| |

ঋষভ পন্ত

৪ অক্টোবর, ১৯৯৭ তারিখে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিংয়ে দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি, দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

কিশোর অবস্থাতেই তাঁর মাঝে প্রতিভা বিরাজমান। সর্বদাই উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেট খেলার দিকে নজর রাখতেন। ২০১৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে খ্যাতির শিখরে আরোহণ করেন। নেপালের বিপক্ষে অর্ধ-শতকের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। মাত্র ২৪ বলে ৭৫ রান তুলেন। এরপরপরই নামিবিয়ার বিপক্ষে শতক হাঁকান। তবে, চূড়ান্ত খেলায় দল শিরোপার লড়াইয়ে হেরে যায়।

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট স্কুল অব ক্রিকেটোলোজি থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দৃষ্টিনন্দন বামহাতি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলের উইকেট-রক্ষণেও নিপুণতার ছাঁপ রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিড-অন ও স্কয়ার লেগ অঞ্চলে বলকে ঠেলে দিয়ে রান সংগ্রহে তৎপরতা দেখান। এছাড়াও, অফ-সাইডেও খেলার দক্ষতা রয়েছে তাঁর। ২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি ও উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, দিল্লি ক্যাপিটালসের পক্ষে খেলেছেন। ২২ অক্টোবর, ২০১৫ তারিখে দিল্লিতে বাংলা বনাম দিল্লির মধ্যকার খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।

অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলে নেপালের বিপক্ষে তাঁর বীরোচিত ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ অল্প কয়েকদিন পরই ২০১৬ সালের ইন্ডিয়ান টি২০ লীগে বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দিল্লি দলের সাথে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। কয়েকটি ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে স্বীয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দিল্লি দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। ঐ মৌসুম শেষে দলের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত হবার পাশাপাশি একদিনের খেলায়ও এ দায়িত্ব পান।

সীমিত-ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের উপস্থিতি জানান দিলেও ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে দিল্লি দলকে চারদিনের খেলায় অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেও বিরাট ভূমিকা রাখেন। ২০১৬-১৭ মৌসুমে মাত্র ৪৮ বলে শতরান করে ইতিহাস গড়েন। এছাড়াও, অন্যতম সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ত্রি-শতক হাঁকানোর গৌরব অর্জন করেন। ঐ মৌসুমে শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রহকারীদের অন্যতম হন ও ১০৭ স্ট্রাইক রেটে ধারাবাহিকভাবে রান পেয়েছেন। ২০১৮ সালের ইন্ডিয়ান টি২০ লীগে দিল্লির পক্ষে ব্যাটিংয়ে দারুণ সফলতা লাভের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী তাঁকে ভারতের ক্ষুদ্রতর সংস্করণের খেলায় অন্তর্ভূক্ত করে।

২০১৭ সাল থেকে ভারতের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হন। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ তারিখে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ আন্তর্জতিক খেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নেন। ২০১৭ সালে নিদাহাস ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ভারতের টি২০আই দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তিনি তেমন সফলতা পাননি।

তাসত্ত্বেও, ২০১৮ সালে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে ইংল্যান্ড সফরের সুযোগ পান। সেখানেই ২২ আগস্ট, ২০১৮ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ২৪ ও ১ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, সাতটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। তবে, দলনায়কের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে খেলায় সফরকারীরা ২০৩ রানে জয় পেলেও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ পিছিয়ে পড়ে।

ঐ টেস্টে অংশ নিয়ে দল নির্বাচকমণ্ডলীর আস্থা অর্জনে সচেষ্ট হন। উইকেট-রক্ষণে তাঁর দৃঢ়তা রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে এমএস ধোনি’র অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণার পর নিজেকে যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।

২০১৯-২০ মৌসুমে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১৯ ও ২৫ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, চারটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। তবে, টিম সাউদি’র অসাধারণ বোলিংশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১০ উইকেটে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

