|

প্রকাশ ভাণ্ডারী

২৭ নভেম্বর, ১৯৩৫ তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।

ঘরোয়া আসরে তারকা খেলোয়াড় ছিলেন। রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতার একটি খেলায় দ্বি-শতকসহ নয় উইকেট দখল করেছিলেন। অল-রাউন্ড ক্রীড়া নৈপুণ্যে ভাস্বর ছিল তাঁর জীবন। সর্বদাই আক্রমণাত্মক ধাঁচে ব্যাটিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটাতেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে সফলতা পেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হন। প্রায় দুই দশকব্যাপী প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে দারুণ খেলেছেন।

পাঁচ ফুট পৌনে আট ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী প্রকাশ ভাণ্ডারী বেশ মারকুটে ভঙ্গীমায় ডানহাতে ব্যাটিং কর্মে অগ্রসর হতেন। পায়ের কারুকাজে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতেন। সচরাচর আকর্ষণীয় স্ট্রোকপ্লে প্রদর্শনের কারণে পরিচিতি লাভ করলেও চমৎকার অফ-স্পিন বোলিং করতেন ও দূর্দান্ত ফিল্ডিং করতেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুম থেকে ১৯৭০-৭১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বাংলা, বিহার ও দিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

দিল্লিতে তাঁর পিতা ঠিকাদারী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। শৈশবকাল থেকেই ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েন ও প্রতিশ্রুতিশীলতা লক্ষ্য করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন তারকা খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেয়েছিলেন। এক পর্যায়ে সফররত পাকিস্তানী একাদশের বিপক্ষে খেলার জন্য উত্তরাঞ্চলের সদস্যরূপে মনোনীত হন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটা ঐ খেলায় তিনি নিরাশ করেননি। ১৬ বছর বয়সে খেলতে নেমে পাকিস্তানী ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেন। হানিফ মোহাম্মদআব্দুল হাফিজ কারদারের উইকেটসহ ৫/৩৯ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এরফলে, সফরকারীদের সংগ্রহ ২০২/২ থেকে ৩১৯ রানে গুটিয়ে যায়।

স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমের রোহিতন বাড়িয়া ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। যোগিন্দার সাভেরালের সাথে বোলিং অপরিবর্তিত রেখে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় দলকে মাত্র ২৭ রানে গুটিয়ে দেন। তিনি ৫/১৬ ও যোগিন্দার সাভেরাল ৫/৭ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। এছাড়াও, ৫৯ রান তুলেছিলেন তিনি। ঐ প্রতিযোগিতায় ৫২.৬৬ গড়ে ৩১৬ রান তুলেন ও ২৪.৩০ গড়ে ১০ উইকেট দখল করেছিলেন।

পরের বছর রোহিতন বাড়িয়া ট্রফিতে আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। ১১৪ রানের ইনিংস খেলার পর ৬/৩৪ ও ৩/৩৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। এরপর থেকেই যোগিন্দার সাভেরাল ও তিনি দিল্লি দলের নিয়মিত সদস্যরূপে খেলতে থাকেন। পাতিয়ালার বিপক্ষে খেলায় ৯৪ রান খরচায় সাত উইকেট নিয়ে দিল্লিকে সহজেই জয় এনে দেন। বোম্বেতে তারকাসমৃদ্ধ সিলভার জুবিলি একাদশের সদস্য হন। নয় নম্বর অবস্থানে ব্যাটিংয়ে নেমে খুব দ্রুত ৮০ রান তুলেন। এরফলে, ২০ বছর বয়সী প্রকাশ ভাণ্ডারীকে ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে পাকিস্তান গমনার্থে ভারতের প্রথম সফরের জন্যে মনোনীত করা হয়।

১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে ভারতের পক্ষে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে বিনু মানকড়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের সাথে পাকিস্তান গমন করেন। করাচীর বিপক্ষে ৩/৫২ নিয়ে সফর শুরু করেন। আলিমুদ্দীন, ওয়াকার হাসান ও ওয়াজির মোহাম্মদ তাঁর শিকারে পরিণত হন। তবে, ঐ সফরে আর তেমন উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাননি। তাসত্ত্বেও, প্রথম চার টেস্টে কোন ফলাফল না আসার পর করাচীতে চূড়ান্ত টেস্টে তাঁকে ভারত দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৫ তারিখে করাচীতে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। জশুভাই প্যাটেলের সঙ্গে তাঁর একযোগে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৯ রান সংগ্রহসহ একটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায় ও ০-০ ব্যবধানে সিরিজটি শেষ হয়।

