|

সাঈদ আজমল

১৪ অক্টোবর, ১৯৭৭ তারিখে পাঞ্জাবের ফয়সালাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নেমেও কার্যকর ভূমিকার স্বাক্ষর রাখতেন। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম থেকে ২০১৭-১৮ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে ফয়সালাবাদ, ইসলামাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ, ওয়াটার এন্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও জারাই তারাকিয়তি ব্যাংক লিমিটেড এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঘরোয়া আসরে ফয়সালাবাদ দলের প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন।

এছাড়াও, ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতর সংক্ষরণের খেলাগুলোয় বেশ সফলতা পেয়েছিলেন। অ্যান্টিগুয়া হকসবিলস, ফয়সালাবাদ উল্ভস, ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

দুসরার উপর সবিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। এছাড়াও, শূন্যে বলকে ভাসিয়ে ও গতি সহকারে বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ে সিদ্ধহস্তের অধিকারী ছিলেন। তুলনামূলকভাবে বেশ বয়েস নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার সুযোগ পান। এ পর্যায়ে তাঁর বয়স ছিল ৩০ বছর। তাসত্ত্বেও, স্বীয় ভাস্বরে মহীয়ান থেকে সেরা স্পিনারের মর্যাদা লাভ করেছেন, হারানো সময়কে পুষিয়ে দিয়েছেন। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা স্পিনারে নিজেকে পরিণত করেন।

২০০৮ থেকে ২০১৫ সময়কালে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বমোট ৩৫ টেস্ট, ১১৩টি ওডিআই ও ৬৪টি টি২০আইয়ে অংশ নিয়েছেন। ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণ ঘটান। ২ জুলাই, ২০০৮ তারিখে করাচীতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে প্রথম খেলতে নামেন। বলে পর্যাপ্ত গতি সঞ্চারিত করে বাঁক খাইয়ে সকলকে বিমোহিত করেন। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ওডিআই সিরিজে অস্ট্রেলীয় দলকে পুরোপুরি হিমশিম খাওয়ান। খুব কম রানই খরচ করেছিলেন ও তাঁর দুসরা মোকাবেলা করে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

২০০৯ সালে আইসিসি থেকে সন্দেহজনক বোলিং ভঙ্গীমার কারণে তাঁকে নজরে রাখে। পরবর্তীতে অবশ্য তাঁকে এ অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর থেকে ক্রমাগত ব্যাটসম্যানদের সমীহের পাত্রে পরিণত হতে থাকেন।

৭ মে, ২০০৯ তারিখে দুবাইয়ের ডিএসসিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি২০আইয়ে প্রথম খেলেন। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। ১২ উইকেট দখল করে ঐ প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন। খেলার মাঝামাঝি সময়ে শহীদ আফ্রিদি’র অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনে সহায়ক ভূমিকা রেখে পাকিস্তানকে ট্রফি লাভে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও, ওভারপ্রতি রান খরচে মিতব্যয়ীতার দৃষ্টান্ত গড়েন।

টি২০ বিশ্বকাপে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে ইউনুস খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমনার্থে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৩২ বছর বয়সে প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ৪ জুলাই, ২০০৯ তারিখে গলেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। মোহাম্মদ আমির ও আব্দুর রউফের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ঐ টেস্টে পাঁচ উইকেট দখল করেছিলেন। ২/৭৯ ও ৩/৩৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, রঙ্গনা হেরাথের অসামান্য অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে তাঁর দল ৫০ রানে পরাজয়বরণ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। ঐ সিরিজে ১৪ উইকেট দখল করেছিলেন।

২০১০ সালের টি২০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪/২৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিক্ততাপূর্ণ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। মাইকেল হাসি খেলার শেষ ওভারে তাঁর বল থেকে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন।

২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে প্রথমবারের মতো পাঁচ-উইকেট লাভ করেন। ৫/৮২ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন তিনি। এছাড়াও, ব্যাট হাতে অর্ধ-শতকের সন্ধান পেয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও অসাধারণ খেলা উপহার দেন। দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২০ উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, গায়ানায় অনুষ্ঠিত টেস্টে প্রথমবারের মতো দশ উইকেট দখল করেন।

২০১১ সালে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করেন। পুরো সিরিজে দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনে অগ্রসর হন। ২০ মে, ২০১১ তারিখে বাসেতেরেতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ২৩* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ৩/৫৬ ও ৩/৭৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, তৌফিক উমরের অসাধারণ ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ১৯৬ রানে পরাজিত হলে সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। এ সিরিজে ২৭ রান সংগ্রহসহ ১৭ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১১-১২ মৌসুমে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন করেন। এ সিরিজে দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ২৬ অক্টোবর, ২০১১ তারিখে দুবাইয়ের ডিএসসিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। চমৎকার খেলেন। ৩/৪৫ ও ৫/৬৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ২০ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর বদৌলতে পাকিস্তান দল ৯ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

