ নিয়ে ১৬.৩৮ গড়ে ২১ উইকেট দখল করেন। সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০২ সালে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ সফরে যান। পুরো সিরিজে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন। ২৮ জুন, ২০০২ তারিখে গ্রেনেডার সেন্ট জর্জেসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৫/১০৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ক্রিস গেইলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ঐ টেস্টটি ড্রয়ে পরিণত হলে সফরকারীরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। এ সিরিজে ২৮ রান সংগ্রহসহ ১২ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় ছিলেন। দলটিকে তিনি সুপার এইট পর্বে নিয়ে যান। এ আসরেই তিনি তাঁর অন্যতম সেরা ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনে অগ্রসর হন। প্রতিযোগিতার শিরোপাধারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬/২৩ নিয়ে ২০৮ রানে গুটিয়ে দিতে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। তবে, ব্রেট লি’র সাফল্যে প্রতিপক্ষ দল ৯৬ রানে জয় পায়। ঐ আসরে ১৭.৯৪ গড়ে ১৭ উইকেট কব্জা করেন।

২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওডিআইয়ে পিঠে আঘাত পান। এরফলে, বড় ধরনের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে। দুই বছর ক্রিকেট জগতের বাইরে থাকেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলায় ফিরে আসেন। প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটের সন্ধান পান। খেলার ধারা অব্যাহত রাখেন। ভারতের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৬/১৯ পান। ৯ মার্চ অকল্যান্ড টেস্টে ব্যক্তিগত সাফল্যে ভাস্বর হন। ২৯১ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল অগ্রসর হলে মাঝারিসারিতে ভাঙ্গন ধরান। ব্রায়ান লারাকে শূন্য রানে বিদেয় করাসহ ৫/৬৯ পান। এপ্রিল, ২০০৬ সালেও হাঁটুতে আঘাত পান। এরফলে, কয়েক মাস বিশ্রামে থাকেন।

নিউজিল্যান্ডের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই নিজেকে অধিক মেলে ধরেছিলেন। সকল ধরনের ২১ খেলা থেকে ২০.৮৬ গড়ে ৫০ উইকেট পান। ওডিআইয়ে দলটির বিপক্ষে ১৫.৭৯ গড়ে ৪৪ উইকেট দখল করেন। তন্মধ্যে, তিনবার পাঁচ-উইকেট পেয়েছিলেন। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও রিকি পন্টিং তাঁর প্রিয় শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। তন্মধ্যে, অস্ট্রেলীয় অধিনায়ককে ১৭ খেলা থেকে সাতবার বিদেয় করেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ছয় খেলা থেকে প্রত্যেকবারই তাঁকে পরাভূত করেন। ওডিআইয়ের ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট লাভের অধিকারী হন। এ মাইলফলক স্পর্শ করতে তাঁকে ৫৪টি ওডিআইয়ে অংশ নিতে হয়েছিল।

খেলোয়াড়ী জীবনে তাঁকে প্রতিনিয়ত আঘাতের কবলে পড়তে হয়েছে। পিঠের সমস্যা, হাঁটুর সম্যসা, হাড়ে ফাটল – এ সকল বাঁধায় তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য করে। পিঠের সমস্যায় অধিক কাবু হন। ২০০৩ সালে পিঠের আঘাতের কারণে প্রায় দুই বছর খেলার জগৎ থেকে দূরে সরেছিলেন।

২০০৫-০৬ মৌসুমে স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নেতৃত্বে জিম্বাবুয়ে সফরে যান। দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে চমৎকার খেলেন। ১৫ আগস্ট, ২০০৫ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। সফরকারীরা ইনিংস ও ৪৬ রানের ব্যবধানে জয়লাভসহ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। খেলায় তিনি ৬/৫১ ও ৪/৪৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভসহ ৪৯ রান সংগ্রহসহ ১৩ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পান।

এরপূর্বে ৭ আগস্ট, ২০০৫ তারিখে হারারেতে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে ৪১* রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/১১ ও ২/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ঐ টেস্টে তাঁর দল ইনিংস ও ২৯৪ রানের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।

একই মৌসুমে নিজ দেশে শিবনারায়ণ চন্দরপলের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ৯ মার্চ, ২০০৬ তারিখে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। খেলায় তিনি ২/৫৭ ও ৫/৬৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৩ ও ১৮* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ২৭ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০০৬-০৭ মৌসুমে নিজ দেশে মাহেলা জয়াবর্ধনে’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ৭ ডিসেম্বর, ২০০৬ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ৩/৪৩ ও ৪/৬৩ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ বোলিংয়ের কল্যাণে পাঁচ উইকেটে পরাজিত হয়। এরফলে, দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০০৭-০৮ মৌসুমে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৮ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১ রান সংগ্রহ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আঘাতের কারণে ব্যাটিংয়ে নামেননি। এছাড়াও, ৪/৭১ ও ১/৬০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। ডেল স্টেইনের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩৫৮ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

আঘাত নিয়েও জানুয়ারি, ২০০৮ সালে অনুমোদনবিহীন আইসিএলে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। এরফলে, বিশ দিন পরই নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হন ও চুক্তি ছিন্ন করে। নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যতের কথা চিন্তে করে ঐ লীগে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান। জুলাই, ২০০৯ সালে আইসিএল থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটালে এনজেডসি তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগতঃ জানায়।

২০০৯-১০ মৌসুমে নিজ দেশে মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের মুখোমুখি হন। ২৪ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ব্যাট হাতে ২২ ও ৭ রান সংগ্রহ করেন। বল হাতে নিয়ে ৫/১০৭ ও ৩/৪৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর চমকপ্রদ ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩২ রানে জয় পেয়ে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

এক পর্যায়ে বোলিংয়ের ধরন পরিবর্তন করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরে আসলেও এবার দীর্ঘ ইনিংসের খেলায় অংশ নেননি। এর এক বছর পর আইসিসি বিশ্ব টি২০ প্রতিযোগিতায় ব্ল্যাকক্যাপস দল বিদেয় নেয়ার পর সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। ১০ মে, ২০১০ তারিখে গ্রোস আইলেটে টি২০আইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।

সেন্ট্রাল স্ট্যাগসের সহকারী কোচের দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হন। এরপর, ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বোলিং কোচ হিসেবে মনোনীত হন। এরই মাঝে কিছু সময়ের জন্যে ইন্ডিয়ান টি২০ লীগের তৃতীয় আসরে কলকাতার সাথে যুক্ত হন। ২০১৭-১৮ মৌসুমের অ্যাশেজ সফরে ইংল্যান্ড দলের বোলিং পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৭ আগস্ট, ২০২১ তারিখে টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে ঘিরে নিউজিল্যান্ডের কোচিং দলে যোগ দেন। বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে ভারতের বিপক্ষে টি২০আই খেলা পর্যন্ত দলে অবস্থান করবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।