১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে থাকেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন।
২০১৫-১৬ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটকের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এছাড়াও, বেলারি তুস্কার্স, ভারত ‘এ’, কলকাতা নাইট রাইডার্স, মাইসুরু ওয়ারিয়র্স ও রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে খেলেছেন। ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে মহীশূরে অনুষ্ঠিত কর্ণাটকের সদস্যরূপে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান।
২০২০-২১ মৌসুম থেকে ভারতের পক্ষে টেস্ট, ওডিআই ও টি২০আইয়ে অংশ নিচ্ছেন। ২০২৩-২৪ মৌসুমে রোহিত শর্মা’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখের বক্সিং ডেতে সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে তাঁর অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। খেলায় তিনি ১/৯৩ লাভ করেন। কাইল ভেরিনকে কেএল রাহুলের কটে বিদেয় করে উইকেটটি পান। তবে, ঐ উইকেট লাভের জন্যে তাঁকে ডিআরএসের সহযোগিতা নিতে হয়েছিল। এছাড়াও, উভয় ইনিংসেই শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। ডিন এলগারের অসাধারণ শতকের কল্যাণে স্বাগতিকরা ইনিংস ও ৩২ রানে জয় পেলে দুই-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে এগিয়ে যায়।
২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট খেলেন। ঐ মৌসুমে যশপ্রীত বুমরা’র নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। ব্যক্তিগত সফলতার সন্ধান পান। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে এটি ক্যারিকে বিদেয় করে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। তাঁর পূর্বেকার সেরা ছিল ১/২৭। খেলায় তিনি বল হাতে নিয়ে ৩/৪২ ও ৩/৬৫ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ৩ ও ১* রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। স্কট বোল্যান্ডের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে সফরকারীরা ৬ উইকেটে পরাজিত হলে পাঁচ-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ খোঁয়ায়।
২০২৫ সালে শুভমান গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান। ৩১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে লন্ডনের ওভালে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি ৪/৬২ ও ৪/১২৬ বোলিং বিশ্লেষণ দাঁড় করান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ০ ও ০* রান সংগ্রহ করেছিলেন। তবে, মোহাম্মদ সিরাজের বল হাতে নিয়ে অপূর্ব বোলিং কৃতিত্বের কারণে স্বাগতিকরা নাটকীয়ভাবে ৬ রানে পরাভূত হলে সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে শেষ হয়।
