|

স্যামি কার্টার

১৫ মার্চ, ১৮৭৮ তারিখে ইয়র্কশায়ারের নর্থোরাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষণের সাথে যুক্ত ছিলেন। উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। ক্ষীপ্রগতিসম্পন্ন উইকেট-রক্ষক ছিলেন। তবে, সমসাময়িক অনেকে স্ট্যাম্পের কাছে থাকলেও তিনি তা করতেন না। ব্যাটিংকালে কাঁধের উপর দিয়ে স্কুপ করতেন। ব্যাটিংয়ে সীমিত পর্যায়ে সফলতা পান। ১৮৯৭-৯৮ মৌসুম থেকে ১৯২৪-২৫ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৯৭-৯৮ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। এ পর্যায়ে ওয়াভার্লির পক্ষে ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিতেন ও রাজ্য দলে নিয়মিতভাবে খেলেন।

১৯০৭ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বমোট ২৮ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯০২ সালের শুরুতে জিম কেলি’র সহযোগী হিসেবে ইংল্যান্ডে যান। তবে, টেস্ট অভিষেকের জন্যে তাঁকে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। ১৯০৫ সালের সফরে তাঁকে বিতর্কিতভাবে বাদ দেয়া হয়। ১৯০৭-০৮ মৌসুমে নিজ দেশে ফ্রেডরিক ফেনের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের মুখোমুখি হন। ঐ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ-টেস্টের সবকটিতে অংশ নেন। ১৩ ডিসেম্বর, ১৯০৭ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। চার্লি ম্যাকার্টনি, জেরি হাজলিট ও ভার্নন র‌্যান্সফোর্ডের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ২৫ ও ৬১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে দণ্ডায়মান থেকে একটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দীকরণে অগ্রসর হন। সফরকারীরা ২ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

১৯০৯ সালের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে দলের সাথে স্বীয় মাতৃভূমিতে যান। ১৯১২ সালের সফরে নিজেদের ব্যবস্থাপক মনোনীত করার বিষয়ে আন্দোলনের কারণে অন্যতম হিসেবে বাদ পড়েন। প্রায় ৪৩ বছর বয়সে এসে ১৯২০-২১ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্ট খেলে পুণরায় খেলোয়াড়ী জীবন চালু করেন।

১৯২১ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। চার টেস্ট খেলেন। হেডিংলিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের মুখোমুখি হন। ঐ খেলায় একমাত্র ইয়র্কশায়ারীয় হিসেবে খেলেছিলেন।

১৯২১-২২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে নিয়মিত অধিনায়ক ওয়ারউইক আর্মস্ট্রংয়ের অসুস্থতার কারণে হার্বি কলিন্সের নেতৃত্বাধীন অজি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। এ সফরেই নিজের সর্বশেষ দুই টেস্টে অংশ নেন। ৫ নভেম্বর, ১৯২১ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৯ ও ১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, উইকেট-রক্ষণে অগ্রসর হয়ে একটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।     

একই সফরের ২৬ নভেম্বর, ১৯২১ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩১* ও ০* রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে তিনটি স্ট্যাম্পিং ও একটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। সফরকারীরা ১০ উইকেটে জয় পেলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

প্রথম চার টেস্ট থেকে তিনটি অর্ধ-শতক আদায় করেছিলেন। পরবর্তীতে, আর তেমন সুবিধে করতে পারেননি। টেস্টগুলো থেকে ৪৪ ক্যাচ ও ২১ স্ট্যাম্পিং ঘটিয়েছিলেন। ১৯৩২ সালে ৫৪ বছর বয়সে ভিক রিচার্ডসনের অধিনায়কত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর করেন।

ক্রিকেটের বাইরে সিডনিতে মৃতদেহ সৎকারের সাথে জড়িত ছিলেন। ৮ জুন, ১৯৪৮ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের বেলেভ্যু হিল এলাকায় ৭০ বছর ৮৫ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | |

    সৌরভ গাঙ্গুলী

    ৮ জুলাই, ১৯৭২ তারিখে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বেহালায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও প্রশাসক। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। ভারত দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। সেন্ট জাভিয়ার্স কলেজে পড়াশুনো করেছেন। বাংলা ক্রিকেট দলের পক্ষাবলম্বনকারী জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা স্নেহাশীষের পদাঙ্ক অনুসরণে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ…

  • |

    জসুভাই প্যাটেল

    ২৬ নভেম্বর, ১৯২৪ তারিখে গুজরাতের আহমেদাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। অফ-স্পিন বোলিং করতেন। তবে, মিহির বসু তাঁকে সিম সহযোগে বোলিং করার কথা উল্লেখ করেছেন। ১৯৪৩-৪৪ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত…

  • | |

    মুশফিকুর রহিম

    ৯ জুন, ১৯৮৭ তারিখে বগুড়ায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • |

    সৌম্য সরকার

    ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩ তারিখে সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শী। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পিতার ন্যায় শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। দর্শনীয় ব্যাটিংশৈলীর অধিকারী ও মিডিয়াম পেস বোলিং করে থাকেন। কিশোর অবস্থাতেই দর্শনীয়ভাবে ব্যাটিং করতে অভ্যস্ত ছিলেন। মিডিয়াম পেস বোলিংয়েও যথেষ্ট…

  • |

    দিলীপ সরদেশাই

    ৮ আগস্ট, ১৯৪০ তারিখে পর্তুগীজ অধ্যূষিত গোয়ার মারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে বোলিং কর্মে অগ্রসর হতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৬০-৬১ মৌসুম থেকে ১৯৭২-৭৩ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বোম্বের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কিশোর বয়সে অধ্যয়নের…

  • | |

    গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার

    ২০ ডিসেম্বর, ১৯৭০ তারিখে সলসবারিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে সবিশেষ পারদর্শী ছিলেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। হারারেভিত্তিক সেন্ট জর্জেস কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৮৯-৯০ মৌসুম থেকে ২০১০ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া…