২ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ তারিখে ওয়াইকাতোর হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও প্রশাসক। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ২০০০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

সহোদর ও নিউজিল্যান্ডীয় টেস্ট স্পিনার ম্যাথু হার্টের চেয়ে দুই বছরের ছোট তিনি। ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

২০০২ থেকে ২০০৩ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বমোট ১১ টেস্ট ও দুইটিমাত্র ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অনেকটা দেরীতে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন। ২০০১-০২ মৌসুমে অ্যাডাম প্যারোরের অবসর গ্রহণের কারণে শূন্যতা পূরণে টেস্ট দলের উইকেট-রক্ষক হিসেবে নিউজিল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত হন।

স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের অধিনায়কত্বে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে ২০০১-০২ মৌসুমে পাকিস্তান সফর করেন। ১ মে, ২০০২ তারিখে লাহোরে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের প্রথমটিতে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। স্বাগতিক দল ইনিংস ও ৩২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায়। খেলায় তিনি ৪ ও ০ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, একটি ক্যাচ ও একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, ইনজামাম-উল-হকের অসাধারণ ত্রি-শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩২৪ রানে জয়লাভ করে।

এর অল্প কিছুদিন পূর্বে ২১ এপ্রিল, ২০০২ তারিখে করাচীতে একই দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের সূত্রপাত ঘটান।

এছাড়াও, বার্বাডোস টেস্টে কিছু অসাধারণ ব্যাটিং করেন ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে নিউজিল্যান্ডের প্রথম টেস্ট বিজয়ে অংশ নেন। এরপর, দ্বিতীয় টেস্টে রক্ষণাত্মক ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনায় নিউজিল্যান্ড দল প্রথমবারের মতো ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে সিরিজ জয়ে সক্ষম হয়।

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে কিছু ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করতে ব্যর্থ হন। তাসত্ত্বেও, ঐ সিরিজে সব মিলিয়ে ছয়টি ডিসমিসাল ঘটিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে ১১ টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পান।

২০০৩-০৪ মৌসুমে নিজ দেশে ইনজামাম-উল-হকের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দলের মুখোমুখি হন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৩ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তিনি ১৯ ও ০ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে শোয়েব আখতারের শিকারে পরিণত হন। পাশাপাশি, চারটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। শোয়েব আখতারের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যের কল্যাণে খেলায় তাঁর দল সাত উইকেটে পরাভূত হলে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে খোঁয়ায়। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।

১০ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ২১ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। পূর্ববর্তী সভাপতি ও আইসিসি’র সহঃসভাপতি অ্যালান আইজ্যাকের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।

Similar Posts

  • |

    মোহাম্মদ রফিক

    ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০ তারিখে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। বামহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে অপূর্ব দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। নিখুঁতভাব বজায় রেখে ছন্দোবদ্ধ ধীরগতিসম্পন্ন বামহাতি বোলার ছিলেন। ‘মো’ ডাকনামে পরিচিতি পান। ২০০০-০১ মৌসুম থেকে ২০০৮ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী…

  • | | |

    গ্রাহাম ডাউলিং

    ৪ মার্চ, ১৯৩৭ তারিখে ক্যান্টারবারির ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও রেফারি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটের অনেক তারকা ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে কোনরূপ ব্যতিক্রম ছাড়াই নিজের সেরা খেলা উপহারে সচেষ্ট ছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে পুরোটা সময় জুড়েই দেশের পক্ষে ইনিংসে উদ্বোধনে…

  • | | |

    স্যামি উডস

    ১৩  এপ্রিল, ১৮৬৭ তারিখে নিউ সাউথ ওয়েলসের অ্যাশফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ছিলেন। দলে মূলতঃ বোলার হিসেবে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড – উভয় দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ১৮৮৩ সালে ১৪ বছর বয়সে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে চলে আসেন। শিক্ষা গ্রহণের পর আর তিনি দেশে ফিরে যাননি।…

  • | |

    অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা

    ৬ অক্টোবর, ১৯৭৫ তারিখে ইয়র্কশায়ারের ব্রাডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। ২০০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। ‘গ্রীপার’ ডাকনামে ভূষিত অ্যান্থনি ম্যাকগ্রা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী। ইয়র্কশায়ার মার্টিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। জিসিএসই নবম গ্রেড বিটিইসি ন্যাট ডিপ লেজার স্টাডিজে…

  • | | | |

    গ্লেন টার্নার

    ২৬ মে, ১৯৪৭ তারিখে ওতাগোর ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার, প্রশাসক ও কোচ। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সঠিকমানের ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে সীমিত পর্যায়ে আক্রমণাত্মক শট খেললে প্রায়শঃই সমালোচিত হতেন। পরবর্তীতে দলের প্রয়োজনে…

  • | |

    মহিন্দার অমরনাথ

    ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ তারিখে পাঞ্জাবের পাতিয়ালায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। খেলায় অল-রাউন্ডার হিসেবে ভূমিকা রাখতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। প্রায়শঃই সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচিত হতেন; আবার খুব সহজেই সবচেয়ে বাজে ব্যাটসম্যানেরও তকমা পেয়েছেন। দলের সঙ্কটকালে ব্যাট হাতে প্রতিরক্ষা ব্যূহ গড়ে তুলতেন। পাশাপাশি…