এরপর, একই সফরের ৩ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে শারজায় সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৪/১৩২ ও ৩/৫০ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়ে ১২* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, কুমার সাঙ্গাকারা’র অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীতে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালেও ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয় পাকিস্তান দল। ৩২ রান সংগ্রহসহ ১৮ উইকেট দখল করে কুমার সাঙ্গাকারা’র সাথে যৌথভাবে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১১ সাল থেকে তাঁর স্বর্ণালী সময়ের সূত্রপাত ঘটে। বলে পূর্ণাঙ্গ নিয়ন্ত্রণ লাভসহ বৈচিত্র্যতা প্রদর্শন, দুসরা প্রয়োগ এবং গতি ও বলকে শূন্যে ভাসানোর ন্যায় পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হন। অন্যান্য অফ-স্পিনারের ন্যায় দুসরা বোলিংকালে লক্ষ্যস্থল পরিবর্তন না করে একই লক্ষ্যস্থলে কিংবা অফ-সাইডের অল্প বাইরে রেখে বল ফেলে বলের বৈচিত্র্যতা আনয়ণে ব্যাটসম্যানকে আরও নাস্তানুবাদ করে ছাড়েন। আট টেস্টে ৫০ উইকেট পান ও শীর্ষ উইকেট শিকারীতে পরিণত হয়েছিলেন। তবে, ২০১২ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত সিরিজে সেরা সময় কাটে। তৎকালীন বিশ্বের সেরা দল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং স্তম্ভ তাঁর বিধ্বংসী বোলিংয়ের কবলে পড়ে। তিন খেলা থেকে ১৪.৭০ গড়ে ২৪ উইকেট দখল করেছিলেন। এ পর্যায়ে গ্রায়েম সোয়ানের সাথে তুলনান্তে সন্দেহাতীতভাবেই নিজেকে অফ-স্পিনার হিসেবে এগিয়ে রেখেছিলেন।

২০১৪ সালে মিসবাহ-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী দলের অন্যতম সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। ১৪ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ১/৭৭ ও ৩/৮৯ লাভ করেন। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ৪ ও ৩* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, রঙ্গনা হেরাথের অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০৫ রানে জয় পায় ও ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২৩ মার্চ, ২০১৫ তারিখে পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ রাষ্ট্রপতি মামনুন হোসেনের কাছ থেকে লাভ করেন।

১৩ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। ২৯ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে নিজস্ব সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন। জাতীয় টি২০ কাপের সেমি-ফাইনালে ফয়সালাবাদের সদস্যরূপে লাহোর হোয়াইটসের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। নিশা আজমল নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন।

Similar Posts

  • |

    খালিদ ওয়াজির

    ২৭ এপ্রিল, ১৯৩৬ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘদেহী ও মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন। আগ্রাসী ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডার হিসেবেও…

  • | |

    জনি ক্লে

    ১৮ মার্চ, ১৮৯৮ তারিখে ওয়েলসের বনভিলস্টন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। উইনচেস্টারে অধ্যয়ন করেছেন। চিপস্টো এলাকায় ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারের সন্তান ছিলেন। যুবক অবস্থায় ক্ষীপ্রগতিসম্পন্ন ফাস্ট বোলার ছিলেন। শুরুতে মাইনর কাউন্টি…

  • |

    সিড ও’লিন

    ৫ মে, ১৯২৭ তারিখে কেপ প্রভিন্সের অটশুর্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। এছাড়াও, বামহাতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ১৯৬০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। জন্মসনদে তাঁকে সিডনি ও’লিনস্কি নামে পরিচিতি ঘটানো হয়েছিল। ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম থেকে ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ…

  • |

    টিচ কর্নফোর্ড

    ২৫ ডিসেম্বর, ১৯০০ তারিখে সাসেক্সের হার্স্ট গ্রীন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। উইকেটের পিছনে অবস্থান সকল ধরনের বোলিং সামলাতেন। অন্তরঙ্গ বন্ধু এম. ডব্লিউ. টেটের ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং ও এ. ই. আর. জিলিগানের বল থেকে স্ট্যাম্পিং করে তাঁদেরকে অনেকগুলো উইকেট লাভে পরোক্ষ…

  • | |

    দোদ্দা গণেশ

    ৩০ জুন, ১৯৭৩ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও রাজনীতিবিদ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ১৯৯০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ঘরোয়া…

  • |

    অ্যাথল রোয়ান

    ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১ তারিখে ট্রান্সভালের কেনসিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা অফ-স্পিনারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। যুদ্ধকালীন তিনি পায়ে আঘাত পান। এরফলে, সামনের…