১ মার্চ, ১৯৫০ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৭০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৬৮-৬৯ মৌসুম থেকে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী ও সিন্ধুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সবমিলিয়ে এগারো মৌসুম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। তবে, খেলায় ধারাবাহিকতা ছিল না। কেবলমাত্র তিনবার পূর্ণাঙ্গভাবে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন।
১৯৭৬ সালে পাকিস্তানের পক্ষে কেবলমাত্র একটিমাত্র টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে নিজ দেশে জন পার্কারের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ৩০ অক্টোবর, ১৯৭৬ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। সিকান্দার বখ্তের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলেছিলেন। ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি। জয়ের অবস্থানে পৌঁছেও পাকিস্তান দলকে এর খেসারত গুণতে হয়েছিল। পরবর্তীতে আর তাঁকে দলে রাখা হয়নি। ঐ খেলায় ১১ নম্বর অবস্থানে থেকে ব্যাটিং করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, জাভেদ মিয়াঁদাদের দ্বি-শতরানের বদৌলতে করাচীতে পাকিস্তান দল ৫৬৫ রান সংগ্রহ করে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিক দল তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে।
২৯ এপ্রিল, ২০১৩ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে ৬৩ বছর ৫৯ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
