|

রড ল্যাথাম

১২ জুন, ১৯৬১ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখান। ১৯৯০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ক্যান্টারবারির পক্ষে খেলেছেন।

১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সময়কালে সব মিলিয়ে চারটিমাত্র টেস্ট ও ৩৩টি ওডিআইয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে নিজ দেশে গ্রাহাম গুচের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি একবার ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫ রান সংগ্রহসহ দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। অ্যালেক স্টুয়ার্টের অনবদ্য ব্যাটিংশৈলীর সুবাদে খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে স্বাগতিকরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

টেস্টগুলোয় ৩১.২৮ গড়ে ২১৯ রান পেয়েছেন। তন্মধ্যে, নভেম্বর, ১৯৯২ সালে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মার্টিন ক্রো’র নেতৃত্বাধীন কিউই দলের সদস্যরূপে জিম্বাবুয়ে সফরে যান। ১ নভেম্বর, ১৯৯২ তারিখে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত পূর্বতন সর্বোচ্চ ২৫ রান অতিক্রম করেন। এ পর্যায়ে টেস্টে প্রথমবারের মতো শতরানের ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। পাশাপাশি, ০/৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। স্মর্তব্য যে, জিম্বাবুয়ে-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে এটিই ক্রিকেটের ইতিহাসের উদ্বোধনী টেস্ট ছিল।

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে নিজ দেশে জাভেদ মিয়াঁদাদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানী  দলের মুখোমুখি হন। ২ জানুয়ারি, ১৯৯৩ তারিখে হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ২ ও ০ রানে বিদেয় নেন। ওয়াসিম আকরামের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৩৩ রানে পরাজিত হয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর থাকা সত্ত্বেও পরবর্তীতে আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। কার্যকরী বোলার হিসেবেও তাঁর সুনাম ছিল। বিশেষতঃ ওডিআইয়ে দারুণ বোলিং করেছিলেন। অজি দলের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ৫/৩২ লাভ করা সত্ত্বেও তাঁর দল পরাজয়বরণ করেছিল। তাঁর সন্তান টম ল্যাথাম নিউজিল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছে।

Similar Posts

  • |

    পিটার কার্স্টেন

    ১৪ মে, ১৯৫৫ তারিখে নাটালের পিটারমারিৎজবার্গে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ শীর্ষসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মাঝে-মধ্যে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। ১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন সরব রেখেছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বর্ডার ও ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং…

  • | | | | |

    ইন্তিখাব আলম

    ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৪১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ, প্রশাসক ও রেফারি। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৮২ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সরব ভূমিকা রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানী ক্রিকেটে করাচী, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, পাঞ্জাব,…

  • | |

    নিপ পেলিও

    ২১ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৩ তারিখে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার পোর্ট পিরি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতে পারতেন। ১৯২০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘নিপ’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছিলেন। অ্যাডিলেডভিত্তিক সেন্ট পিটার কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯১২ সালে ক্রিকেটে সেন্টস দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ফুটবলেও পর্যাপ্ত…

  • | | | |

    সোমাচন্দ্র ডি সিলভা

    ১১ জুন, ১৯৪২ তারিখে গল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার, কোচ ও প্রশাসক। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক গুগলি বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ‘ডি. এস.’ নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। সেরা অল-রাউন্ডারের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। ডানহাতে প্রকৃত মানসম্পন্ন লেগ-স্পিন ও ডানহাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাধর্মী ব্যাটিংয়ে লিপ্ত হতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের যাত্রা…

  • | |

    লিন্ডসে টাকেট

    ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। ১৯৪০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ফাস্ট বোলিং তারকার মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে নিজের সেরা সময়টুকু হারিয়ে ফেলেন। তাসত্ত্বেও,…

  • |

    আহমেদ শেহজাদ

    ২৩ নভেম্বর, ১৯৯১ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী। পাকিস্তানের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। প্রতিভা সর্বদাই সফলতার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তবে, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে আরও ঝালাই করে নিতে তৎপরতা দেখিয়েছেন। এক দশকের অধিক সময় পর পাকিস্তান দলে তাঁর ন্যায়…