|

রবিন স্মিথ

১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৩ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন।

‘জাজ’ ডাকনামে ভূষিত হয়েছেন। সহোদর ক্রিস স্মিথ ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরু থেকেই তাঁর মাঝে বেশ প্রতিশ্রুতিশীলতা লক্ষ্য করা যায়। নিজের সময়কালে শীর্ষসারির অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। বেশ মারকুটে ভঙ্গীমায় ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন।

ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯৮০-৮১ মৌসুম থেকে ২০০৩ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন।

১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে সব মিলিয়ে ৬২ টেস্ট ও ৭১টি ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। অংশগ্রহণকৃত টেস্ট থেকে পর্যাপ্ত সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তন্মধ্যে, শক্তিধর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও নিজেকে যথেষ্ট মেলে ধরেছিলেন। টেস্টগুলো থেকে ৪৩.৬৭ গড়ে ৪২৩৬ রান ও ওডিআই থেকে ৩৯.০১ গড়ে ২৪১৯ রান তুলেছিলেন। ১৯৮৮ সালে নিজ দেশে ভিভ রিচার্ডসের নেতৃত্বাধীন শক্তিধর ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ২১ জুলাই, ১৯৮৮ তারিখে লিডসে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। টিম কার্টিসের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ৩৮ ও ১১ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, কার্টলি অ্যামব্রোসের বোলিংয়ের কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে পরাভূত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৯০ সালে নিজ দেশে ভারতের মুখোমুখি হন। তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১৮০.৫০ গড়ে ৩৬১ রান তুলে ব্যক্তিগত সফলতার ছাঁপ রাখেন। এ ধরনের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করা স্বত্ত্বেও গ্রাহাম গুচ, মাইকেল অ্যাথার্টনঅ্যালান ল্যাম্বের পর সিরিজে ইংল্যান্ডের শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে অবস্থান করেছিলেন। তন্মধ্যে, লর্ডস টেস্টে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এ শতকটি লর্ডসে তাঁর দুইটি শতরানের প্রথম ছিল ও ঐ সময়ে তাঁর তৃতীয় শতক ছিল। তিন অঙ্কের রান সংগ্রহের কারণে লর্ডস অনার্স বোর্ডে নিজেকে ঠাঁই করে নেন। ১৫৫ বল থেকে এ রান তুলেন। তাঁর এ ইনিংসে চৌদ্দটি চারের মার ছিল। এ পর্যায়ে গ্রাহাম গুচের সাথে ১৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন। শতরানের ইনিংস স্পর্শের পর অধিনায়ক গ্রাহাম গুচ ইনিংস ঘোষণা করেন ও দল ২৪৭ রান জয় তুলে নেয়। ওল্ড ট্রাফোর্ডের পরের টেস্টেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন। ঐ টেস্টে ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।

১৯৯১-৯২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে গ্রাহাম গুচের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের অন্যতম সদস্যরূপে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ১৮ জানুয়ারি, ১৯৯২ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৯৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, চারটি ক্যাচ তালুবন্দীকরণে অগ্রসর হন। তবে, ফিল টাফনেলের অসাধারণ বোলিং সাফল্যে ঐ টেস্টে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৪ রানে পরাজয়বরণ করলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে পিছিয়ে পড়ে।

১৯৯২-৯৩ মৌসুমে অ্যালেক স্টুয়ার্টের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমনে যান। ১৩ মার্চ, ১৯৯৩ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। প্রথম ইনিংসে ১২৮ রান সংগ্রহ করেন। এ পর্যায়ে অধিনায়কের সাথে চতুর্থ উইকেটে ১২২ রানের জুটি দাঁড় করান। এছাড়াও, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। তবে, ঐ টেস্টে স্বাগতিক দল হাসান তিলকরত্নে’র অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৫ উইকেটে বিজয়ী হয়।

১৯৯৩ সালে এজবাস্টনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআইয়ে দূর্দান্ত খেলেন। ১৬৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন ও ওডিআইয়ে অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে পরিগণিত হয়। পরবর্তীতে, অ্যালেক্স হেলস পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭১ রান তুলে সর্বোচ্চ রানের ২৬ বছর টিকে থাকা ইংরেজ রেকর্ডটি নিজের করে নেন।

