|

সানোয়ার হোসেন

৫ আগস্ট, ১৯৭৩ তারিখে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

সামনের পায়ের উপর ভর করে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে নিয়মিতভাবে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে বরিশাল বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সময়কালে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বমোট নয়টিমাত্র টেস্ট ও ২৭টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এ সময়ের মধ্যে কেবলমাত্র একটি অর্ধ-শতকের ইনিংস খেলতে পেরেছিলেন। ১৯ জানুয়ারি, ১৯৯৮ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সফররত ভারতের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে ৫২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ২০০১ সালের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে ও ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চল্লিশের কোটা স্পর্শ করতে পেরেছিলেন।

২০০১-০২ মৌসুমে খালেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের সাথে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৮ ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। সফরকারীরা ইনিংস ও ৫২ রানে পরাজয়বরণ করে। ঐ খেলায় তিনি চল্লিশের কোটা অতিক্রম করেন। ৪৫ ও ১২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। পরবর্তীতে, ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চল্লিশের কোটাকে পাশ কাটিয়ে অর্ধ-শতকে রূপান্তরে ব্যর্থ হন।

২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে খালেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশী দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৮ অক্টোবর, ২০০২ তারিখে ইস্ট লন্ডনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ৪৫ রান অতিক্রম করেন। খেলায় তিনি ৩১ ও ৪৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। গ্রায়েম স্মিথের অনবদ্য দ্বি-শতকের কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ১০৭ রানে পরাজিত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

আকরাম খানের অবসরের পর মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান। আমিনুল ইসলামকে দলে না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও ঐ স্থানে নিজেকে কখনো স্থায়ী আসনে নিয়ে যেতে পারেননি। তেমন সুবিধে করতে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৩ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। ছয় খেলা থেকে মাত্র ৬৩ রান তুলতে পেরেছিলেন।

বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। কেয়ার্নসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বল ছোঁড়ার অভিযোগ আসে। নজরদারীতে চলে আসলেও টেস্টের পর ওডিআই সিরিজ খেলার অনুমতি পান। ২৮ জুলাই, ২০০৩ তারিখে আইসিসি কর্তৃক সন্দেহজনক বোলিং ভঙ্গীমার কারণে অভিযুক্ত হন। তবে, ৩১ জুলাই, ২০০৩ তারিখে বাংলাদেশের কোচ ডেভ হোয়াটমোর মন্তব্য করেন যে, সন্দেহজনক বোলিং ভঙ্গীমায় যুক্ত থাকলেও তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে অংশগ্রহণ করাবেন। মাঠে অধিনায়কের উপর নির্ভর করবে তিনি বোলিং করবেন কি করবেন না। উপর্যুপরী দূর্বলমানের ক্রীড়াশৈলীর কারণে দল থেকে বাদ পড়েন।

জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চাকুরী করেন। এক বছরের অধিক সময় খেলার জগৎ থেকে দূরে সড়ে থাকার পর ১৭ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে ভারতের বিপক্ষে খেলার জন্যে পুণরায় জাতীয় দলে যুক্ত হন। ১৫-সদস্যের দলে থাকলেও প্রথম একাদশে তাঁকে রাখা হয়নি। ২০ আগস্ট, ২০০৩ তারিখে পাকিস্তান সফরে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমে খালেদ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান সফরে যান। করাচীতে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৫ ও ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঐ টেস্টে স্বাগতিক দল ৭ উইকেটে জয় পায়। ২০০৫ সালে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন।

Similar Posts

  • | |

    অ্যান্ডি ওয়ালার

    ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে সলসবারিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘বান্ডু’ ডাকনামে পরিচিতি পান। দীর্ঘদেহী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ক্রমাগত আঘাত ও তামাক চাষে জড়িত থাকায় খেলোয়াড়ী জীবন উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জনপ্রিয় ছিলেন ও বিনোদনধর্মী…

  • |

    কীর্তি আজাদ

    ২ জানুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে বিহারের পুর্ণিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৮০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।…

  • | | |

    জবাগল শ্রীনাথ

    ৩১ আগস্ট, ১৯৬৯ তারিখে কর্ণাটকের মহীশূরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, প্রশাসক ও রেফারি। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১.৯১ মিটার উচ্চতার অধিকারী। ১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ২০০৩ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক…

  • |

    মোহাম্মদ সেলিম

    ১৫ অক্টোবর, ১৯৮১ তারিখে খুলনার ফেরিঘাট এলাকায় জন্ম। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলায় ভূমিকা পালন করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে পারদর্শী ছিলেন। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০১৩-১৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরে প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে খুলনা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের পক্ষে…

  • | |

    জো ডার্লিং

    ২১ নভেম্বর, ১৮৭০ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন অসমন্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যবসায়ী জন ডার্লিং ও ইসাবেলা দম্পতির ষষ্ঠ পুত্র ছিলেন। ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৪ সাল পর্যন্ত মেলবোর্নভিত্তিক স্কচ কলেজে অধ্যয়ন করেন। এরপর, অ্যাডিলেডভিত্তিক প্রিন্স আলফ্রেড…

  • |

    রবি রত্নায়েকে

    ২ মে, ১৯৬০ তারিখে কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৮৯-৯০ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ব্যাট ও বল…