|

স্যান্ডফোর্ড শ্যুলজ

২৯ আগস্ট, ১৮৫৭ তারিখে চেশায়ারের বার্কেনহেড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি। ১৮৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৮৭৩ সালে আপিংহাম একাদশের পক্ষে খেলেছেন। চার বছর পর ডব্লিউ. এস. প্যাটারসন কর্তৃক কেমব্রিজ ব্লুধারী হন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। ১৮৭৬ থেকে ১৮৮৫ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৮৭৭ থেকে ১৮৮২ সাল পর্যন্ত মাঝে-মধ্যে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে খেলতেন।

ক্লাব ক্রিকেটে বেশ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন। দ্রুতগতিসম্পন্ন রাউন্ড আর্ম বোলিং করতেন, চমৎকার ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন এবং স্লিপ অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। ১৮৮২ সালে অর্লিয়েন্স ক্লাবের সদস্যরূপে বেক্সলি’র বিপক্ষে নয় উইকেট পান ও একজন খেলোয়াড় রান-আউটের শিকার হয়েছিলেন। ১৮৮৭ সালে পোর্টসমাউথে আপিংহাম রোভার্সের সদস্যরূপে ইউনাইটেড সার্ভিসেসের বিপক্ষে ২৮৬ রানের উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন।

মেলবোর্ন ক্লাবের পক্ষ থেকে ইংল্যান্ড জেন্টলম্যানকে খেলায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হলে ১৮৭৮-৭৯ মৌসুমে লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বাধীন শৌখিন দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ১৮৭৯ সালে ইংল্যান্ডের সদস্যরূপে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ২ জানুয়ারি, ১৮৭৯ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। আলেকজান্ডার ওয়েব, মাঙ্কি হর্নবি, বানি লুকাস, চার্লি অ্যাবসলম, ফান্সিস ম্যাককিনন, লেল্যান্ড হোন, লর্ড হ্যারিস ও দ্য রেভারেন্ড ভার্নন রয়্যালের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। মোটেই সুবিধে করতে পারেননি। খেলায় তিনি ব্যাট হাতে নিয়ে ০* ও ২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/১৬ ও ০/১০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ১০ উইকেটে পরাজয়বরণ করেছিল। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

পরবর্তীকালে নিজ নাম পরিবর্তন করে ‘স্যান্ডফোর্ড স্পেন্স স্টোরি’ রাখেন। এর কারণ হিসেবে ১৮৮১ সালে ইংল্যান্ড জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে পিচের বাজে অবস্থার কারণে দ্য পার্কসে দুইবার এক ইনিংসে প্রথম বলেই বিদেয় নেয়ার ঘটনা জড়িত রয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৩৭ তারিখে লন্ডনের ব্রম্পটন এলাকায় ৮০ বছর ১১১ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • |

    ডানকান শার্প

    ৩ আগস্ট, ১৯৩৭ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণকারী অ্যাংলো-পাকিস্তানী ক্রিকেটার। কার্যকর ও আগ্রাসী ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাশাপাশি, বিশ্বস্ত উইকেট-রক্ষক হিসেবে খ্যাতি কুড়ান। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে লাহোর,…

  • | |

    রঙ্গনা হেরাথ

    ১৯ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে কুরুনেগালায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণসহ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কুরুনেগালা ইয়ুথ ক্রিকেট ক্লাব, মুরস স্পোর্টস…

  • |

    রাজিন্দার পাল

    ১৮ নভেম্বর, ১৯৩৭ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৬০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ক্ষীপ্রগতিসম্পন্ন ও প্রাণবন্তঃ পেস বোলিং করতেন। তবে, ভুল সময়ে তাঁর জন্ম হয়েছিল। এ সময়ে স্পিন ও অল-রাউন্ডার নিয়ে দল সাজানো…

  • | |

    সুরেশ রায়না

    ২৭ নভেম্বর, ১৯৮৬ তারিখে উত্তরপ্রদেশের মুর্দানগরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদশী। ভারত দলের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক অংশ নিয়েছেন ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘সানু’ ডাকনামে ভূষিত সুরেশ রায়না ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ২০০০ সালে ক্রিকেট খেলতে সিদ্ধান্ত নেন।…

  • | | |

    গ্রেগ ক্যাম্পবেল

    ১০ মার্চ, ১৯৬৪ তারিখে তাসমানিয়ার লঞ্চেস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর উত্থান পর্ব বেশ দর্শনীয় ছিল। তবে, আঘাতের কারণে খেলোয়াড়ী জীবন স্বল্প স্থায়ী হয়ে পড়ে। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ১৯৯১-৯২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর…

  • |

    এনামুল হক, ১৯৮৬

    ৫ ডিসেম্বর, ১৯৮৬ তারিখে পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য জেলা সিলেটে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। লাফিয়ে ও মিতব্যয়ী বোলিং কর্মে অগ্রসর হন। ২০০১-০২ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সরব রেখেছেন। ঘরোয়া আসরের…