১৯৯৫ সালে নিজ দেশে রিচি রিচার্ডসনের নেতৃত্বাধীন ক্যারিবীয় দলের মুখোমুখি হন। ২৭ জুলাই, ১৯৯৫ তারিখে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৪৪ ও ১* রান সংগ্রহ করেছিলেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টের চতুর্থ দিন ইয়ান বিশপের বলে গণ্ডদেশে আঘাত হানে। এরফলে, দলের সংগ্রহ ৪৭/৩ থাকা অবস্থায় মাঠ ত্যাগ করেছিলেন। ডোমিনিক কর্কের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে জয় পেলে ছয়-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে সমতা চলে আসে।

১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে মাইক অ্যাথার্টনের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ১৬ নভেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। প্রথম ইনিংসে ১৮ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ৪০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলার একমাত্র ইনিংসে তিনি ৪৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। বৃষ্টিবিঘ্নিত ও মন্দালোকের কবলে পড়া খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে।

একই সফরের ২ জানুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে কেপটাউনে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৬৬ ও ১৩ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে পল অ্যাডামসের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ মুঠোয় পুড়েন। তবে, অ্যালান ডোনাল্ডের বোলিং দাপটে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। পরবর্তীতে তা বিবাহ-বিচ্ছেদে রূপ নেয়। এ দম্পতির হ্যারিসন নামীয় সন্তান রয়েছে। কারিন নাম্নী এক রমণীর সাথে একত্রে বসবাস করছেন। এছাড়াও, অবসর গ্রহণের পর নৈশভোজন পরবর্তী বক্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। রব স্মিথকে সাথে নিয়ে ‘দ্য জাজ’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ২০২০ সালে গ্রন্থটি হার্টাচেস বর্ষসেরা ক্রিকেট গ্রন্থ হিসেবে টেলিগ্রাফের স্পোর্টস বুক অ্যাওয়ার্ডস লাভ করে।

১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে ৬২ বছর ৭৯ দিন বয়সে পার্থে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

Similar Posts

  • | | |

    কেন ক্রান্সটন

    ২০ অক্টোবর, ১৯১৭ তারিখে ল্যাঙ্কাশায়ারের এইগবার্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটানোর পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৪০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদেহের অধিকারী। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। প্রথম মৌসুমেই…

  • | | |

    অ্যান্ডি রবার্টস

    ২৯ জানুয়ারি, ১৯৫১ তারিখে অ্যান্টিগুয়ার আর্লিংস ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিং করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। সচরাচর তাঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আধুনিক ফাস্ট বোলিংয়ের জনক হিসেবে পরিচিতি ঘটানো হয়ে থাকে। ছন্দোবদ্ধ দীর্ঘ দূরত্ব নিয়ে বোলিং কর্মে…

  • |

    শার্ল উইলোবি

    ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে কেপ প্রভিন্সের কেপটাউনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ২০০০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ওয়েনবার্গ বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন শেষে স্টেলেনবশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেন। সেন্ট জেমস প্লেস ওয়েলথ ম্যানেজম্যান্ট একাডেমি থেকে স্নাতক লাভ করেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম থেকে…

  • | | |

    জিওফ হাওয়ার্থ

    ২৯ মার্চ, ১৯৫১ তারিখে অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর অপর ভ্রাতা হ্যাডলি হাওয়ার্থ নিউজিল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সরব ভূমিকা রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে…

  • | | | |

    ইয়ান বোথাম

    ২৪ নভেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে চেশায়ারের ওল্ডফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার, প্রশাসক ও ধারাভাষ্যকার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ও ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী ইয়ান বোথাম ‘বিফি’, ‘বোথ’ কিংবা ‘গাই’…

  • |

    বিল প্লেল

    ১ ডিসেম্বর, ১৯৩৮ তারিখে মানাওয়াতুর পালমারস্টোন নর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে অকল্যান্ড…