১৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৯২ তারিখে নটিংহ্যামশায়ারের নিউস্টিড কোলিয়ারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯২০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
তরুণ অবস্থায় স্থানীয় কয়লা শ্রমিকদের সাথে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। কিছুটা স্লো-মিডিয়াম পেস ধরনের বোলিং করতেন। তবে, দ্রুততার সাথে বল পিচে ফেলাসহ উভয়দিক দিয়েই ফেলতে পারতেন। ১৯১৮ ও ১৯১৯ সালে সেলস্টন ডেসবোরা’র পক্ষে খেলেছেন। ১৯১৯ সালে স্কটল্যান্ডে যাচাই-বাছাইয়ের খেলায় অংশগ্রহণের পর তাঁকে নটস দলে খেলার জন্যে সুপারিশ করা হয়। এরফলে, ১৯২০ সালে ট্রেন্ট ব্রিজের কর্মী হিসেবে যোগ দেন। নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটসম্যান ছিলেন ও চমৎকার ফিল্ডিং করতেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নটিংহ্যামশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দলের ৩২০তম খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
১৯২০ থেকে ১৯৩৪ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। মে, ১৯২০ সালে লর্ডসে নটিংহ্যামশায়ার বনাম এমসিসি’র মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে তাঁর প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনা ঘটে। শেষ তিন বছরে নটস দলের সর্বাপেক্ষা পরিশ্রমী বোলার ছিলেন। ১৯২৬ সালে ১১৩ উইকেট দখল করেন। ১৯২৭ সালে বারাট বাদে দলের অন্য যে-কোন বোলারের চেয়ে দ্বিগুণসংখ্যক বোলিং করেছিলেন ও ১২৩ উইকেট লাভ করেন। মিডিয়াম-পেস বোলিং করে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতেন ও অমূল্য বোলার হিসেবে ব্যাটসম্যানদের থিতুকালীন এক প্রান্ত থেকে বিরামহীন বোলিং করে অন্য বোলারদেরকে বিশ্রাম দিতেন।
১৯২৭ সালে অত্যন্ত ভালোমানের বোলিংয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ঐ বছরের শরৎকালে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনার্থে তাঁকে এমসিসি দলে ঠাঁই দেয়া হয়।
১৯২৮ সালে সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সবগুলো টেস্টই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছেন। ১৯২৭-২৮ মৌসুমে রনি স্ট্যানিফোর্থের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ২১ জানুয়ারি, ১৯২৮ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৩/৫০ ও ২/১১১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ২ ও ৮* রান সংগ্রহ করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে সফরকারীরা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
একই সফরের ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৮ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২ ও ৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৩/৯৬ ও ১/৩০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। সফরকারীরা ৮ উইকেটে পরাজয়বরণ করলে ২-২ ব্যবধানে সিরিজটি শেষ করে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁকে দলে রাখা হয়। মরিস টেট ও লারউডের পর বোলিংয়ের জন্যে রাখা হলেও দূর্ভাগ্যবশতঃ অসুস্থতার কবলে পড়লে তাঁকে কোন খেলায় অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়।
১৯২৯ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননাপ্রাপ্ত হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিং জগতের দিকে ধাবিত হন। কয়েক মাস ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী ছিলেন। অতঃপর, ৪ জুন, ১৯৫০ তারিখে নটিংহামের স্ট্যান্ডার্ড হিল এলাকায় ৫৭ বছর ২৫৯ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। তাঁর কনিষ্ঠ ভ্রাতা আর্থার নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে খেলেছেন।
