|

সেলিম ইউসুফ

৭ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে সিন্ধু প্রদেশের করাচীতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন। পাকিস্তানের পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন।

১৯৭৮-৭৯ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক, পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, পাকিস্তান কাস্টমস ও সিন্ধুর প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

ওয়াসিম বারি’র যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর মাঝে সম্যক গুণাবলীর স্বাক্ষর দেখা যায়। উইকেট-রক্ষণে দূর্দান্ত ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে স্থিরতা আনয়ণে সচেষ্ট হন। এ পর্যায়ে দারুণ স্ট্রোকপ্লে মারতেন। উইকেটের পিছনে অবস্থান করে অনেকবার দুরূহ ক্যাচ গ্লাভসবন্দীতে তৎপরতা দেখানোসহ তড়িৎগতিতে স্ট্যাম্পিং করতেন। এছাড়াও, উভয় স্তরের ক্রিকেটে কার্যকর ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয়ে বিরাট ভূমিকা রেখেছেন।

১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ৩২ টেস্ট ও ৮৬টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৮১-৮২ মৌসুমে নিজ দেশে বান্দুলা বর্ণাপুরা’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ৫ মার্চ, ১৯৮২ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। রশীদ খান, সেলিম মালিক ও তাহির নাক্কাসের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, পাঁচটি ক্যাচ ও দুইটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। ২০৪ রানে জয় পেয়ে স্বাগতিকরা তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

অল্প কিছুদিন পর ১২ মার্চ, ১৯৮২ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওডিআইয়ে অংশ নেন।

১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় স্মরণীয় ইনিংস উপহার দেন। নিশ্চিত পরাজয়ের কবলে উপনীত হওয়া দলকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন।

১৯৯০-৯১ মৌসুমে নিজ দেশে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১৮ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ১০ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে পাঁচটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দীকরণে অগ্রসর হন। ওয়াকার ইউনুসের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৯ উইকেটে পরাজিত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে নিজ দেশে ডেসমন্ড হেইন্সের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ১৫ নভেম্বর, ১৯৯০ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। প্রথম ইনিংসে একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৫ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, তিনটি ক্যাচ ও দুইটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, সেলিম মালিকের অসামান্য ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলায় স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে জয় পায় ও তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

Similar Posts

  • |

    মাহমুদুল হাসান জয়

    ১৩ নভেম্বর, ২০০০ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। ২০২০-এর দশকের শুরু থেকে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে ক্রিকেট খেলেছেন। ২০২০-২১ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর বাংলাদেশী ক্রিকেটে চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের পক্ষে…

  • | | |

    বব উইলিস

    ৩০ মে, ১৯৪৯ তারিখে কো ডারহামের সান্ডারল্যান্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। জন্মসনদে তাঁকে রবার্ট জর্জ উইলিস নামে পরিচিতি ঘটানো হয়েছেন। ‘গুস’, ‘ডাইল্যান’, ‘হ্যারল্ড’ কিংবা ‘সোর্ডফিশ’ ডাকনামে ভূষিত বব উইলিস ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি…

  • |

    ভিক্টর ট্রাম্পার

    ২ নভেম্বর, ১৮৭৭ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ডার্লিংহার্স্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। চার্লস টমাস ট্রাম্পার ও লুই দম্পতির সন্তান ছিলেন। ১৮৯৩ সালে জুনিয়র পাবলিক পরীক্ষায় কৃতকার্য্য না হবার পূর্ব পর্যন্ত ক্রাউন স্ট্রিট সুপারিয়র পাবলিক স্কুলে…

  • |

    সিলভেস্টার ক্লার্ক

    ১১ ডিসেম্বর, ১৯৫৪ তারিখে বার্বাডোসের লিড ভেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘সিলভার্স’ ডাকনামে ভূষিত সিলভেস্টার ক্লার্ক ৬ ফুট ২ ইঞ্চি দীর্ঘ উচ্চতাসহ শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। সেন্ট বাথোলমিউজ বয়েজ স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন।…

  • |

    কাইল অ্যাবট

    ১৮ জুন, ১৯৮৭ তারিখে কোয়াজুলু-নাটালের এম্পাঙ্গেনি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামেন। ২০১০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। কিয়ার্সনি কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। দীর্ঘদেহী ও শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। পেস ও বলে গতি সঞ্চারণে বেশ সক্ষম ছিলেন ও…

  • |

    কাইল জেমিসন

    ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে অভ্যস্ত তিনি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন। ‘কিলা’ ডাকনামে ভূষিত কাইল জেমিসন ৬ ফুট ৮ ইঞ্চির দীর্ঘ উচ্চতার অধিকারী। বেশ লম্বাটে গড়ন নিয়ে বোলিং কর্মে অগ্রসর হন ও পেস বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের…