Skip to content

৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে সৌরাষ্ট্রের নবগ্রাম-খেড় এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। বামহাতে ব্যাটিং করেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিংয়ে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। অনিরুদ্ধসিং ও লতা জাদেজা দম্পতির সন্তান। খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁর মাঝে বিশাল প্রতিভা ধরা পড়ে। কয়েক বছর পর ভারতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে তাঁর প্রতিভা দৃষ্টিগোচরীভূত হয় ও বিশাল সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নেয়। ২০০৬ সাল থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরাষ্ট্র ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, চেন্নাই সুপার কিংস, গুজরাত লায়ন্স, কোচি তুস্কার্স কেরালা ও রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে খেলেছেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের প্রথম খেলাতেই পশ্চিমাঞ্চলের সদস্যরূপে ৫৩ রান তুলেন। কালক্রমে ২০০৬ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের সদস্য হন ও দলকে চূড়ান্ত খেলায় নিয়ে যান। ২০০৮ সালের প্রতিযোগিতায়ও বেশ ভালোমানের বোলিং করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২/২৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে ভারতের শিরোপা বিজয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।

ইন্ডিয়ান টি২০ লীগে রাজস্থান দলে খেলেন। দলীয় অধিনায়ক শেন ওয়ার্নের কাছ থেকে ‘রকস্টার’ ডাকনামে ভূষিত হন ও ২০০৮-০৯ মৌসুমে দারুণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী উপহার দেন। ফলশ্রুতিতে, ভারত দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা লাভ করেন।

২০০৯ সাল থেকে ভারতের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। টেস্টের ঊনিশজন শীর্ষ অল-রাউন্ডারের অন্যতম হিসেবে ২০০ উইকেট ও ৩০০০ রানের ন্যায় ‘ডাবল’ লাভের অধিকারী। ২০০৮-০৯ মৌসুমে দলের সাথে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে কলম্বোর আরপিএসে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ঐ খেলায় ভারত দল পরাজিত হলেও তিনি ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। ঐকই সফরের ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে একই মাঠে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত টি২০আইয়ে অংশ নেন।

২০১২ সালে স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। পূর্বতন শিরোপাধারী দল চেন্নাইয়ের পক্ষে ₹৯.৭২ কোটি রূপীর বিনিময়ে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। ঐ মৌসুমে তিনিই সর্বাধিক দামী খেলোয়াড় ছিলেন। প্রথম ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনটি ত্রি-শতক হাঁকিয়ে সংবাদ শিরোনামে চলে আসেন ও রেকর্ড বহিতে ঠাঁই করে নেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতোমধ্যে সিরিজে পরাজিত হবার পর ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ২০১২-১৩ মৌসুমে নিজ দেশে অ্যালাস্টেয়ার কুকের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১৩ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখে নাগপুরে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্টে তাঁকে খেলানো হয়। ২/৫৮ ও ১/৫৯ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও সফরকারীরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে নেয়।

এরপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৩ সালে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। ২০১২-১৩ মৌসুমে নিজ দেশে শেন ওয়াটসনের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। ২২ মার্চ, ২০১৩ তারিখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে ধ্বস নামান। ২/৪০ ও ৫/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে ৪৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসামান্য অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে ৬ উইকেটে জয় পায় ও ভারতের ৪-০ ব্যবধানের টেস্ট সিরিজ জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন।

২০১৩-১৪ মৌসুমে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে এমএস ধোনি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে ডারবানে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সাফল্যের সন্ধান পান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে এম মরকেলকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ৫/৫৮। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৬/১৩৮ ও ০/১৬ লাভ করেন। এছাড়াও, ০ ও ৮ রান সংগ্রহ করেন। ডেল স্টেইনের অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কল্যাণে স্বাগতিকরা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে জয় পায়।

আইসিসি বোলারদের তালিকায় চলে আসার পাশাপাশি ওডিআইয়েও র‍্যাঙ্কিংয়ে ছিলেন। এ পর্যায়ে সাঈদ আজমল ও সুনীল নারাইনের ন্যায় বিশ্বমানের স্পিনারদেরকে পিছনে নিয়ে যান। ধারাবাহিক পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের জোড়ে ‘স্যার’ নামে সচরাচর পরিচিত পান ও ভারতীয় দলের সকল স্তরের ক্রিকেটে নবযাত্রায় অংশ নেন।

২০১৫-১৬ মৌসুমে নিজ দেশে হাশিম আমলা’র নেতৃত্বাধীন স্প্রিংবকের মুখোমুখি হন। ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ তারিখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ঘটনাবহুল এ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে উপর্যুপরী ১৭ ওভার মেইডেন দেন। ১০৮ বল থেকে কোন রান দেননি। খেলায় তিনি ৫/৩০ ও ২/২৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, একবার ব্যাট হাতে নিয়ে ২৪ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। অজিঙ্কা রাহানে’র জোড়া শতকের বদৌলতে স্বাগতিকরা ৩৩৭ রানে জয়লাভ করলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

