১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৪ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যাশফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে স্লো বোলিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় তাঁকে অবতীর্ণ হতে হতো। ১৮৮০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।
হোবার্টভিত্তিক হাচিন্স স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। বিদ্যালয় একাদশে ব্যাটসম্যান ও বোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। পরবর্তীতে, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে খেলেছেন। চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নকালীন এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় দলের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৯০২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে মেলবোর্ন জিঙ্গারির সদস্যরূপে রিচমন্ডের বিপক্ষে ১৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরপর, নিউ সাউথ ওয়েলসের সদস্যরূপে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে দুই খেলায় অংশ নেন। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ার সম্মিলিত একাদশ ও রাজ্য দলের সদস্যরূপে আলফ্রেড শ’য়ের নেতৃত্বাধীন দলের বিপক্ষে খেলেছেন। সম্মিলিত একাদশের খেলাটি মূলতঃ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ছিল। আর্থিক মতবিরোধের জের ধরে পুরো দল খেলতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি খেলার সুযোগ পান।
১৮৮৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৮৮০-এর দশকে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই মাত্র এক টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দশ বছরে ২৭ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ও দূর্ভাগ্যজনকভাবে ১৩জন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে একটিমাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে নিজ দেশে আর্থার শ্রিউসবারি’র নেতৃত্বাধীন দলের মুখোমুখি হন। ১ জানুয়ারি, ১৮৮৫ তারিখে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অ্যাফি জার্ভিস, আলফ্রেড মার, হ্যারি মাসগ্রোভ, জ্যাক ওরেল, জন ট্রাম্বল, স্যাম মরিস, উইলিয়াম ব্রুস ও ডিগার রবার্টসনের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ০ ও ৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। কোন বোলিং করেননি। সফরকারীরা ১০ উইকেটে জয় পেলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।
অস্ট্রেলিয়া দলের সাথে নিয়মিতভাবে ইংল্যান্ড সফরে যেতেন। তবে, তিনি খেলোয়াড় হিসেবে যুক্ত ছিলেন না। ক্রিকেটের বাইরে চিকিৎসা পেশায় মনোনিবেশ ঘটিয়েছিলেন। এডিনবরা থেকে এমডি ও এফআরসিএস লাভ করেন এবং চক্ষু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ১৮৮৭ সালে এমসিসি’র সদস্য হন।
২৭ জুলাই, ১৯৫২ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যানলি এলাকায় ৮৮ বছর ১৬০ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