স্বাগতিক দলকে ১৬২ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ভারত দল ১৪৫ রানে থেমে যায়। আট নম্বরে নেমে ১৯ রান করে খান মোহাম্মদের বলে বিদেয় নেন। পঙ্কজ রায়ের ৩৭ রানের পর এটিই দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল। তৃতীয় দিনে বৃষ্টি নামলে খেলায় ফলাফলের সম্ভাবনা তিরোহিত হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে আলিমুদ্দীন ও কারদার ১৫৫ রানের জুটি গড়লেও তাঁকে বিস্ময়করভাবে কোন ওভার বোলিংয়ের সুযোগ দেয়া হয়নি।

১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে নিজ দেশে হ্যারি কেভের নেতৃত্বাধীন কিউই দলের মুখোমুখি হন। ১-০ ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে থাকা অবস্থায় সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁকে পুণরায় ভারত দলে যুক্ত করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের উপযোগী পিচে সফররত নিউজিল্যান্ড দল ৪৫০/২ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রত্যুত্তরে ভারত দল ৫৩১/৭ তুলে। টনি ম্যাকগিবনের বলে বোল্ড হবার পূর্বে তিনি দ্রুতলয়ে ৩৯ রান তুলেছিলেন। এ পর্যায়ে বাপু নাদকর্ণী’র সাথে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৭৩ রান সংগ্রহ করেন। খেলাটি ড্রয়ের দিকে গড়ায়। ঐ সিরিজের বাদ-বাকী খেলাগুলোয় তাঁকে রাখা হয়নি। তবে, সফরকারী দলের বিপক্ষে ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজের পক্ষে বেশ ভালো করেন। ৬/৫০ নিয়ে কিউইদেরকে ১৭৩ রানে গুটিয়ে দিতে যথেষ্ট ভূমিকার স্বাক্ষর রাখেন।

পরবর্তী মৌসুমে ইয়ান জনসনের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে খেলার জন্যে পুণরায় তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২ নভেম্বর, ১৯৫৬ তারিখ থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শুরু হওয়া ঐ টেস্টে কোন দলই ২০০ রানের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি। পরাজিত হওয়া ঐ খেলায় ১৭ ও ২ রান তুলতে পেরেছিলেন। এরপর, আর তাঁকে খেলানো হয়নি। পরবর্তীতে, এটিই তাঁর সর্বশেষ টেস্টে পরিণত হয়। ফলশ্রুতিতে, মাত্র ২০ বছর বয়সেই তাঁর আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

এরপর স্বরূপ ধারন করেন। ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে ইস্টার্ন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ৫/৬০ ও ৫/৫০ এবং পরবর্তীতে, সার্ভিসেসের বিপক্ষে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন। পাতিয়ালার বিপক্ষে বড় ধরনের সফলতা পান। স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ৪/৩৪ ও ৫/৪৭ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ার পর খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা ২২৭ রান করেন। কেবলমাত্র বাপু নদকর্ণী বাদে অন্য কেউ রঞ্জী ট্রফির খেলায় দ্বি-শতক ও ৯ উইকেট পাননি।

খেলোয়াড়ী জীবনে থাকাকালে টাটায় চাকুরী করতেন। এরফলে, দিল্লি, বাংলা ও বিহার দলে খেলার সুযোগ পান। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে বাংলা দলে চলে যান। সফররত পাকিস্তানী একাদশের বিপক্ষে ৩৩ ও ৫৬ রান তুলেন। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে উদয়পুরে রাজস্থানের বিপক্ষে ৫৮ ও অপরাজিত ১১১ রানসহ ১৪১ রান খরচায় ৭ উইকেট পান। পূর্ববর্তী খেলা থেকেও ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। এ শতকটি ঠিক এক ঘণ্টায় করেছিলেন। কিছু সময়ের জন্যে ভারতের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্রুততম শতক হিসেবে চিত্রিত হয়েছিল।

