৩ জুলাই, ১৯৮৩ তারিখে গায়ানার অগল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালনে অগ্রসর হতেন। ২০০০-এর দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
ছোটখাটো গড়নের অধিকারী। পিতা রয় রামদাসের ন্যায় তিনিও এভারেস্ট ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ১১ বছর বয়সে ক্লাবে যোগ দেন। দারুণ কৃতিত্বের সুবাদে ৯ জানুয়ারি, ২০০৪ তারিখে মলিনাক্সে অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘বি’ দলের সদস্যরূপে কেনিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। এরপর, গায়ানার পক্ষে প্রথম খেলতে নেমে বার্বাডোসের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে দারুণ অর্ধ-শতক হাঁকান। জানুয়ারি, ২০০৫ সালে শতবছরের প্রলয়ঙ্করী বন্যায় তাঁর পারিবারিক পোল্ট্রি খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে, তাঁর খেলায় এর বিরূপ প্রভাবে পড়েনি। কেনসিংটন ওভালে বার্বাডোসের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ১৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করে দারুণ খেলেন। এরফলে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার জন্যে তাঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে ঠাঁই দেয়া হয়।
২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে ২০০৫-০৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে গায়ানার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে, খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকেই আঘাতের কবলে পড়েন। এছাড়াও, ছন্দহীনতার কারণে আশানুরূপ ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখতে পারেননি।
২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটিমাত্র টেস্ট ও সমসংখ্যক ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ঐ বছর শিবনারায়ণ চন্দরপলের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের সাথে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ২২ জুলাই, ২০০৫ তারিখে ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। মুত্তিয়া মুরালিধরন ও চামিণ্ডা ভাসের ন্যায় খেলোয়াড়দের বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে পারেননি। ৩ ও ২৩ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। কুমার সাঙ্গাকারা’র অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ২৪০ রানে জয় পেলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। একই সফরের ২ আগস্ট, ২০০৫ তারিখে ডাম্বুলায় ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। গায়ানার পক্ষে ২১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। এরপর, কাঁধের আঘাতের কারণ বাদ পড়েন। আগস্ট, ২০১৩ সালে টরন্টো ও ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এলিট ৫০-ওভার প্রতিযোগিতায় আইল্যান্ডার্স ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেন। দুই-দিনের টিএন্ডটি ক্রিকেট বোর্ড ন্যাশনাল ক্রিকেট লীগ প্রিমিয়ার ডিভিশনে ক্লার্ক রোডের পক্ষে অপরাজিত ১৮৩ রান তুলে এসমারালডাকে পরাজিত করতে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন।