২০২০-২১ মৌসুমে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। খেলায় তিনি ২৩ ও ৮৯* রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, চারটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কারণে সফরকারীরা ৩ উইকেটে জয়লাভ করে ও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ করায়ত্ত্ব করে নেয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই মৌসুমে নিজ দেশে জো রুটের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ৪ মার্চ, ২০২১ তারিখে আহমেদাবাদে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। ১০১ রান সংগ্রহ করেন। খেলায় স্বাগতিকরা ইনিংস ও ২৫ রানে জয় পেয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে। তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০২১-২২ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৮ ও ২৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে সাতটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেছিলেন। কেএল রাহুলের দূর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে সফরকারীরা ১১৩ রানে পরাভূত হলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই মৌসুমে নিজ দেশে ডিমুথ করুণারত্নে’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ১২ মার্চ, ২০২২ তারিখে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৩৯ ও ৫০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুইটি ক্যাচ ও তিনটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, শ্রেয়াস আয়ারের অসামান্য ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে ঐ টেস্টে তাঁর দল ২৩৮ রানে জয়লাভ করে ও ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়। এ সিরিজে অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন। ১৮৫ রান সংগ্রহ করে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ পুরস্কার লাভ করেন।

২০২২-২৩ মৌসুমে কেএল রাহুলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে বাংলাদেশ সফরে যান। ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ৯৩ ও ৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, পাঁচটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন। তবে, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অসামান্য অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা তিন উইকেটে জয় পায় ও দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজ দেশে টম ল্যাথামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ তারিখে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রানে পৌঁছানোকালে টেস্টে ২৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ২০ ও ৯৯ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, রচিন রবীন্দ্রের অসাধারণ ব্যাটিংশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ৮ উইকেটে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।

একই সফরের ১ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে ওয়াংখেড়েতে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে ৬০ ও ৬৪ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সাথে নিজেকে জড়ান। তবে, এজাজ প্যাটেলের স্মরণীয় বোলিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা মাত্র ২৫ রানে জয়লাভ করলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

২০২৫-২৬ মৌসুমে নিজ দেশে তেম্বা বাভুমা’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ২২ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে গুয়াহাটিতে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। অধিনায়কের দায়িত্বে থেকে খেলায় তিনি ৭ ও ১৩ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও, উইকেটের পিছনে অবস্থান করে একটি স্ট্যাম্পিং ও দুইটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দীকরণে অগ্রসর হন। তবে, মার্কো জানসেনের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাভূত হলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।

Similar Posts

  • |

    প্রকাশ ভাণ্ডারী

    ২৭ নভেম্বর, ১৯৩৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরে তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতার একটি খেলায় দ্বি-শতকসহ নয় উইকেট দখল করেছিলেন। অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে ভাস্বর ছিল তাঁর জীবন। সর্বদাই…

  • |

    ক্রিস এমপফু

    ২৭ নভেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে মাতাবেলেল্যান্ডের প্লামট্রি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ২০০৩-০৪ মৌসুম থেকে ২০২০-২১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড, মাতাবেলেল্যান্ড, মাতাবেলেল্যান্ড তুস্কার্স ও ওয়েস্টার্নসের…

  • | |

    ল্যান্স ক্লুজনার

    ৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ তারিখে নাটালের ডারবানে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা পালন করেছিলেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। জুলু ও খোসা ভাষায় সহজাত দক্ষতা থাকায় তিনি ‘জুলু’ ডাকনামে ভূষিত হন। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন…

  • | |

    জিম পার্কস, ১৯৩১

    ২১ অক্টোবর, ১৯৩১ তারিখে সাসেক্সের হেওয়ার্ডস হিদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। উইকেট-রক্ষণের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং ও লেগ-ব্রেক বোলিং করতে পারতেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পাঁচ বছর বয়সে ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আসক্তি গড়ে উঠে। ক্রিকেটপ্রিয় পরিবারে সর্বাপেক্ষা সদস্যের মর্যাদা পান। তাঁর পরিবারের সাথে সাসেক্সের সম্পর্ক ১৯২৪…

  • | |

    জাস্টিন ল্যাঙ্গার

    ২১ নভেম্বর, ১৯৭০ তারিখে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্থে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালনসহ থার্ড স্লিপ অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ‘জেএল’ কিংবা ‘অ্যাল্ফি’ ডাকনামে ভূষিত জাস্টিন ল্যাঙ্গার ১.৭৮ মিটার উচ্চতার অধিকারী। ১৯৮৯-৯০…

  • | |

    লেস অ্যামিস

    ৩ ডিসেম্বর, ১৯০৫ তারিখে কেন্টের এলহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও প্রশাসক ছিলেন। দলে মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যানের দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি, লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। সন্দেহাতীতভাবে ও খুব সহজেই বিংশ শতাব্দীতে ক্রিকেটের সেরা উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যানের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছেন। খেলাকালীন তাঁর চেয়েও দক্ষ উইকেট-রক্ষক থাকলেও কেবলমাত্র ব্যাটিংয়ের কল্যাণে ১৯৩০-এর দশকে…