পরের মৌসুমে দিল্লি দলে যুক্ত হয়েই পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২১০ মিনিটে ২০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। দলের সংগ্রহ ৪২/৫ থাকাকালীন মাঠে নামেন। দিল্লির সংগ্রহ ৫৪/৬ থেকে ৩৩৭/৮ করে ইনিংস মজবুত করেন। পরের মৌসুমে বিহার দলে চলে যান। ওড়িশা দলের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/৫৪ করেন। ঐ মৌসুম শেষে রঞ্জী ট্রফিতে খেলেন। তবে, ঐ মৌসুমে মঈন-উদ-দৌলা গোল্ড কাপে আরকে মোদি একাদশের পক্ষে অংশ নিয়েছিলেন। এ খেলার পর তরুণ প্রজন্মের উপদেষ্টা হিসেবে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০-৭১ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন।

বিষেন বেদী মন্তব্য করেন যে, ‘প্রকাশ ভাণ্ডারী’র অসম্ভব ক্রিকেটীয় প্রতিভা ছিল। খেলার জগৎ থেকে আংশিক অবসর গ্রহণের পর দিল্লির পক্ষে খেলাকালে তাঁর সাথে পরামর্শ করতেন। এক দশকের অধিক সময় বেশ সমীহের পাত্র ছিলেন।’ সব মিলিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৬৩ খেলায় অংশ নিয়ে চার শতক সহযোগে ৩২.৭১ গড়ে ২৫৫২ রান সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও, সাতবার ইনিংসে পাঁচ-উইকেট লাভসহ ২৮.২৪ গড়ে ১২২ উইকেট দখল করেছিলেন। দূর্ভাগ্যবশতঃ এ ধরনের ক্রীড়াশৈলী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেলে ধরতে পারেননি। তিনটি সিরিজে মাত্র তিন টেস্টে অংশ নিয়েছেন। মাত্র ৭৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। এছাড়াও, মাত্র ১৩ ওভার বোলিং করার সুযোগ পান। কিন্তু, দল নির্বাচকমণ্ডলী শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটে তাঁর সাধারণমানের খেলার কারণে বাদ দেন।

Similar Posts

  • | | |

    মারভান আতাপাত্তু

    ২২ নভেম্বর, ১৯৭০ তারিখে কালুতারায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ও কোচ। মূলতঃ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে লেগ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল স্তরে অংশ নিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। গলের মহিন্দ্র কলেজে অধ্যয়নকালীন জিডব্লিউএস ডি সিলভা’র কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে, কলম্বোর আনন্দ…

  • |

    নিকি বোয়ে

    ২০ মার্চ, ১৯৭৩ তারিখে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের ব্লোমফন্তেইনে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখেছিলেন। স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। গ্রে কলেজে অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০১১ সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে…

  • |

    বিল প্লেল

    ১ ডিসেম্বর, ১৯৩৮ তারিখে মানাওয়াতুর পালমারস্টোন নর্থ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ১৯৫৬-৫৭ মৌসুম থেকে ১৯৬৭-৬৮ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে অকল্যান্ড…

  • | |

    মোহাম্মদ হাফিজ

    ১৭ অক্টোবর, ১৯৮০ তারিখে পাঞ্জাবের সারগোদায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ডানহাতে ব্যাটিং করতেন। এছাড়াও, মাঝে-মধ্যে ডানহাতে অফ-ব্রেক বোলিং কর্মে অগ্রসর হন। পাকিস্তান দলের পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নেয়াসহ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। সচরাচর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কৌশলগতভাবে প্রয়োজনমাফিক রক্ষণাত্মক ঢংয়েও অগ্রসর হয়ে থাকেন। পাকিস্তান দলের অন্যতম অনুসঙ্গ তিনি। বেশ কয়েকবার বোলিং…

  • |

    কেএল রাহুল

    ১৮ এপ্রিল, ১৯৯২ তারিখে কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালোরে জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার। মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখছেন। ডানহাতে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। ভারতের পক্ষে সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি (১.৮০ মিটার) উচ্চতার অধিকারী। ২০১০-১১ মৌসুম থেকে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রাখছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়াও, ব্যাঙ্গালোর ব্রিগেডিয়ার্স,…

  • |

    হারম্যান গ্রিফিথ

    ১ ডিসেম্বর, ১৮৯৩ তারিখে ত্রিনিদাদের অ্যারিমায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার ছিলেন। মূলতঃ বোলার হিসেবে দলে ভূমিকা রেখে গেছেন। ডানহাতে ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। ঘরোয়া আসরের প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৯২১-২২ মৌসুম থেকে ১৯৪০-৪১ মৌসুম পর্যন্ত সময়কালে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেন। শীর্ষসারির পেসার হিসেবে…