| |

রেগ সিনফিল্ড

২৪ ডিসেম্বর, ১৯০০ তারিখে হার্টফোর্ডশায়ারের বেনিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে স্লো বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। ১৯৩০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

হার্টফোর্ডশায়ারের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। এ পর্যায়ে মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে নিয়মিতভাবে রান সংগ্রহকারী সি. এইচ. টিচমার্শের ব্যাটিংশৈলী থেকে অনেককিছু শিখেন। ১৯২১ সালে লর্ডসে মাঠকর্মী হিসেবে যোগ দেন।

পুরনো ধাঁচের পেশাদারী খেলোয়াড় ছিলেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২১ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলেন। তবে, প্রথম তিন খেলায় অংশ নিয়ে বিভীষিকাময় সময় পাড় করেছিলেন। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে ছয় ইনিংস থেকে মাত্র ৩ রান তুলেছিলেন। তন্মধ্য, জোড়া শূন্য পেয়েছেন।

১৯২৪ থেকে ১৯৩৯ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। শুরুটা তথৈবাচৈ হলেও নিজেকে সামলে নেন ও এক পর্যায়ে দলের নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত হন। যে-কোন অধিনায়কের অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে কার্যতঃ তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। ব্যাটিং উদ্বোধনে নামতেন। নিয়মিতভাবে প্রত্যেক মৌসুমেই সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তন্মধ্যে, ১৯৩৪ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রথম পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট লাভের ন্যায় ‘ডাবল’ লাভের অধিকারী হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষিত হলেও পরম নিষ্ঠার সাথে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন পাড় করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে চেল্টেনহামে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশকে পরাজিতকালে তিনি ১৩১ রান ও ৮/৭২ পেয়েছিলেন। কার্ডিফে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। সব মিলিয়ে ৪৩০টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১৬টি শতরানের ইনিংস খেলেছেন। ২৬.৫৯ গড়ে ১৫৬৭৪ রান ও ২৪.৪৯ গড়ে ১১৭৩ উইকেট দখল করেছেন। ব্যক্তিগত সেরা ৯/১১১ লাভ করেছেন। নয়বার খেলায় দশ উইকেট পেয়েছেন। ৬৬বার পাঁচ-উইকেট পেয়েছেন। এছাড়াও, ১৭৮টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন।

১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। ঐ বছর নিজ দেশে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ১০ জুন, ১৯৩৮ তারিখে নটিংহামে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। ডগ রাইট ও বিল এডরিচের সাথে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি দলের একমাত্র ইনিংসে ৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ১/৫১ ও ১/৭২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ালে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজটি অমিমাংসিত অবস্থায় অগ্রসর হতে থাকে। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচিংয়ের দিকে ধাবিত হন। ১৭ মার্চ, ১৯৮৮ তারিখে ব্রিস্টলের হ্যাম গ্রীন এলাকায় ৮৭ বছর ৮৪ দিন বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকালীন তিনি ইংল্যান্ডের বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। পরবর্তীতে, আর. ই. এস. ওয়েস্ট এ সম্মাননাপ্রাপ্ত হন।

Similar Posts

  • | |

    নিরোদ চৌধুরী

    ১৪ মে, ১৯২৩ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বিহারের জামশেদপুরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। শৈশবকাল থেকেই সর্বক্রীড়ায় তাঁর প্রতিশ্রুতিশীলতা লক্ষ্য করা যায়। ক্রিকেট, ফুটবল ও উচ্চ লম্ফে বেশ দক্ষ ছিলেন। মোহনবাগানের পক্ষে ফুটবল খেলায়…

  • | |

    সাকলাইন মুশতাক

    ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৬ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শনে অগ্রসর হতেন। পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। বিশ্বের সেরা স্পিনারদের অন্যতম ছিলেন। স্পিনের উপর তাঁর অসম্ভব নিয়ন্ত্রণ ছিল। দুসরার জন্যে সবিশেষ পরিচিতি লাভ করেন। ব্যাটসম্যানের কাছে…

  • | |

    সৈয়দ আবিদ আলী

    ৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪১ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। মূলতঃ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। পাশাপাশি অসাধারণ ফিল্ডিং করতেন ও নিচেরসারিতে ব্যস্ততার সাথে উইকেটের প্রান্ত বদলে অগ্রসর হতেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। পিঠ সোজা রেখে, খাড়া গোঁফ নিয়ে সুনিয়ন্ত্রিত…

  • |

    শেন থমসন

    ২৭ জানুয়ারি, ১৯৬৯ তারিখে ওয়াইকাটোর হ্যামিল্টনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। এছাড়াও, ডানহাতে স্লো মিডিয়াম কিংবা ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৯০-এর দশকে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছিলেন। প্রকৃত মানসম্পন্ন অল-রাউন্ডার হিসেবে ক্রিকেট জগতে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও একই ধারা প্রবাহমান রাখতে সমর্থ হন। কিন্তু, দীর্ঘ…

  • |

    তাসকিন আহমেদ

    ৩ এপ্রিল, ১৯৯৫ তারিখে ঢাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দীর্ঘকায় গড়নের অধিকারী। কিশোর অবস্থাতেই সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন মূলতঃ পেসের কারণে। এক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করে…

  • |

    অ্যাথল রোয়ান

    ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯২১ তারিখে ট্রান্সভালের কেনসিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকর ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা অফ-স্পিনারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। যুদ্ধকালীন তিনি পায়ে আঘাত পান। এরফলে, সামনের…