২৫ জুলাই, ১৯২৫ তারিখে ট্রান্সভালের জোহানেসবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর, উইওয়াটারস্রান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে খনিবিষয়ক ডিগ্রীধারী হন। ইনিংস উদ্বোধনে নির্ভরযোগ্যতার পরিচয় দিতেন। ১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
১৯৪৯-৫০ মৌসুমে ট্রান্সভালের পক্ষে অভিষেক ঘটার কয়েক মাস পরই রাজ্য হকি দলে খেলার সুযোগ পান। পরের মৌসুমে নিজস্ব প্রথম শতরানের ইনিংস খেলেন। কারি কাপে রান সংগ্রহে শীর্ষ স্থান দখল করা সত্ত্বেও ১৯৫৫ সালের ইংল্যান্ড সফরে তাঁকে দলে রাখা হয়নি ও সচরাচর দূর্ভাগ্যজনক ঘটনারূপে আখ্যায়িত করা হয়।
১৯৫৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে নিজ দেশে পিটার মে’র নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ’র অনুপস্থিতিতে এ সুযোগ পান। ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৬ তারিখে ওয়ান্ডারার্সে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ঐ টেস্টে ১২ ও ৬ রান তুলেছিলেন। ঐ মাঠের প্রথম টেস্টে ট্রেভর গডার্ডের সাথে ইনিংস উদ্বোধনে নেমেছিলেন। ১২ রান তুলতে ১০৬ মিনিট খরচ করেন। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসে অল্পতেই গুটিয়ে যায় তাঁর দল। ১৩১ রানে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। নিউল্যান্ডসে পরবর্তী টেস্টে জ্যাকি ম্যাকগ্লিউ’র প্রত্যাবর্তনে তাঁকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।
১৯৬০-৬১ মৌসুমের গ্রীষ্মের শেষে ক্রিকেট জগৎকে বিদেয় জানান। এরপর, স্কোয়াশ ও বোলসে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সাউথ আফ্রিকান হকি ইউনিয়নের সভাপতি হন ও ট্রান্সভাল হকিতে প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪ তারিখে জোহানেসবার্গের র্যান্ডেস এস্টেট এলাকায় ৭৮ বছর ১৯৭ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