২০১৬-১৭ মৌসুমে নিজ দেশে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে দূর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে কানপুরে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে অংশ নেন। কয়েকটি ব্যক্তিগত সাফল্যের সাথে নিজেকে জড়ান। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিপক্ষীয় অধিনায়কের তৃতীয় উইকেট লাভের মাধ্যমে টেস্টে ২০০ উইকেট লাভের মাইলফলক স্পর্শ করেন। খেলায় তিনি ৫/৭৩ ও ১/৫৮ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে ৫ রানে পৌঁছানোকালে ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ৪২* ও ৫০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিকরা ১৯৭ রানে জয় পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

এরপর, নিজ দেশে অ্যালাস্টেয়ার কুকের নেতৃত্বাধীন সফরকারী ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হন। ২৬ নভেম্বর, ২০১৬ তারিখে মোহালীতে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব ক্রীড়াশৈলীর স্বাক্ষর রাখেন। ৯০ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ২/৫৯ ও ২/৬২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করা। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যের কারণে স্বাগতিকরা ৮ উইকেটে জয়লাভ করেছিল ও পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

একই মৌসুমে নিজ দেশে স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বাধীন অজি দলের মুখোমুখি হন। পুরো সিরিজে অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। ২৫ মার্চ, ২০১৭ তারিখে ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত সফররত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ১/৫৭ ও ৩/২৪ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করানোসহ ব্যাট হাতে ৬৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে স্বাগতিক দল ৮ উইকেটে জয়লাভ করে ও চার-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। এছাড়াও, ১২৭ রান সংগ্রহসহ ২৫ উইকেট দখল করে ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৭ সালে নিজ দেশে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ পুরস্কারে ভূষিত হন। দলীয় সঙ্গী রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে সাথে নিয়ে আইসিসি টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর বোলারে পরিণত হন।

একই বছর বিরাট কোহলি’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ৩ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে কলম্বোর এসএসসিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব ক্রীড়া নৈপুণ্যের স্বাক্ষর রাখেন। দলের একমাত্র ইনিংসে ৭০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, ২/৮৪ ও ৫/১৫২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলীর কল্যাণে সফরকারীরা ইনিংস ও ৫৩ রানে জয়ে পেলে তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০১৫ সালের পর দুই বছরের জন্যে চেন্নাই দলের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হলে তিনি গুজরাতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৮ সালে চেন্নাই দল পুণরায় আইপিএলে ফিরে আসলে তিনজন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে দলটিতে পুণরায় ফিরে আসেন। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দুই খেলায় অংশ নেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে পরাজিত হওয়া খেলায় তিনি ভারতের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন।

২০২১-২২ মৌসুমে নিজ দেশে ডিমুথ করুণারত্নে’র নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কান দলের মুখোমুখি হন। ৪ মার্চ, ২০২২ তারিখে মোহালীতে অনুষ্ঠিত সফররত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে একমাত্র ইনিংসে ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, ৫/৪১ ও ৪/৪৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান তাঁর অসাধারণ অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ও ২২২ রানে জয় পেয়ে স্বাগতিক দল দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

২০২৩-২৪ মৌসুমে নিজ দেশে বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের মুখোমুখি হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে রাজকোটে অনুষ্ঠিত সফররত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অংশ নেন। অপূর্ব অল-রাউন্ড ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ১১২ রানের মনোরম শতক হাঁকান। এছাড়াও, বল হাতে নিয়ে ২/৫১ ও ৫/৪১ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর অসাধারণ ক্রীড়া নৈপুণ্যে তাঁর দল ৪৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।

২০২৪-২৫ মৌসুমে নিজ দেশে টম ল্যাথামের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে ওয়াংখেড়েতে অনুষ্ঠিত সফররত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ৫/৬৫ ও ৫/৫৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে ১৪ ও ৬ রান সংগ্রহ করেন। তবে, এজাজ প্যাটেলের স্মরণীয় বোলিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা মাত্র ২৫ রানে জয়লাভ করলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে বিজয়ী হয়।

২০২৫ সালে শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ৩১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যাট হাতে নিয়ে ৯ ও ৫৩ রান সংগ্রহ করে উভয় ইনিংসে জস টংয়ের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। পাশাপাশি, একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। এছাড়াও, খেলায় তিনি ০/১১ ও ০/২২ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তবে, মোহাম্মদ সিরাজের অপূর্ব বোলিং কৃতিত্বের কারণে স্বাগতিকরা নাটকীয়ভাবে ৬ রানে পরাভূত হলে সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে শেষ হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। ১৭ এপ্রিল, ২০১৬ তারিখে রিভা সোলাঙ্কী নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। জুন, ২০১৭ সালে এ দম্পতির কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।